বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের কয়েকজন চিকিৎসক হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। বিশ্বে এই প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ নতুন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে তাঁরা এই সাফল্য অর্জন করেন।
বিএসএমএমইউ-এর লিভার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মামুন-আল-মাহতাব জানান, তাঁরা তাঁদের এই নতুন ওষুধটি প্রয়োগ করে ৬০ শতাংশরও বেশি রোগীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছেন। বর্তমানে এই চিকিৎসায় খরচ পড়বে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। আর ভবিষ্যতে ওষুধটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হলে তা আরও কমে আসবে।
অথচ বর্তমানে হেপাটাইটিস বি-র বিরুদ্ধে অন্য যে ইমিউন মডুলেটিং ওষুধটি আছে, সেই পেগাইলেটেড ইন্টারফেরন দিয়ে চিকিৎসা করতে খরচ পড়ে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা। ডা. স্বপ্নীল জানান, তাঁরা দেশি-বিদেশি কোনো ধরনের অনুদান ছাড়াই এ পর্যন্ত এসেছেন।
এ জন্য তিনি দুজন ব্যক্তির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। যাঁরা এই ট্রায়ালে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছেন এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের একজন জাপান-প্রবাসী বাংলাদেশি লিভার বিশেষজ্ঞ শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর।
যাঁর তত্ত্বাবধানে এই ট্রায়ালের সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা জাপানে সম্পন্ন করা হয়। আর অন্যজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের অধ্যাপক সেলিমুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্তও এই ট্রায়ালের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাঁর ইচ্ছাতেই আগামী দুই মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ওষুধটির ফেজ-২/৩ ট্রায়াল আরম্ভ হতে যাচ্ছে। গবেষকেরা আশাবাদী যে আগামী দেড় বছরের মধ্যে ফেজ-২/৩ ট্রায়ার শেষে তাঁরা এই ওষুধটির পেটেন্ট ও এ দেশে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন।
আর সেক্ষেত্রে এটিই হবে এ দেশে সর্বপ্রথম রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত প্রথম ওষুধ। এর ফলে এ দেশের হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত গরিব রোগীরা নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসা-সুবিধা পাবেন।
source
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।