আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাবি শিক্ষকরা ফের ধর্মঘটে,  উপাচার্য অবরুদ্ধ

এই দাবিতে সাধারণ শিক্ষক ফোরামের ব্যানারে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটও শুরু করেছেন তারা।
ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক হানিফ আলী বলছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত উপাচার্য পদত্যাগপত্রে সই না করছেন, ততোক্ষণ তারা অবরোধ তুলবেন না।  
বুধবার ভোরে ক্যাম্পাসের পরিবহন চত্বরে জড়ো হয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহনকারী বাস আটকে কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। এরপর তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
সকালে নিবন্ধকের নেতৃত্বে কর্মকতা-কর্মচারীরা এসে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে ব্যর্থ হন।

পরে তাদের ভবনের সামনে চেয়ার পেতে বসে থাকতে দেখা যায়।
নিবন্ধক আবু বকর সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাজের জন্যই তো এসেছিলাম, ঢুকতে পারলাম না। ” 
এরপর বেলা ১১টায় দুই উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে নিয়ে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন প্রশাসনিক ভবনে এলে অবস্থানরত শিক্ষকরা তাদের দিকে পেছন ঘুরে পিঠ দেখান।
এ সময় নিবন্ধকসহ অন্যাদের কাজে যোগ দিতে বলেন উপাচর্য।
উপাচার্য ভেতরে ঢোকার পর আন্দোলনরত শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনের ফটক আটকে দিলে উপ-উপাচার্য এম এ মতিনের ও আফসার আহমদের সঙ্গে শিক্ষকদের বাকবিতণ্ডা ও হৈ চৈ হয়।


এ সময় উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষকরা শ্লোগান দেন- ‘তুই যা, তোকে যেতেই হবে। ’
এক পর্যায়ে অধ্যাপক মতিন নেমে এসে শিক্ষকদের বলেন, “আজ ২১ অগাস্ট”
এর উত্তরে আন্দোলনরত এক শিক্ষক বলেন, “২১ অগাস্ট শেখান, হু ইজ দ্য কিলার অব বঙ্গবন্ধু?”
পরে প্রশাসনিক ভবনের ফটক খুলে দিলেও উপাচার্যের কার্যালয়ের ফটকে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তবে কয়েকজন সাংবাদিককে এক পর্যায়ে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, “এই অবস্থান অনির্দিষ্ট কালের জন্য। ”
অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “সরকার, দেশবাসী ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কাছে জাহাঙ্গীরনগরকে বাঁচানোর আহবান জানাই।

আপনারা প্রতিষ্ঠানটিকে রক্ষা করুন। ”
সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে অবহিত করবেন বলেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান তিনি।
সাধারণ শিক্ষক ফোরামের নির্বাহী সদস্য জামাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগই আমাদের দাবি। শিক্ষক সমিতি যে সব দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, সেগুলোর প্রতি সহানুভূতি রয়েছে শিক্ষক ফোরামের। ”
এর আগে শিক্ষক সমিতি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করলেও হাই কোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থিতিশীলতা রক্ষার নির্দেশনা দেয়ার পর ৩০ জুলাই থেকে তারা প্রশাসনিক ভবনের অবস্থান তুলে নেন।

এরপর কৌশল পাল্টে শুরু হয় সাধারণ শিক্ষক ফোরামের আন্দোলন।
গত বছর ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য পদ ছাড়েন অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবীর। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।