Change the World
বিভিন্ন সময়ে গবেষকরা জানিয়েছেন চাঁদের বুকে পানি আছে। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন গবেষকরা এই তথ্যের বিপরীত কথাই জানিয়েছেন। তাদের মতে, পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক এই উপগ্রহটি হয়তো কেবল শুষ্কই। খবর বিবিসি অনলাইনের।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, গবেষকরা অ্যাপোলো স্পেস মিশন থেকে বয়ে আনা পাথর বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, চাঁদের বুক থেকে বয়ে আনা পাথরের নমুনা থেকে ক্লোরিন আইসোটোপস বিশ্লেষণ করেছেন তারা।
গবেষকরা জানিয়েছেন, চাঁদের গঠনের সময় ম্যাগমার সমুদ্রে হাইড্রোজেন আদৌ ছিলো না বা যে পরিমাণ ছিলো তা অতি সামান্যই।
গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, চাঁদের গঠন বিষয়ে গবেষকদের তত্ত্ব হলো, মঙ্গল গ্রহের আকৃতির সমান কোনো বস্তুর সঙ্গে নবীন পৃথিবীর সংঘর্ষের ফলেই পৃথিবীর এই উপগ্রহটির জন্ম হয়েছিলো।
গবেষকরা জানিয়েছেন, সাড়ে ৪ বিলিয়ন বছর আগে এই সংঘর্ষের পরে শীতল হয়ে জন্ম হয় চাঁদের।
আর শীতল হবার আগে চন্দ্রপৃষ্ঠে ম্যাগমার এক সমুদ্র ছিলো। এই ম্যগমা হলো গলিত পাথর। গবেষকদের তত্ত¡ মতে, ম্যাগমার মধ্যেই পানির অস্তিত্ব থাকার কথা।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, ১৯৬০ থেকে ৭০ সালের মধ্যে চাঁদে অ্যাপোলো মিশন চালানো হয়েছিলো। সেই মিশনে চাঁদ থেকে পৃথিবীতে বিভিন্ন নমুনা বয়ে আনা হয়েছিলো।
সেই নমুনাগুলো বিশ্লেষণ করেই পানির সন্ধান পাওয়ার কথা এতোদিন গবেষকরা জানালেও মার্কিন গবেষকদলটির বিশ্লেষণে ভিন্ন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে।
জানা গেছে, গবেষকরা এসব নমুনার হাইড্রোজেন খোঁজ করতে ক্লোরিন পরীক্ষা করেছিলেন। তারা জানিয়েছেন, হাইড্রোজেন এর মাত্রা বেশি হলে পানি থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকতো। কিন্তু গবেষণায় চাঁদে পানি থাকার কোনো প্রমাণ তারা পাননি। গবেষকরা জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদ স্রেফ শুষ্কই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।