আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রথম আলোর দুই সেয়ানা কথন : মতি - মিজান মানিক জোড় : মীর কাসেম আলী অন স্পট এবং ....

একটা গাড়ী খুজছি , ব্যাক টু দ্য ফিউচারে যাওয়ার গাড়ীটা খুজছি / তথ্যের অংক , যুক্তির জ্যামিতি
ট্রান্সকম চেয়ারম্যান পুজিবাদী লতিফুর রহমানের মিডিয়া মাসলম্যান মতিউর রহমান এবং মিজানুর রহমান (খান)। লতি , মতি এবং মিজান- এই " রহমান Trio " বাংলাদেশকে নিয়ে খেলছে কিনা এটা নিয়ে অনেক স্কেপটিকাল মানুষ বরাবরই চিন্তা করেন। তবে হিউম্যান সাইকোলজীর এক তুখোড় খেলোয়াড় জোড় মতি-মিজানের সাম্প্রতিক কিছু গেম চীট কোড খুব নির্লজ্জভাবে যে কারো চোখে ধরা পড়বে। এই দুজনের সুশীল পেন গেমের যেগুলো অন দ্য স্পট সেগুলো হলো : ১. মীর কাসেম ইস্যুতে প্রথম আলোর টিপিকাল সুক্ষ্ণ পল্টিবাজী যেটা কারো চোখে সহজে ধরা পড়বেনা ! ২.আদালত অবমাননা ইস্যুতে জামাই আদর , যার সাতখুন মাফ ৩.মুজিব মার্ডারের CIA ডকুমেন্টস নিয়ে ফাপরবাজী। শুরু করা যাক আসল আলোচনা : ১. মীর কাসেম আলী : মীর কাসেম আলী ইস্যুতে প্রথম আলো কতটা সোচ্চার ছিলো এই মাত্র কয়দিন আগেও সেটা আমরা সবাই জানি।

ভি.আই.পি লাউন্জ্ঞ দিয়ে বিমানে অন বোর্ড হওয়া , যুদ্ধাপরাধের বিচারের মত জাংকচার এ মিডল ইস্ট এ মাসাধিক দীর্ঘ ঘোরাঘুরি করে আসা মীর কাসেম আলীকে নিয়ে প্রথম আলো রীতিমত জিহাদী জোশে ছিলো । তার প্রমান নীচের এই প্রথম পাতার বক্স নিউজটি : মার্চ ২৮ , ২০১০ , প্রথম আলো , প্রথম পাতা - মূলত প্রথম আলোর দাবড়ানি খেয়েই আমাদের বখ্যাত (বিখ্যাত নয় , কুখ্যাতও নয় ... বকবক খ্যাত ) বটতলার উকিল কামরুল সাহেবের মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়ে গিয়েছিলো মীর কাসেম আলী ইস্যুতে : মীর কাসিম আলী যুদ্ধাপরাধী কিনা সেটা উনি জানেন না ! সেটা নাকি আমরা ধারনা করি ! আমাদের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন যিনি জাতীয় জীবনের পাহারা দায়িত্বে নিদারুন ভাবে ব্যর্থ হয়েছে উনিও নাকি মীর কাসিম আলী দেশের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে কিছুই জানেন না ! কারো মেমোরী ডিসঅর্ডার , কারো স্পীকিং ডিসঅ্যাবলিটি তৈরী হয়েছিলো মীর কাসিম আলী ইস্যুতে মতি মিয়ার প্রথম আলোর ঝাক্কাস দাবড়ানি খেয়ে ! কিন্তু হায় , এবার খোদ মতি মিয়ার নিজেরই কি মতি ভ্রম হলো ! মাত্র দিনকয়েক আগে সাঈদী আর মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির মামলা হয়েছে NBR এর এক ডেপুটি ট্যাক্স কমিশনারের মামলায়। সাঈদীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারী হয়েছে । আর মীর কাসেম আলীর বেলায় কি হয়েছে ? মিনমিনে ভেজা বেড়াল প্রথম আলোর আগস্ট ২৩ , ২০১০ এর ২য় পাতার কলাম ৭ এর সর্বোচ্চ ১.৫ x ৪.৫ ইন্চ্ঞ স্কয়ারের একটা নিউজ ! হে মতি , হে প্রথম আলো........ কোথায় তোমার প্রথম পাতা , কোথায় বক্স , কোথায় প্রশ্নবোধক চিহ্নের ১৮ ফন্টের বোল্ডেড হেড লাইন ? প্রথম আলো শিরোমনি মতি ... এ কি মতি ভ্রম না ভেল্কী ? মীর কাসেম আলীর সাথে দেনা পাওনাটা কার হয়েছে তাহলে ? লতির ? না কি লতির বেতনভূক মতির ? ২. আদালত অবমাননা ইস্যুতে মিজানের জামাই আদর , সাতখুন মাফ : মাত্রই দিন কয়েক আগে মাহমুদুর রহমানের বিপক্ষে আদালত অবমাননার দায়ে ৬ মাস কারাদন্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে । আদালত সেখানে অবান্তর সব প্রশ্নও করেছে মাহমুদুর রহমানকে যেগুলো মামলার সাথে মোটেই জড়িত নয়।

তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং বুয়েট , ঢা.বি.'র আইবিএ কে "এইসেই" বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছে। হাসিনার নাচের পুতুল এইসব বিচারপতিদের এই অবান্তর মন্তব্য করার খেদ থেকে কয়েকদিন আগে ভাবছিলাম এদের বিচারকের গাউন পরে দালালী পনার একটা ফিরিস্তি ব্লগে জানানো উচিত। সুরেন্দ্র - খায়রুলদের মত "ব্যক্তিগত বিরাগের বশবর্তী" মুজিবের প্রতি সেজদারত বিচারপতি নামধারীরা মাহমুদুর রহমানের কাছে আদালতে টাগ অব ওয়ারে হেরে গিয়ে কলমের জোরের "বিচারিক মাস্তানী" / Judicial Brawling করেছেন একটি ঠুনকো অজুহাতে যেটি ছাড়া আর কিছুই তাদের হাতে ছিলো না। অনেকটা মেষ শাবক খেকো বাঘ যেমন অজুহাত বের করে "তুই আমার পানি ঘোলা করেছিস , তাই তোকে খাবো "। সেই ঠুনকো অজুহাতটি কি ? এই ২ দালালের নামের পূর্বে "মাননীয় " শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি।

তার উপর আদালতের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে রিপোর্ট করাতেও নাকি অবমাননা হয়েছে। দৈনিক আমার দেশের অলিউল্লাহর ঐ একটি বোনাফাইড তথ্যভিত্তিক রিপোর্টেই যদি "আদালত অবমাননা" 'র ভূমিকম্প হয়ে যায় তাহলে প্রথম আলোর মিজান যে দিনের পর দিন তারচেয়েও ভয়াবহ ভাবে "আদালতের রায়" আর কোন বিচারক কোনটা করা উচিত / না উচিত এই সব "অমাননীয়" থোড়াই কেয়ার রিপোর্ট করেছে তাতে আদালত অবমাননার কেয়ামত হয়ে যাওয়ার কথা ! কিন্তু তাতে কিছুই হয়নি ! প্রথম আলোর মিজান "মহা মাননীয়" বিচারপতিদের "জামাই আদর" পেয়ে আসছেন দিনের পর দিন। মিজানের সাত খুন মাফ ! বিশ্বাস না হলে নীচের রিপোর্ট গুলো দেখুন : এপ্রিল ১৩ , ২০০৯ এর প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতায় মিজানের কলাম যেখানে সুপ্রীম কোর্টকে হরিন শাবক আর আইন মন্ত্রনালয় কে নেকড়ের সাথে তুলনা করা হয়েছে । এখানে একটা কথা মনে করিয়ে দেয়া দরকার মাহমুদুর রহমানকে ঐ ২ দালাল বিচারক জেরা করেছিলেন "চেম্বার জজ মানেই রাষ্ট্র পক্ষে স্টে" রিপোর্টে করা মন্তব্য আদালত "ডিফিকাল্ট পরিবেশে কাজ করছে" এটার অর্থ কি ?!!!!!! অথচ প্রথম আলোর মিজান যে আদালতকে "হরিন শাবক" বললো আর আইনমন্ত্রনালয় কে "নেকড়ে" বললো সেটার জেরা কে করবে তাকে ? কেউই করবেনা! কারন প্রথম আলোর মিজান যে খায়রুল - সুরেন্দ্রদের "জামাই" তুল্য। রিপোর্টটি দেখুন : ডিসেম্বর ৭ , ২০০৯ এর প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতায় মিজানের কলাম দেখুন ।

জামিন দেয়ার বিষয় নিয়ে বিচারকদের রীতিমত তুলোধুনো করা হয়েছে এই কলামে এবং বিচারপতিদের শাস্তিও দাবী করা হয়েছে রায় যথাযথ না হলে ! আদালত অবমাননার যেই ঠুনকো কারন মাহমুদুর রহমানের বিপক্ষে দেখানো হয়েছে সেখানে এটাতো রীতিমত "জবাই করে দেয়া " স্কেলের আদালত অবমাননা ! প্রথম আলোর মিজানের বিচার কে করবে ? কেউ করবেনা! কারন প্রথম আলোর মিজান যে খায়রুল - সুরেন্দ্রদের "জামাই" তুল্য। মার্চ ৪ , ২০১০ , প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতায় মিজানের কলাম : বিচারপতিদের আপিল বিভাগ অবমাননা : কলামের হেড লাইনের পর আর কি কিছু বলার থাকে ?!!!!!! এই রিপোর্টে মিজান রীতিমত বিচারপতিদের দের কে কান ধরিয়ে উঠবস করিয়েছেন ! প্রথম আলোর মিজানের আদালত অবমাননার বিচার কে করবে ? কেউ করবেনা! কারন প্রথম আলোর মিজান যে খায়রুল - সুরেন্দ্রদের "জামাই" তুল্য সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মীর নাসিরকে বিদেশ যেতে হাইকোর্টের অনুমতি সংক্রান্ত আদেশ চেম্বার জজ আদালতে হাসিনার পা চাটা এক দালাল তথাকথিত বিচারক স্টে করে। সেখানে রাষ্ট্রপক্ষ / অ্যাটর্নী জেনারেল মিথ্যা তথ্য দেন মীর নাসিরের ব্যাপারে যেটার ভিত্তিতে হাইকোর্টের আদেশ চেম্বার জজ স্টে করেন। রিপোর্টের পুরোটাই সত্য ছিলো। তারপরও সেখানে আদালত অবমাননা হয়ে গেছে ! অথচ জুলাই ৯ , ২০০৯ তারিখে প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতায় মিজানুর রহমানের কলামে বসুন্ধরার শাহআলম কে জামিন কেন দেয়া হলো এই নিয়ে মিজান তার ভেতরের সব গরল কলমের সরল ভাষায় বিচারকদের উপর উদগীরন করেছে।

মাহমুদুর রহমান কে " মাননীয় " না উল্লেখ করার অপরাধে যেই শাস্তি দেয়া হয়েছে সেখানে প্রথম আলোর মিজান দিনের পর দিন মাননীয়/ ফাননীয় বলাতো তো দুরের কথা , বিচারকদের ব্যক্তিগত জীবনের তথ্যও তার কলামে উল্লেখ করে ব্যংগ করেছে। মির্জা হোসেঈন হায়দার নামের এক বিচারক কবে তার মেয়ের সাথে দেখা করার জন্য লন্ডন গিয়েছেন সেটা নিয়েও বিদ্রুপাত্নক খোঁচা দেয়ার সাহস দেখিয়েছে প্রথম আলোর মিজান! তাহলে..... প্রথম আলোর মিজানের আদালত অবমাননার বিচার কে করবে ? কেউ করবেনা! কারন প্রথম আলোর মিজান যে খায়রুল - সুরেন্দ্রদের "জামাই" তুল্য প্রথম আলো মিজানের চুড়ান্ত আদালত অবমাননার নমুনা দেখুন পি মুন্সীর সৌজন্যে : নভেম্বর ৯ , ২০০৮ এর প্রথম আলোতে বিশাল হেড লাইনের নিউজ করেছিলো মিজান আদালতে জামিন দেয়া নিয়ে! এর বিচার কে করবে ? প্রতিটি কলামের আপলোডেড ইমেজ গুলো রাইট ক্লিক করে "Save image as" অপশনে ক্লিক করে সেভ করে নিন। জুমইন করে পড়ুন কিভাবে প্রথম আলোর মিজান বিচারকদের উপর তার কলম নামের ছুরি চালিয়ে দিয়েছে। "মাননীয়" বলাতো দুরের কথা ! যারা মাহমুদুর রহমান কে পছন্দ করেন না , ভালো কথা পছন্দ করেন না। মাহমুদুর রহমান শাস্তি পাওয়ায় খুশী হয়েছেন ঠিক আছে।

কিন্তু মাহমুদুর রহমান কে যেই দোষে শাস্তি দেয়া হয়েছে সেটা যদি লঘু হয়ে থাকে তাহলে প্রথম আলোর মিজানের গুলো কি ? তাই বলি মিজান ......... তোমার বিচার করবে কে ? বিচারপতি (খায়রুল সুরেন্দ্র)... তোমার বিচার করবে কে ? পরের পর্বে ৩ নাম্বার পয়েন্ট ইন ডিটেইল... ৩.মুজিব মার্ডারের CIA ডকুমেন্টস নিয়ে ফাপরবাজী।
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.