জাতিসঙ্ঘ ভবনের সামনে সরকারের দমন নির্যাতনের প্রতিবাদে সর্ববৃহৎ সমাবেশ
এখন সময় রিপোর্ট : যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রতি জোর সমর্থন জানিয়ে প্রবীণ সাংবাদিক বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নিউইয়র্ক প্রবাসী জনাব ফাজলে রশিদ এই বিচার ইস্যুতে মূল অপরাধীদের ফিরিয়ে এনে প্রথমে তাদের বিচারের সম্মুখিন করার দাবী জানান বাংলাদেশ সরকারের প্রতি। তিনি বাংলাদেশ সরকারকে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচারে আমিও আপনাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করব যদি আপনারা জেনারেল নিয়াজি, রাও ফরমান আলি, টিক্কা খানসহ পাকিস্তানি আর্মির যুদ্ধাপরাধীদের এনে বিচার করেন। ’ তার পরই কোলাবরেটর হিসেবে বিরোধীদলের নেতাদের বিচারের প্রশ্ন আসতে পারে। গত ৩১ জুলাই শনিবার সর্বস্তরের আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে নিউইয়র্কের ম্যানহ্যাটানে জাতিসংঘের সামনে বর্তমান সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণ, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ বক্তব্য দেন।
সাংবাদিক জনাব ফাজলে রশিদ বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যে অবস্থা চলছে তাতে দেখা যায় সরকারের সহনশীলতা ও সহমর্মিতার বড়ই অভাব।
গণতন্ত্রের আসল কথা হচ্ছে একে অপরের কথা শুনতে হবে। অপরের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। বাংলাদেশে তা হচ্ছে না। বর্তমান সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে বিরোধী দলকে নিধন করা। দেশের জন্য তা মঙ্গলজনক হবে না।
যারা দেশের মানুষের প্রতি শৃগাল-কুকুরের ন্যায় আচরণ করেছে, যাদেরকে আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিয়েছে তাদের বিচারের ব্যবস্থা করা হোক। তাহলে সমস্ত জাতি সরকারের সাথে থাকবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনের উপর গুরুত্ব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মরহুম মান্নান ভূঁইয়ার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সকল নেতা একত্রিত হয়ে মুনাজাত করেছেন দেখে আশ্বস্ত হয়েছি। ’ ঠিক একইভাবে রাজনৈতিক দলগুলো হাতে হাত রেখে চলা উচিত বলে মন্তব্য
‘বাংলাদেশের নির্যাতিত মানুষের পাশে থাকবে আমেরিকানরা’
করেন প্রবীণ এই সাংবাদিক। অসুস্থতা সত্ত্বেও এই প্রতিবাদ সমাবেশের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করার জন্য তিনি সমাবেশে উপস্থিত হন।
উক্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আমেরিকান মুসলমান নেতা ইমাম সিরাজ ওয়াহহাজ, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাত্তার, ক্যাবি সোসাইটির নেতা ডা. মোহাম্মদ আজিজুল্লাহ, লং আইল্যান্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও অর্থনীতিবিদ ড. শওকত আলী, বিল্ডার এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আমিনুর রশিদ জামশেদ, দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, বিএনপি নেতা সোলেমান ভূঁইয়া, তারেক জিয়া মুক্তি পরিষদের নেতা আক্তার হোসেন বাদল, সাংবাদিক শহিদুল্লাহ কায়সার, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আউয়াল, আবু সামিহা সিরাজুল ইসলাম, শাহেদ কমরেড, জেসমিন আক্তার, রারুশ কলেজের সাদিয়া খালেক, কুইন্স কলেজ এমএসএ প্রেসিডেন্ট হাফিজ জাকির আহমেদ। অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ ইসমাইল ও নূরুল আনোয়ার।
আমেরিকান মুসলিম নেতা ইমাম সিরাজ ওয়াহহাজ কোরান-হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। তাই আমি আপনাদের ডাকে সাড়া দিয়ে আজ এখানে এসেছি। বাংলাদেশের মুসলমানদের দুঃখে আমি দুঃখিত হই।
বাংলাদেশের মুসলমানরা বিপদগ্রস্ত বলেই আমি আজ এখানে প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। পৃথিবীর দেড় বিলিয়ন মুসলমানের দুঃখকষ্ট আমাকে স্পর্শ করে। বাংলাদেশের মুসলমানরাও বিশ্ব মুসলিমের একটি অংশ। তিনি বলেন, সকল মানুষ আদমের সন্তান। আদম সন্তান যেখানেই নির্যাতিত হবে সেখানেই মুসলমান হিসেবে তাদের পাশে আমরা দাঁড়াব।
আমেরিকার সকল মানুষ মুসলমান না হলেও আমি মনে করি ন্যায়বিচার সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। বাংলাদেশের নির্যাতিত মানুষদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “আপনাদের পাশে আমি আছি, আমেরিকার মুসলমানরাও আছে, আমেরিকানরাও থাকবে। ”
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক নুরুল ইসলাম জানান আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম বাকশাল কায়েম করার জন্য নয়। শেখ মুজিবুর রহমান কমিউনিস্টের ফাঁদে পা দিয়ে মাত্র পাঁচ মিনিটে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে বিতাড়িত করেছিলেন। একইভাবে বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে শ্বাসরোধ করছে।
সংবিধান সংশোধন করার নামে দেশে আবার কমিউনিজম ফিরিয়ে আনার পায়তারা গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি জানান। মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম অতিসত্ত্বর মাওলানা সাঈদির মুক্তির দাবি জানান।
শহীদুল্লাহ কায়সার বলেন সরকার দেশের সাধারণ জনগণকে বর্তমান সরকার জিম্মি করে রেখেছে। শেখ মুজিবুর রহমান কমরেড মনি সিং এর দ্বারা বিপথগামী হয়ে স্বাধীনতাত্তোরকালে একদলীয় শাসন কায়েম করেন। সেই একই পথ ধরে শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার আবারও পূর্বের বাকশাল কায়েমের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
এ কারণে আজ আমরা জাতিসংঘের সামনে সরকারের এসব অগণতান্ত্রিক কার্যক্রমের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আউয়াল বলেন বাংলাদেশে জনগণের ন্যায়বিচারের অধিকার, নিরাপত্তার অধিকার বিঘিœত হচ্ছে কারণ বর্তমান সরকার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করে না। তারা পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে অগণতান্ত্রিকভাবে আত্মঘাতী বিভিন্ন চুক্তি করেছে যার জন্য দেশের আপামর জনগণকে ভবিষ্যতে মূল্য দিতে হবে। গত কয়েক সপ্তাহে এই সরকার অনেক উচ্চপর্যায়ের নেতাসহ শতশত বিরোধীদলীয় কর্মীদের গণগ্রেপ্তার করে মানবতা ও মানবাধিকারকে পদদলিত করেছে। দেশের পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া বন্ধের পাশাপাশি সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে সরকারের বিরুদ্ধে লেখার কারণে প্রতিহিংসামূলকভাবে গ্রেপ্তার করে যে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে তাতে সরকারের ফ্যাসিবাদি রূপ স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠেছে।
তিনি অতিশীঘ্র বাংলাদেশ সরকারকে এসব অন্যায় অগণতান্ত্রিক আচরণ থেকে সরে এসে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিও তিনি বাংলাদেশ সরকারকে এ ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করতে অনুরোধ জানান।
আমেরিকায় নতুন প্রজন্মের ছাত্রনেতা হাফিজ জাকির আহমেদ বলেন সরকারের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছেন তারা অনেক শক্তিশালী। কমিউনিস্ট ও ভারতীয় চাপের মুখে সরকার বিরোধীদলের নেতৃবৃন্দের সাথে যে অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। হাফিজ জাকির আরো বলেন, “আমি বাংলাদেশে জন্মেছি এবং বাংলাদেশের মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদির অনেক প্রভাব আছে আমার ওপর।
তিনি আমাকে আল্লাহর নিকটবর্তী হতে পথ দেখিয়েছেন। ” এমন একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বকে গ্রেপ্তার করে সরকার ভুল করেছে বলে মন্তব্য করেন এ নবীন ছাত্রনেতা।
সাংবাদিক আবু সামিহা সিরাজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে। টিভি চ্যানেল, সংবাদপত্র বন্ধ করে সম্পাদককে জেলে নিয়ে তারা এক অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ছুড়ে ফেলে তারা একদলীয় শাসন কায়েমের চেষ্টা করছে।
সংবিধানকে পরিবর্তন করে মানুষের ধর্মচর্চার স্বাধীনতাকে অবরুদ্ধ করছে। আমাদের পরিচয় আমরা বাংলাদেশী। বাংলাদেশে অবাঙালি আছেন, আবার ভারতের আসাম, ত্রিপুরা ও পশ্চিম বঙ্গেও বাঙালি আছেন। তাই আমাদের পরিচয় আমাদের রাজনৈতিক পরিচয় আমরা বাংলাদেশী। কিন্তু বর্তমান সরকার আমাদের সে পরিচয়কে অস্বীকার করতে চায়।
তিনি এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
নারী নেত্রী জেসমিন আক্তার ও নতুন প্রজন্মের যুবনেত্রী সাদিয়া খালিক বলেন, “আমরা এখানে আমাদের দেশের ভাইবোনদের অত্যাচারিত হওয়ার প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। বাংলাদেশে বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দ সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে কারাবরণ করেছেন। আমরা তার প্রতিবাদ জানাই। ”
অধ্যাপক শওকত আলী বলেন মানবাধিকার সংগঠনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে তিনি এসেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এরশাদের গলায় ফুলের মালা দিয়েছে, মঈন ইউ আহমেদের সাথে ষড়যন্ত্র করে তারা ক্ষমতায় এসেছে। তারা ইতিপূর্বে ১৯৭৪ সালে জনগণের সাথে বেঈমানী করেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেড় বছরে ৩৮ পারসেন্ট নেগেটিভ ইনভেস্টমেন্ট হয়েছে। ড. আতিয়ার রহমানের রেফারেন্স দিয়ে তিনি বলেন দেশের অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। তিনি এ সরকারকে অতিশীঘ্র ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করার আন্দোলন শুরু করার জন্য উপস্থিত প্রতিবাদী জনতাকে আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা সোলেমান ভূঁইয়া মনে করেন বাংলাদেশে বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচার ও সংবিধান সংশোধনের নামে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি তার অবসান যতশীঘ্র হবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল। দেশের গৌরবময় স্বাধীনতার অর্জন আজ ম্লান হয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র ভারতের তাবেদার হিসেবে সরকারের আচরণের কারণে।
উপস্থিত বক্তাগণ আরও বলেন গণতন্ত্র চর্চার নিয়ামকগুলো হল অবাধ তথ্যপ্রবাহ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, পরমতসহিষ্ণুতা ও সংসদে আইন প্রণয়নে বহুদলীয় প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। বাংলাদেশের বর্তমান আওয়ামী সরকার অগণতান্ত্রিকভাবে বহুদলীয় গণতন্ত্রের স্থলে একদলীয় শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের লক্ষ্যে সন্ত্রাসী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন সরকারী সংস্থার মাধ্যমে অন্যায় গ্রেপ্তার-জেল-জরিমানা, হত্যা, নির্যাতন, গুমসহ নানাভাবে বিরোধী রাজননৈতিক দলসমূহের মনোবলে ভাঙ্গন ধরানো এবং ভিন্নমত ও পথকে নিশ্চিহ্ন করার রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত । ক্ষমতা দখলের পর থেকে রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সাবেক দলীয় ক্যাডার ও খুন-সন্ত্রাসে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে স্বাধীন বিচারব্যবস্থায় নির্লজ্জ দলীয়করণ করে গণতন্ত্রের ভিত্তিতে এ সরকার কুঠারাঘাত করেছে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
প্রতিবাদ সমাবেশ উপলক্ষে প্রকাশিত বুলেটিনে বলা হয় বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, খুন, ধর্ষণ এর মাধ্যমে নারকীয় তাণ্ডব সৃষ্টি করে সাজানো মামলা দিয়ে বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গণ-গ্রেফতার, রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন, দলীয় ব্যবসায়ীক সিন্ডিকেট তৈরি করে চাল-ডাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে চরম জনভোগান্তি সৃষ্টি এবং ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত হানাসহ দেশব্যাপী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদে নিউইয়র্ক প্রবাসী সর্বস্তরের বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করেছে সচেতন বাংলাদেশী প্রবাসীরা।
নিউইয়র্কের সর্বস্তরের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনের মধ্যে কোয়ালিশন ফর বাংলাদেশী আমেরিকান এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ আমেরিকান প্রগ্রেসিভ ফোরাম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ আমেরিকান ক্যাবি এন্ড লিমো সোসাইটি, বাংলাদেশী আমেরিকান প্রফেসরস্ এসোসিয়েশন, এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশী আমেরিকান ইন নর্থ আমেরিকা, নিউইয়র্ক মহিলা কল্যাণ সংস্থা, ডক্টরস্ ফোরাম অব নর্থ আমেরিকা, এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশী ব্যাংকার ইন নর্থ আমেরিকা, বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন, ইমাম এসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা, বিল্ডার্স এসোসিয়েশন, ও প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা ও এসে দেশ গড়ি ইনক উক্ত সমাবেশে বিভিন্ন সেøাগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে যোগদান করে।
উল্লেখ্য জাতি সংঘের সামনে এযাবত কোন একক দেশ বা সম্প্রদায়ের কোন সংগঠনের এত বড় সমাবেশ আর কখনো হয়নি। নিউইয়র্ক সিটি ছাড়াও নিউজার্জি, কানেক্টিকাট ও ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রচুর সংখ্যক লোক মানবাধিকার লঙ্ঘণের প্রতিবাদে উক্ত সমাবেশে সমবেত হয়েছেন। জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, এস্টোরিয়া, ব্রুকলিনবাসীরা নিজ-উদ্যোগে বাসভাড়া করে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।
বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ মহিলাদের এমন স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এর আগে কমই লক্ষ করা গেছে বলে সমাবেশে আগত অনেকে মন্তব্য করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।