আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আগামী দুই শতকের মধ্যে মানবজাতির বিলুপ্তি ঘটবে!

১২৩

আগামী দুই শতকের মধ্যে মানবজাতির বিলুপ্তি ঘটবে। তাই অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পৃথিবী ছেড়ে অন্য গ্রহে উপনিবেশ স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন হালের শ্রেষ্ঠ জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। বিজ্ঞান বিষয়ক পোর্টাল বিগ থিংক এ দেয়া এক সাক্ষাতকারে প্রফেসর হকিং বলেন, পৃথিবীতে মানব অস্তিত্ব টিকে থাকার ব্যাপারে আমি আশাবাদী, তবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে আগামী কয়েক শতকের পরিপ্রেক্ষিত খুব সতর্কতার সাথে বিবেচনা করতে হবে। তিনি বলেন, সামনের সময়গুলোতে মানবজাতির জন্য আমি বড় ধরনের বিপর্যয় দেখতে পাচ্ছি। নিকট অতীতে এমন অনেক সময় আমরা অতিক্রম করেছি যখন স্পর্শ মাত্রই ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল।

১৯৬৩ সালে কিউবার মিসাইল সমস্যা এর একটি উদাহরণ। ভবিষ্যতে এরকম আরো অনেক সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করবে বলে মনে করেন হকিং। যেসব দেশ ও বিষয় এরকম হুমকি স্বরূপ আবির্ভূত হবে তাদের সাথে সফল সমঝোতায় পৌঁছাতে বিষয়গুলো বিজ্ঞতা ও সতর্কতার সাথে বিবেচনা করতে হবে। নিজেকে একজন আশাবাদী মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যদি আগামী দুশতকের মধ্যে এ বিপর্যয় এড়াতে পারি তাহলে আমাদের প্রজাতিকে বাঁচানো সম্ভব হবে। নিরাপত্তার জন্য মহাশূন্যে জায়গা খোঁজার আর প্রয়োজন হবে না।

হকিং সতর্ক করে দিয়ে বলেন, মানুষ ক্রমাগত বিপজ্জনক সময়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমাদের জনসংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি পৃথিবীর সীমিত সম্পদের ব্যবহার বাড়ছে। কিন্তু পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে কোন কৌশলগত অগ্রগতি হয়নি। অথচ আমাদের জেনেটিক কোড বহন করছে স্বার্থপরতা ও আক্রমনাত্মক বৈশিষ্ট্য।

অবশ্য এ বৈশিষ্ট্যই অতীতে মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার্থে কাজ করেছিল। এখন এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই আগামী হাজার বা মিলিয়ন তো দূরের কথা একশ বছরের মধ্যে আসন্ন বিপর্যয় এড়ানো কঠিন হয়ে যাবে। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের এখন একটিই সুযোগ হাতে আছে আর তা হল পৃথিবী ছেড়ে মহাশূন্যের বিভিন্ন গ্রহে বসতি স্থাপনের চেষ্টা করা। ডেইলি মেইল পত্রিকা স্টিফেন হকিং এর উদ্ধিৃতি দিয়ে বলেছে, গত একশ বছরে মানুষের উল্লেখযোগ্য অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে সামনে একশ বছর যদি তারা এই অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে না পারে তাহলে আমাদের একমাত্র ঠিকানা হবে মহাশূন্য।

Source

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।