সমাজকে বদলানোর জন্য নিজেকে আগে বদলানো প্রয়োজন। আসুন আমরা সবাই বদলে যাই সত্যের আলোয়।
ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার আরুয়া গ্রামে গত শুক্রবার দুপুরে পরকীয়ার টানে মা ও প্রেমিক কর্তৃক শিশু সন্তান জুম্মান হোসেন মুইনকে (৯) হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজাপুর থানা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রেমিক মনির (১৮) ও নিহতের নানা গ্রাম্য ডাক্তার হানিফকে আটক করেছে। স্থানীয় ও থানা সূত্র জানায়, ৮ বছর আগে উপজেলার আরুয়া গ্রামের ডাক্তার হানিফের কন্যা মারুফার সঙ্গে উপজেলা সদরের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের জামালের বিয়ে হয়।
মুইনের জন্মের পর জামাল সৌদি আরবে চাকরি করতে যান। মুইনের লেখাপড়ার জন্য তার নানা মনিরকে লজিং মাস্টার হিসেবে ঘরে রাখেন। মারুফা তার বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় স্বামীর প্রবাস জীবনের সুযোগে মনিরের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। পরকীয়ার খবর জানাজানি হলে জামাল দেশে এসে তাকে তালাক দেয়। জামাল বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন।
মুইন তার মায়ের সঙ্গেই নানা বাড়িতে থাকত। ঘটনার দিন দুপুরে আরুয়া গ্রামের এক মহিলা ফোনে চাচা মন্টু খলিফাকে জানায় মুইন মারা গেছে। খবর পেয়ে মন্টু খলিফা ছুটে যান ভাতিজার জন্য। সেখানে গিয়ে শুনতে পান মুইন পানিতে ডুবে মারা গেছে। এরপর মুইনকে বাঁচানোর আশায় তিনি রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
এ সময় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এলাকাবাসী পানিতে ডুবে মরার কোনো আলামত না পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ মর্গে পাঠায়। এ সময় এলাকাবাসী নিহতের নানা হানিফ ও মারুফার প্রেমিক মনিরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। স্বজনদের দাবি, মুইন দুই বছর আগে সাঁতার শিখেছে। তাই সে পানিতে ডুবে মারা যেতে পারে না।
সুত্রঃ আমারদেশ।
এসব হচ্ছে টা আমাদের দেশে। মানব্তা বলে কি কিছুই নেই? শুধুই কি যৌন লালসায় কি আমাদের দেশের কিছু কিছূ নারীর কাছে অনেক প্রিয়? যার জন্য তারা তাদের গর্ভের ঔরসজাত সন্তানকে পর্যন্ত হত্যা করতে পারে? একজন নারীর জীবনে তার সন্তানের চেয়ে বড় কেউ হতে পারে না। কিন্তু সেই নারী কিভাবে তার সন্তানকে হত্যা করে? সে কি মানুষ নাকি বনের পশুপাখি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।