আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জেলা শহরে সংবাদ সম্মেলন স্ত্রী-সন্তানদের অমানবিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সেনবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট জহিরুল



স্ত্রী-সন্তানদের অমানবিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নোয়াখালীর সেনবাগ পৌরসভার কাদরা এলাকার বাসিন্দা সেনবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মোঃ জহিরুল ইসলাম। আজ নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি তাঁর নির্যাতনের বর্ণনা দেন। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট জহিরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বিগত ২০০২ সালে তিনি সেনাবাহিনীর চাকুরী থেকে অবসরে আসেন। চাকুরীরত অবস্থায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সোমালিয়ায় অত্যন্ত সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন।

নিম্ম বেতনের চাকুরীজিবী হয়েও সব সময় তিনি সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা করতেন। যার কারণে তিনি দুই মেয়ে ও একমাত্র ছেলেকে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি করান। জুনিয়র ক্লাস পর্যন্ত নিজেই শিক্ষকের মত সন্তানদের সার্বক্ষনিক দেখাশোনা করেন। এর পর ২০০৫ সালে হঠাৎ আমার অমতে স্ত্রী সাহারা বানু আমার ছেলেমেয়েদের ভাল প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করানোর কথা বলে তাঁদের নিয়ে ঢাকা চলে যান এবং সেখানে বাসা বাড়া করেন। আমি স্ত্রীর কথামত তাঁদের বাসাভাড়া বাবত মাসে ৬ হাজার টাকা করে দিয়।

এছাড়া ছেলের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিষ্টটার ফি’সহ আরো ১৫ হাজার টাকা করে প্রতিমাসে বাড়ি থেকে নিয়ে যেত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কিছুদিন পর তিনি ঢাকা গিয়ে দেখেন তাঁর স্ত্রী ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঢাকার গুলশানে ২০ হাজার টাকা দিয়ে বাড়ি ভাড়া করে বিলাসি জীবনযাপন করছে। তিনি তাঁদের ওই বিলাসী জীবনযাপনের প্রতিবাদ করলে তাঁর স্ত্রী সন্তানদের তাঁর উপর লেলিয়ে দেন। এতে সন্তানেরা মায়ের কথামত বাড়িতে এসে তাঁর সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে সব টাকা তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। তিনি বাধ্য হয়ে জায়গাজমি বিক্রি করে তাঁদের ঢাকার দেনা ২ লাখ ২০ হাজার টাকা শোধ করেন।

এরপর গত ফেব্র“য়ারি মাসে আবার আমার স্ত্রী ছেলেকে বাড়িতে পাঠিয়ে টাকা দেওয়ার জন্য চাপা সৃষ্টি করেন। এবং না দিলে ছেলের নামে থাকা পন বিহীন ১০ শতাংশ জমি বিক্রি করে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। ওইসময় তিনি আরো ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন। তিনি জানান, এর পর গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে আমার স্ত্রী আরো ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে তিনি মামাতো ভাইয়ের মাধ্যমে আরো ১ লাখ টাকা দেন। কিন্তু আরো টাকার জন্য তারা বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

এই ঘটনায় আমি স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে সেনবাগ থানায় একটি অভিযোগ করি। এর পরদিন তার স্ত্রীও তার বিরুদ্ধে থানায় একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করে। যার কারণে তিনি বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বাড়িতে তাঁর আশ্রয়ে থাকা ক্যান্সার আক্রান্ত বোনও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর পথযাত্রী। কিন্তু তিনি স্ত্রী সন্তানের অত্যচার ও মারধরের ভয়ে তিনি বাড়িতে যেতে পারছেন না।

সংবাদ সম্মেলনে জহিরুল ইসলাম স্ত্রী-সন্তানদের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার পাশাপাশি মৃত্যুর পথযাত্রী ক্যান্সার আক্রান্ত বোনের চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। #

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.