আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আল্লাহ্ সম্বন্ধে জ্ঞান

O Allah! Please lead me from unreal to The Reality!!

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আস সালামু আলাইকুম! আপনারা হয়তো জানেন যে, বদর যুদ্ধের আগে আবু জাহল কা'বা শরীফের গিলাফ ধরে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে বলেছিল যে, সত্যের যেন জয় হয়। সত্যের জয় হয়েওছিল - তবে তার জয় হয়নি। আবু জাহল গং কিন্তু আল্লাহকে আল্লাহ্ বলেই ডাকতো, কা'বা তাওয়াফ করতো, আল্লাহর নামে প্রতিজ্ঞা করতো। স্বয়ং আল্লাহ্ কুর'আনে বলেছেন যে, আল্লাহকে তারা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে, রিযিকদাতা হিসেবে স্বীকার করতো - যেমনটা আমরা নীচের আয়াতে দেখতে পাই: If thou ask them, Who created them, they will certainly say, Allah: how then are they deluded away (from the Truth)?(Qur'an, 43:87) তাহলে তারা কেন কাফির/মুশরিক আর আমাদের নবী(সা.) কেন নবী, মু'মিন ও মুসলিম? বা তাঁর উম্মত হিসেবে আমরা কেন নিজেদের মুসলিম ভাবি? এই প্রশ্নের মূলে যে বাস্তবতা রয়েছে, তা হচ্ছে এই যে, আল্লাহ্ সম্বন্ধে আবু জাহল গং এবং রাসূল(সা.)-এঁর ধারণা ভিন্ন ছিল - অথবা আমরা বলতে পারি যে, আল্লাহ্ সম্বন্ধে তাদের আক্বীদাহ্ (বা set of beliefs) ছিল ভিন্ন। এজন্যই সত্যিকার মুসলিম হিসেবে পরিগণিত হতে হলে, আল্লাহ্ সম্বন্ধে আমাদের কি কি বিশ্বাস পোষণ করতে হবে তা "আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের" কাছ থেকে [অর্থাৎ কেবল অহীর সূত্র থেকে] জেনে নিতে হবে।

তা না হলে আমরা কবরের [বা বারযাকের] জীবনের শুরুতে জিজ্ঞাসিত ৩টি প্রশ্নের প্রথমটির জবাব জানবো না এবং চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হবার সমূহ সম্ভাবনার মুখোমুখি হবো। দুনিয়ার জীবনের ড্রয়িংরূমের শো কেসে সাজানো বিশ্বকোষ বা এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকা সেদিন আমাদের কোন কাজে আসবে না এবং সে সব থেকে লব্ধ জ্ঞান অর্থহীন বলে প্রতিপন্ন হবে। নিজের ধ্যান-ধারণা, কল্পনা-বিলাস, কাব্য-প্রতিভা অথবা বিজাতীয় তত্ত্ব বা তথ্য থেকে প্রাপ্ত ইঙ্গিতের ভিত্তিতে আমরা যদি আল্লাহ্ সম্বন্ধে "নিজস্ব বা মনগড়া" ধারণা পোষণ করি, তবে তা হবে গর্হিত এক অপরাধ (কুর'আন, ৭:৩৩)। উদাহরণস্বরূপ আমাদের দেশের তথাকথিত জনপ্রিয় মরমী গানে আল্লাহকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়ে থাকে,"তুমি ফল, তুমি ফুল, তুমি তাতে গন্ধ" - একথার ভিত্তি কি? কুর'আন বা সুন্নাহয় এর কোন দলিল আছে? নেই! বরং এগুলো হচ্ছে কিছু সংখ্যক আউল-বাউলের শ্রেফ কল্পনা উদ্ভূত কিছু কথা। এধরনের লোক-কথা বা লোক-গাথার উপর ভিত্তি করে আমরা যদি আল্লাহ্ সম্বন্ধে আমাদের ধারণা গঠন করি, তবে শিরকে লিপ্ত হয়ে চিরতরে জাহান্নামী হবার আশংকা রয়েছে।

এবিষয়ে সঠিক আক্বীদাহ্ হচ্ছে,"তোমার [সৃষ্টি] ফল, তোমার [সৃষ্টি] ফুল, তাতে যে গন্ধ রয়েছে সেটাও তোমার [সৃষ্টি]"। তা না বলে "তুমি ফল, তুমি ফুল, তুমি তাতে গন্ধ" বলার অর্থ হচ্ছে, সর্বেশ্বরবাদ তথা হিন্দু দর্শনের গীত গাওয়া। আমরা যখন আল্লাহর পরিচয় সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করবো, তখন দেখবো যে আল্লাহর পরিচয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে "তাওহীদ" বা আল্লাহর একত্ববাদ [বা অদ্বিতীয়তার] ধারণা। তাওহীদের বিস্তারিত আলোচনায় আজ আমরা যবোনা, ইনশা'আল্লাহ্ পরবর্তীতে এ নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো। তবে আজ শুধু তাওহীদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা মূলনীতি বলে শেষ করবো: আর কিছুই আল্লাহর মত নয়! (কুর'আন, ৪২:১১ এবং ১১২:৪)।

ফি আমানিল্লাহ্!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.