যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
অনেকদিন আমার কলিগের খবর নাই। সে দেশ ছেড়েছে এবং আমি কোম্পানী ছেড়েছি। কালেভদ্রেও দেখা হবার সুযোগ নাই। ভেবেছিলাম বেঁচে গেছি। কিন্তু বিধিবাম, কলিগের ভুত সওয়ার হয়েছে নতুন অফিসের এক কলিগের ঘাড়ে!
কলিগ পত্রখানা পাঠাবেন আমাদের হেডঅফিসে।
অনেক ফাইল যাবে সাথে এটাচমেন্ট হিসাবে। এটা একটা কোয়ার্টারলী রিপোর্ট যেটা তাকেই পাঠাতে হয়। কিন্তু এটাচমেন্টগুলোর ফাইলসাইজ তিনি ঠিক করতে পারেন না বলে আমাকে প্রতিবার তাকে হেল্প করতে হয়।
তো আমি সব ঠিক করে তাকে বললাম, এবার আপনার যা লেখার লিখে সেন্ড করতে পারেন। সংশ্লিষ্টদের ইমেইল এড্রেসও বসিয়ে দিয়েছি।
একটা ফর্মেটের ভিতরে কোথায় কোথায় চেঞ্জ করতে হবে সেটা আবার আমি ইয়োলো মার্ক করে একটু বোল্ড করে দিয়েছি, যেন তিনি সহজেই বুঝতে পারেন এবং বারবার আমাকে জিজ্ঞেস না করেন।
কলিগ একটা বিশাল থ্যাংকস দিয়ে চেয়ারে বসলো এবং তারপরে কিবোর্ডে হাত রেখেই কোন কারণ ছাড়াই এন্টার ও স্পেসবারে দুটো ঘুতো মারলো। ফলে যা হবার তাই হলো, মেইলটা সেন্ড হয়ে গেলো! তারপরে আমার দিকে তাকিয়ে বললো, বস কি হলো? মেইলটা তো চলে গেলো!
আমি মেজাজ গরম করে বললাম, গেলো যে তা তো দেখলাম! কলিগ একবার কিবোর্ডের দিকে তাকায় এবং একবার আমার দিকে। ততক্ষণে মেইলটা আউটবক্স থেকে সেন্ট বক্সে ঠাই করে নিয়েছে। অসম্পূর্ণ একটা মেইল হেড অফিসে চলে গেছে।
এটা একটা বিশাল ঘটনা। বস ঝাড়ি দিয়ে কলিগের লালসুতো বের করে দেবে নিশ্চিত।
কলিগ তখন আমার দিকে তাকিয়ে বললো, বস! জলদি মেইলটা ফেরান! প্লিজ...মেইলটা ফেরান!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।