থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
কর্নেল অলি কি সরকারের শত্রু হতে চাচ্ছেন?
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. অলি আহমদ এত দিন মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন, ভালই ছিলেন। হঠাৎ মুখ খোলার কি দরকার ছিল? এক সময়ে মিসেস জিয়ার বদনাম করে পুর্বের দল থেকে আউট হয়েছেন। কিন্তু উনি বোঝেন নাই যে 'বাল'-এর সমালোচনা করলে এরা দুনিয়া থেকেই আউট করে দিতে পারে।
কর্নেল (অব.) অলি বলেছেন, দেশ অনেক সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে।
আইনশৃংঙ্খলা অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে খারাপ।
মন্ত্রিসভার অনেকেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করা উচিত। তা না হলে দেশের অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে। তিনি নতুনদের পরিবর্তে অভিজ্ঞদের দিয়ে মন্ত্রিসভায় গঠনের পরামর্শ দেন।
বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে কে আছে তা বুঝা মুশকিল।
সতীনের সংসারে যেমন হয়, এই মন্ত্রণালয়েও তেমনি সব সময় ঝগড়াঝাটি লেগেই আছে। এতে সরকারের ভাবম–র্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
কর্ণেল অলি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নতুনদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন চমক দেখিয়েছেন ঠিকই তবে সুশাসন কায়েম করতে পারেননি। অভিজ্ঞদের দিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করলে এ অবস্থা হতো না। অভিজ্ঞতার কোন বিকল্প নেই।
দেশে এখনো প্রতিশোধের রাজনীতি চলছে উল্লেখ করে কর্নেল অলি বলেন, এতে সমাজের কোন উন্নতি হবে না। সরকারকে সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে কাজ করতে হবে। বিরোধী দলকেও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ থেকে বিরত থেকে সরকারের গঠনমুলক সমালোচনা করার আহবান জানান তিনি।
[ সুত্রঃ 'আমাদের সময়, ২১ আগস্ট ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।