আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অস্বীকার করতে পারবে কর্নেল তাহের বংগবন্ধু হত্যায় জরিত থাকার কথা : কর্নেল তাহের-জিয়ার ঈমানের ভিত্তি কি


কর্ণেল তাহের জিয়াকে বেঈমান কেন বলে । তাদের ২ জনের মধ্যে ঈমানের ভিত্তিটা কি ছিল ? কর্ণেল তাহের জিয়াকে মুক্ত করেন । পরবর্তীতে জিয়াই তাকে ফাসিতে ঝোলান । - কেন ? তবে কিকর্ণেল তাহেরের জিয়াকে মুক্ত করে আনাটা কোন মানবিক বা বন্ধুত্ব সুলভ আচরন ছিলনা ? নাকি এটার ভিতরে কোন গোপন চুক্তি জিয়ার সাথে ছিল - ক্ষমতাভাগাভাগির আর ভোগের চুক্তি ? জিয়াকে এইভাবে মুক্ত করে নিয়ে আসাটা কি বংগবন্ধুর হত্যাকে সাপোর্ট করা না ? কর্ণেল তাহের একজন নামকরা অফিসার ছিলেন । ১৯৭১ এ সে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন ।

১৯৭২ সালে সে জয়েন করেন জাসদে । জাসদ তৈরী করেছিলেন সিরাজুল আলম খান - যিনি আজ অব্দি জাসদের সদস্য হয়নাই - কি বিচিত্র ! ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট ফাদারকে সপরিবারে হত্যা করা হয় । সেপ্টেম্বর , অক্টোবর মাত্র ২ মাসেই তাহেরের নেতৃত্বে সূচনা ঘটে ৭ ই নভেম্বর সিপাহী জনতা বিপ্লবের !! বেরিয়ে আসে জিয়া । ১৫ ই আগষ্টের পরে মুশতাক বংগবন্ধুর কেবিনেট মেম্বার হয় প্রেসিডেন্ট এবং জেনারেল শফিউল্লাহকে শরিয়ে জিয়া হয় সেনাপ্রধান আর দিল্লিতে এরশাদ একফাল দিয়ে হয় মেজর জেনারেল । এর পরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ এবং কর্নেল শাফায়াত জামিল ৩ নভেম্বর ক্যু করে ক্ষমতা দখল করে এবং জিয়াকে ফোর্স করে রিজাইন করতে এবং জিয়াকে অ্যারেষ্ট করা হয় ।

পরে ৭ই নভেম্বর কর্নেল তাহেরের নেত্রীত্তে আবার ক্যু করা হ্য়—কেন ? কেন তাহের বাহিনী প্রথম ক্যু এর পরে ক্যু করলনা আর কেনই বা ৩য় বারে ক্যু করে প্রথম বারের সিদ্ধান্ত মত জিয়াকে সেনাপ্রধান করল – যদি না জিয়া তাহের একই শিবিরের লোক হয়ে থাকে ?? শেখ কে হত্যা ক্ রার জন্য ফারুক রশিদ গং ছিল এক্সিকিটিভস – আর তাহের ছিল পার্ট অব থিংক ট্যাংক । বংগবন্ধুর সরকারকে বিপদে ফেলতে সদাই জাগ্রত ছিল এই তাহের এন্ড কোং – জাসদ । বংগবন্ধুকে হত্যা করার জন্যে জাসদ মিলিটারি একাডেমীর বাইরে এবং তাহের মিলিটারি একাডেমীর মধ্যে গ্রাউন্ড সফটেনিং এর কাজ করেছে । শেখের এক আংগুলের ইশারায় ২ কোটি লোক জীবনের মায়া ছেরে দিয়ে যুদ্ধে গেছিল । এমন একটা লোককে মেরে ফেলতে এবং মেরে সারভাইভ করা ইস নট এ ম্যাটার অব জোক ।

অনেকগুলো ফ্যাক্টরের মধ্যে তাহের বা জাসদ একটা পার্ট প্লে করে । যদি দেশের কোন উন্নতি করতে চাইত তাহের তবে সে ততকালীন সরকারের সাথে এক সাথে কাজ করে কেন করলনা ? তার মানে –স্ রকারের সাথে তার মতবিরোধ ছিল । সেই মতবিরোধ প্রকাশ না করে গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছিল কেন যদি তা শেখ কে খুন সংক্রান্ত না হ্য় ?? আর খুনের পরে যারা ক্যু করে পাল্টা ক্যু ফেস করল তাহের তখন আসল বংগবন্ধুর খুনীদের স হযগীতা করল । হিসাব ক্লিয়ার - জিয়ার ক্যুয়ের সাথে তাহেরের সম্পর্ক না থাকলে এই ঘটনা কখনই কোনভাবে ঘটতে পারেনা । আর তাহেরের ফাসির সময় যখন তাকে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রান ভিক্ষা চাইবার কথা বলা হল তখন তাহের বলেছিল -- এই সরকারকে আমি ক্ষমতায় বসিয়েছি....---- তার মানে কি ?? তার মানে পরিস্কার ।

গভীর জলের মাছ তাহের – দ্যা কনস্পাঈরেটর । বংগবন্ধুকে খুন করে তার দায়ভার নেয়নি , মাছ খেয়েছে মাছের ঝোল খায়নি । শেখ ক্ষমতায় থাকতে তাকে স হযোগীতা করা তো দূরে থাক, একটা যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশকে বাচাতে যখন সবাই কাজ করে যাচ্ছে তাহের তখন সরকারকে স্যাবোটাজের মাধ্যমে গড়ে তুলেছে বিপ্লবী বাহিনী । একটা সদ্য জন্ম নেওয়া দেশের মিজারীকে ক্যাশ করে দেশের সেবা না করে ক্ষমতা দখলের জন্য তা ব্যাবহার করেছে । জিয়া কি তা দেখেনি নিজের চোখে ? জিয়া তো নিজের চোখেই দেখেছে যে কিভাবে এবং কি উদ্দ্যশ্যে তাহের কাজ করে যাচ্ছে ।

এই রকম একটা বেঈমান কে জিয়া হাতছারা করেনাই বাগে পেয়ে । হাতছারা করেনাই নিরীহ মুক্তিযোদ্ধাদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে দিয়ে তাহের যাদের করেছিল মগজ ধোলাই । তবে তাহের কেন জিয়াকে বেঈমান বলে ?? নিজের খোরা কূপে তাহের নিজেই ডুবছে । তাহের আর জিয়া একই মুদ্রার ২ পিঠ মাত্র । ক্ষমতালোভী খুনী এবং দেশোদ্রহী ।

বড়ই বিচিত্র বাংলার ইতিহাস । ০
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.