আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বাস ঘাতক যেই আওয়ামীলীগ নেতারা ১৫ আগস্ট নতুন সরকার গঠন করেন।

ইমানের পরীক্ষা হয় সংকট কালে। ইমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকুন।

১৫ ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে খুনীরা হত্যা করে জাতির জনককে। ঐ দিনই আওয়ামীলীগ নেতা ও মুজিব সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ এক অনাড়ম্ভর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ করেন। অস্থায়ী বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদ হোসেন এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

একই দিন উপ-রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন জনাব মোহাম্মদুল্লাহ। মন্ত্রী পরিষদও গঠিত হয় সেদিনই। মূলত এরা সবাই ছিলেন আওয়ামী লীগ ওবাকশালের সদস্য এবং নির্বাচিত সাংসদ। রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ ( সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী) উপরাষ্ট্রপতি- মোহাম্মদুল্লাহ ( সাবেক রাষ্ট্রপতি) মন্ত্রীসভার সদস্যবৃন্দ: বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ( সাবেক রাষ্ট্রপতি) অধ্যাপক মোঃ ইউসুফ আলী ফনিভূষণ মজুমদার মোঃ সোহরাব হোসেন আব্দুল মান্নান মনরঞ্জন ধর আব্দুল মোমেন আসাদুজ্জামান খান ডঃ এ আর মল্লিক ডঃ মোজাফফর আহমদ চৌধুরী প্রতিমন্ত্রীঃ শাহ মোয়াজ্জম হোসেন দেওয়ান ফরিদ গাজী তাহের উদ্দিন ঠাকুর অধ্যাপক নূরুল ইসলাম নূরুল ইসলাম মঞ্জুর কে এম ওবায়দুর রহমান মোসলেম উদ্দিন খান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ক্ষিতিশচন্দ্র মন্ডল সৈয়দ আলতাফ হোসেন মোমিন উদ্দিন আহমদ খন্দোকার মোশতাক আহমেদ ধারনার চেয়েও নিজেকে বড় প্রমাণিত করলেন। বাকশাল সরকারের ১৮জন মন্ত্রীর ১০জন এবং ৯জন প্রতিমন্ত্রীর ৮জনই মোশতাক সরকারে যোগদান করেছিলেন ১৫ই আগষ্ট বৈপ্লবকে অভ্যুত্থানকে সমর্থন জানিয়ে।

১৫ই আগষ্ট বিপ্লবের দিন বাকশালের একজন শীর্ষ নেতা জনাব আবদুল মালেক উকিল লন্ডনে অবস্থান করছিলেন। সাংবাদিকরা শেখ মুজিবের মৃত্যুতে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি জবাব দিয়েছিলেন, “বাংলাদেশে ফেরাউনের পতন ঘটেছে। ” তাহলে বুঝুন কত বড় বিশ্বাসঘাতক ছিলেন আওয়ামীলীগের সেই সময়ের নেতারা !!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.