কবি মতিউর রহমান মল্লিক ছিলেন ইসলামী সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পথিকৃৎ, বহুধা প্রতিভার অধিকারী বড় মাপের একজন মানুষ। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরেই কবি মল্লিক ছিলেন বাংলা সাহিত্যে ইসলামী গানের সার্থক কবি, সুরকার ও শিল্পী। তার রচিত গান, কবিতা বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে অনন্তকাল। তিনি শুধু জাতির একটি অংশের কবি নন, সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী জাগ্রত মুসলিম জনতার কবি। তাই নজরুল ইনস্টিটিউটের মত কবি মল্লিকের নামেও একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
গতকাল শনিবার রাজধানীর পল্টনের একটি হোটেলে সমন্বিত সাংস্কতিক সংসদ (সসাস) আয়োজিত কবি মতিউর রহমান মল্লিকের স্মরণে এক ইফতার মাহফিলে তার উত্তরসূরী অনুজ কবি, শিল্পী ও সাহিত্যিকরা এসব কথা বলেন। ঢাকা সাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মানসুরের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সসাসের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সসাসের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. ফখরুদ্দিন মানিক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সসাসের সাবেক নির্বাহী পরিচালক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, কবি আসাদ বিন হাফিজ, আবৃত্তিকার শরীফ বায়েজীদ মাহমুদ, মোকাররম বিল্লাহ আনছারী, জাফর ফিরোজ, সাইমুম, প্রবাহ, সনিদ্বপন, নিমন্ত্রণ, অনুপম ও উচ্চারণ শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালকবৃন্দ।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, কবি মল্লিক আমাদের যে পথ ও আদর্শ দেখিয়েছেন তা এখনও অনেক দূরে।
আমাদের তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। ডা. ফখরুদ্দিন মানিক বলেন, কবি মল্লিক শুধু একজন ব্যক্তির নাম নয়, একটি আন্দোলন। যতদিন পৃথিবী টিকে থাকবে তার লেখা গান, কবিতা আমাদেরকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। কবি মল্লিক ইসলামী সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যে বিপ্লব ঘটিয়েছেন এ দেশের মানুষ সারাজীবন তাকে মনের কোঠায় ঠাঁই দেবে। কবি মল্লিকের জীবনকর্ম নিয়ে গবেষণা ও তার নামে ইনস্টিটিউট হওয়া উচিত বলে ডা. মানিক মনে করেন।
অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মানসুর বলেন, মল্লিক ভাই ছিলেন আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পথিকৃৎ। তিনি সবসময় সুস্থ ইসলামী সংস্কৃতিকে জাগ্রত করতে ব্যস্ত থেকেছেন। তার রেখে যাওয়া কাজ আমাদের বাস্তবায়নে সদ্য তৎপর থাকতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।