দাগ খতিয়ান নাইতো আমার/ঘুরি আতাইর পাতাইর...
আমাদের বাড়ির ধারে একদা বিস্মৃত নাইল্যাখেত ছিল
মাঠ পেরিয়ে মাঠের ধারে স্থির নদীতে কাঁপতো বাতাসের ছায়া
আমরা এমন সবুজ নদীতে ডুব সাঁতার খেলে ডেকে আনতাম প্রিয় বিকেল
গোধূলিবেলায় নাইল্যাবনখেতে পাঠ নিতাম গহীন মৌনতা
আমাদের গ্রামের নারী ও পুুরুষের মুখে একদা হাসি ছিল
এমন হাসির তোড়ে ভেসে যেতো বিশ্ব বাজার
ঝিলিক দিয়ে ওঠতো বাণিজ্য প্রভুর ঝলমলে ঘর
একদিন বিদেশী প্রভুর বিনাশী নসিহত শোনে
আমাদের ছাপোষা প্রভুরা নিরীহ নাইল্যাগাছ থেকে তৈরি করলেন ফাঁসদড়ি, আর ওমনি সেই হাসিহাসি মুখের মাটির নারী আর পুরুষ
ধীরলয়ে হেঁটে হেঁটে গেলো ফাঁসির দড়ির দিকে, নিমিষেই
নাইল্যাখেত হলো গোরবন; রাইসের নাচের মুদ্রার ঝড়ে
বাণিজ্যপ্রভুদের দাপটে পাথর হয়ে গেলো উচ্ছল নারী ও পুরুষ
নাইল্যাখেত হয়ে গেলো ইটভাটি আর কল গুলো হয়ে গেলো বিকল
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।