আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, তারাই উকিল তারাই বিচারক

হট নিউজ

সরকারের যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ইস্যুটি নিছক রাজনৈতিক মতলব হাসিল ছাড়া কিছু নয়। এটা আন্তর্জাতিক কোন আইনেই পড়ে না। যে কারণে আন্তর্জাতিক কোন সমর্থন মেলেনি। বরং বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট আইনবিশারদগণ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এই বিচারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে যে, এ বিচার হবে মানবতাবিরোধী।

আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ আইনবিদ ও বিশিষ্টজনের কিছু বক্তব্য এখানে তুলে ধরা হলো। বিচারপতি টিএইচ খান-- বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল গঠনের মাধ্যমে প্রকৃত আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। ঐ আদালতের সাথে আমাদের দেশে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য গঠিত আওয়ামী লীগের আদালতের আন্তর্জাতিক শব্দটা ছাড়া আর কোন সম্পর্ক নেই। মূলকথা হচ্ছে কিসে আর কিসে ধানে আর তুষে। জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে দিন আর রাত এবং আকাশ আর পাতালের পার্থক্যের মতো।

আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক নিয়োগ করা হয় সারাবিশ্ব থেকে অভিজ্ঞ ও দক্ষ বিচারকদের সমন্বয়ে। যুগোস্লাভিয়া ও রুয়ান্ডাসহ যেখানেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে তাতে সারাবিশ্ব থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে বিচারক করা হয়েছে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয়েছে। যুগোল্লাভিয়ায় নয়টি দেশ থেকে নয় জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমি রুয়ান্ডা ট্রায়ালের বিচারক ছিলাম। সেখানে ৬ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে।

রোমট্রায়াল শুরু হয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৮ জন বিচারককে নিয়ে। আর বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালের অবস্থা হলো আমিই বরের মা-আমিই কনের মা। এখানের অবস্থা হলো তারাই তদন্তকারী তারাই উকিল তারাই বিচারক। তিনি শেরে বাংলার একটি উক্তি এখানে তুলে ধরেন। একজন নির্দোষ ব্যক্তি যেন সাজা না পায় প্রয়োজনে ১০ জনে দোষী খালাস পেয়ে যাক-- এটাই হলো আইনের মূলনীতি।

সেই মূলনীতি এখানে উপেক্ষিত হয়েছে। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হবার আগে কাউকে দোষী বলা যাবে না। এই মূলনীতি উপেক্ষা করে মন্ত্রীরা কারো কারো নাম ধরে বলেছেন তাদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে বিচার কার্যকর করা হবে। মানে রায় আগেই দেয়া হয়ে গেছে। মূল সাক্ষ্য আইনকে এই বিচারিক আইনে কবর দেয়া হয়ে গেছে।

পত্রিকার রিপোর্ট ফটো এটাও নাকি সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য হবে। অমুক অপরাধী আমি তার সহযোগী হিসেবে তার সাথে ছিলাম। এমন সাক্ষ্যও গ্রহণ করা হয়েছে। অথচ এই সহযোগী অপরাধী নয়। এ এক অভিনব আইন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাথে এই আইনের তুলনা কোথায় লিভারপুল আর কোথায় হাতিরপুল এর মতই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.