আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য দিন-রাত অবরুদ্ধ

পদত্যাগের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা। পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি অংশ সাধারণ শিক্ষক ফোরামের ব্যানারে উপাচার্য আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল বুধবার দুপুর ১২টা থেকে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ শুরু করে। উপাচার্যের বাসভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, শিক্ষকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনার বিচার না হওয়াসহ মোট ১২ দফা দাবিতে তারা এ আন্দোলন করছে। গত রাত দেড়টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্য আনোয়ার হোসেন তাঁর কার্যালয়ে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা অন্য শিক্ষকদের নিয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন।

আর আন্দোলনকারী শিক্ষকদের মধ্যে প্রায় ৪০ জন প্রশাসনিক ভবনের দোতলায় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন। মাইকে তাঁরা অন্য শিক্ষকদের আন্দোলনে যোগ দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া ঘোষণা করছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাধারণ শিক্ষক ফোরামের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ধর্মঘট পালনের জন্য গতকাল সকাল থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা। বেলা ১১টার দিকে উপাচার্য আনোয়ার হোসেন, দুই সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পর দুই সহ-উপাচার্য আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বের হয়ে আসেন।

ধর্মঘট চলাকালে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করা নিয়ে দুই সহ-উপাচার্যের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষক নেতাদের বাগিবতণ্ডা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই শিক্ষকেরা উপাচার্যের অফিসকক্ষের দুটি দরজার সামনে অবস্থান নেন। বেলা দুইটার দিকে দুই সহ-উপাচার্য আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে উপাচার্যকে বের করে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু শিক্ষকদের আপত্তির মুখে তাঁরা ব্যর্থ হন। এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক মুহম্মদ হানিফ আলী সাংবাদিকদের বলেন, উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে।

অবরুদ্ধ অবস্থায় বিকেল পাঁচটার দিকে উপাচার্য তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ এবং ’৭৩-এর অধ্যাদেশের চাকরিবিধি অমান্য করে শিক্ষকেরা আমাকে অবরোধ করে রেখেছেন। সম্পূর্ণ বেআইনি ও অযৌক্তিক অভিযোগ এনে আমার পদত্যাগ দাবি করছেন কিছু শিক্ষক। ’ তিনি রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.