সত্য প্রকাশে সংকোচহীন
শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাবি শিক্ষক সমিতি
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের বিধি লঙ্ঘন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। গতকাল শিক্ষক সমিতির জরুরি কার্যকরী পরিষদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে জাবি ভিসি ও প্রশাসনসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকাণ্ডকে সমালোচনা করে জাবির দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়ার একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাকুরী বিধির কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে ওই শিক্ষককে গত ১২ এপ্রিল এক কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। এ ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩/৪৪ ধারার লঙ্ঘন দাবি করে তা প্রত্যাহারের জন্য সাধারণ শিক্ষকরা আন্দোলন গড়ে তোলেন।
এ বিষয় নিয়ে গতকাল বেলা আড়াইটায় কাফেটেরিয়ার লাউঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির এক জরুরি কার্যকরী পরিষদের এক সভা অনুষ্টিত হয়। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্টের পরিপšী’ উল্লেখ করে প্রশাসনের কাছে নি:শর্তভাবে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। এর আগে নিবন্ধ লেখক ওই শিক্ষক গতকাল দুপুর ১২টায় কারণ দর্শানোর এ নোটিশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে উপাচার্য বরাবর এক লিখিত আবেদন করেন। উপাচার্য উপস্থিত না থাকায় তা রেজিষ্ট্রারের কাছে দেওয়া হয়। এসময় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন, অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক মো. শরিফ উদ্দিনসহ প্রায় ২০জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এসময় আজ সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন শিক্ষকরা।
এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, বিষয়টি শিক্ষকদের মর্যাদার সাথে বিষয়টি সাংঘর্ষিক হওয়ায় আমরা প্রশাসনের কাছে প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।