আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুরবানী। কুরআনের ভুল ব্যাখ্যা? ইসমাইল না ইসহাক? দেবনারায়নের রীট আবেদন, মুসলিম নামধারী কিছু গাধার অপপ্রচার ও প্রকৃত ঘটনা



অনেকেই বিষয়টি ভালভাবে না বুঝে পোস্ট দিচ্ছেন মন্তব্য করছেন। বিষয়টি নিয়ে এই পোষ্টে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আগে পড়ুন তার পর মন্তব্য করুন। আশা করি এরপর নিজেরাই বুঝতে পারবেন আসল ঘটনা কি? রীট বিষয়ক কালেরকণ্ঠের সংবাদ। Click This Link রীটে যা বলা হয়েছে: কুরআনের কয়েকটি আয়াত উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, উক্ত সুরা ও আয়াতের মমার্থঅনুযায়ী কুরবানী বিষয়ক ঘটনাতে হযরত ইব্রাহীম আ: এর সাথে হযরত ইসমাইল আ: ছিলেন।

কিন্তু আমাদের পাঠ্য বইয়ে হযরত ইসমাইল আ: এর নাম লেখা আছে যা ভুল। এটা সঙশোধন করা প্রয়োজন। পাঠক সুরাটি আরবী বাংলা ইংরেজী অনুবাদসহ পড়ুন: Click This Link আশাকরি ধীরসুস্থে ভালভাবে পড়েছেন। ১০০ নং আয়াত থেকে আবার পড়ুন। সুরাটিতে প্রথমে একজন সুসন্তানের সুসঙবাদ দেয়া হয়েছে।

তার পরে কুরবানীর ঘটনা। তার পরে আরও একজন সুসন্তানের সুসংবাদ। প্রথম সন্তানটির বেলা নাম উল্লেখ নেই। দ্বিতীয়টির বেলায় হযরত ইছহাকের নাম। কুরবানী সঙক্রান্ত আয়াতে কোথাও স্পষ্ট করে বলা হয়নি কুরবানি দেয়ার জন্য কাকে শোয়ানো হয়েছিল।

এই অস্পস্টতার সুযোগে একদল বলছে এটা হযরত ইসমাইল ছিলেন কেউ বলছে হযরত ইসাহাক। এই সুযোগে সুবিধাবাদীরা ছড়াচ্ছে রিউমার। হযরত ইসহাকের পক্ষে ভীমরুল দূরের পাখি সহ অন্য ব্লাগারদের মতামত। http://www.somewhereinblog.net/blog/veemrul/29213252 যার মূল বক্তব্য হলো যেহেতু উক্ত সুরায় ইসমাইলের নাম নেই, ইসহাকের নাম আছে সুতরাং বিষয়টির অস্পষ্টতার মাপকাঠিতে বিচার করলে ইসমাঈলের জন্য অস্পষ্টতা পুরোপুরি আর ইসহাকের জন্য বড়জোড় মাত্র কয়েক ভাগের একভাগ হবে। অতএব ইসহাক-ই কোরবানীর ঘটনার সাথে যুক্ত।

রেফারেন্স হিসাবে দূরের পাখির মন্তব্য বাইবেল কিং জেমস ভার্শন, পড়ুন জেনেসিস ২২ : ১~১২। Click This Link 22&version=NIV. গ্রাউন্ড ফ্লোর ব্লাগার: তাওরাত বা তোরাহ বা ওল্ড টেস্টামেন্ট অনুযায়ি সেই পুত্রটি ছিল তার ২য় পুত্র ইসহাক। http://www.somewhereinblog.net/blog/veemrul/29213252 আমার মতামত : বাইবেলে বলা হয় ঈসা আল্লাহর পূত্র। কুরাআনে বলা হয় আল্লাহর কোন পুত্র সন্তান নেই। এরূপ চিন্তা করা শেরেকী।

সুতরাঙ বাইবেল এর রেফারেন্স দিয়ে কুরাআনের সত্যতা যাচাই করার প্রশ্নই আসে না। হযরত ইসমাইল আ: এর পক্ষের যুক্তি : Click This Link ওমর নামক এ ব্লগারের মন্তব্য। "সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম। অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, ... আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন। " (সূরা আস সাফফাতঃ ১০১-১০২) ...চলাফেরা করার বয়স যার মানে হচ্ছে পিতার সাথে একা একাই চলতে পারে।

আর এই চলাফেরা করার বয়সেই কুরবানী করার ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল কাবার পাশে। আর ইসমাইল (আ) ছোট থাকা অবস্থায় ইসহাক (আ) কখনই মক্কায় যাননি। ইব্রাহিম (আ) এর এক স্ত্রী এবং তার সন্তানকে মক্কার পাশে নির্বাসিত করা হয়েছিল। আর এই সন্তান ছিল ইসমাইল (আ)। এই কাবা ঘরের পাশেই সেই ঐতিহাসিক কুরবানী করার ঘটনা সংঘঠিত হয়েছিল।

ইসমাইল (আ) ছোট অবস্থায় যখন মক্কায় ছিলেন তখন ইসহাক (আ) ও মক্কায় এসেছিলেন এই বিষয়ে কোন দলীলই নেই। কারণ, ইসহাক (আ) ছিলেন ইসমাইল (আ) এর চেয়ে ১৩ বছরের ছোট। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, ইসমাইল (আ) এর পবিবর্তে যে প্রাণীটিকে কুরবানী করা হয়েছিল তার মাথার খুলি কাবায় সংরক্ষিত ছিল। যা এই ঘটনা কাবার পাশে সংঘটিত হওয়ার প্রমাণ আর কাবার পাশে ইসমাইল (আ) এবং তার মা থাকতেন। ইসমাইলের পক্ষে জানতে পড়ুন http://www.islam-qa.com/en/ref/5522/Ibrahim দাসত্ব ব্লাগারের মন্তব্য Click This Link বিষয়টি আদালতের না ধর্মীয় আলেমদের : হিন্দু বা মুসলি কে রীটটি করেছেন তা বিষয় নয়।

আমাদের দেশের বিচারকরা সংবিধান, প্রয়োজনীয় গেজেট ও এক্ট এর মানদন্ডে বিচার করেন। তারা এসব আইনকানুন বিষযে ভালজ্ঞাত। কুরাআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াসবিষয়ে তাদের ধারণা থাকতে পারে তবে এ বিষযে তারা বিশেষজ্ঞ নন। কেন ইসলামী ফেকাহবিদদের কাছে সমাধান না চেয়ে আইনের কাছে চাওয়া হলো? পি মুন্সীর ব্লগ পড়ুন। Click This Link দেব নারায়ণ মহেশ্বর বা তার উকিলকে অবশ্যই পিটিশন দাখিলের কাগজে প্রমাণ করার মত পয়েন্ট লিখে (এফিডেবিট বা সাক্ষ্য দিয়ে) আবেদন জানাতে হবে যে কেন তিনি ঘটনার কারণে সংক্ষুব্ধ (aggrieved), সংশ্লিষ্টতায় ক্ষতিগ্রস্থ ইত্যাদি হয়েছেন।

বাংলায় আমরা যেমন কোন ঘটনার বর্ণনা শুনার পরে বলি, তাতে আপনার কী, আপনি কীভাবে এতে সংশ্লিষ্ট ও ক্ষতিগ্রস্হ বোধ করছেন, সো হোয়াট – সেরকম। সংক্ষুব্ধ প্রমাণ করার মত পয়েন্ট (আইনের পেশাগত ভাষায় Locus Standi) সেখানে না থাকলে (যা বিচারককে কনভিন্স করতে পারে) ঐ রিট পিটিশন বিচারক শুনানির জন্য দিন তারিখ দেবার আগেই খারিজ করে দেবেন। আহমাদিয়া সম্প্রদায় নামাজে রুকুতে যাবার আগে তাকবীর বাধার মত আবার ২ হাত উত্তোলন করে। যা হানাফী মাজহাবের লোকজন করে না। এখন কেউ যদি আদালতে গিয়ে মুসলমানদের অমুক সম্প্রদায় নামাজে হাত তুলে অমুক সম্প্রদায় তুলে না কেন।

তাদেরকে ভুল শেখানো হচ্ছে। এটা শুদ্ধ করা হোক, দাবী করে। আদালত কি বিষয়টি আমলে নিবেন? নিলে তারা কি রায় দিবেন? তাহলে কি উদ্দেশ্য নিযে এই রীট: (১)দেব নারায়ণ মহেশ্বর রাতারাতি খেতিমান হতে চান? (খেতিমান হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় (২). হিন্দু মুসলিম সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত করা, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনের নামে বাংলাদেশে মার্কিন ঘাটি স্থাপন (৩) জামাতি্ ইসলামকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রাজপথে নামতে সুবিধা দেয়া। ( ইসলামের নামে সাধারন মানুষের সাথে জামাতি ইসলামী লোকজন মিশে গিয়ে সারা দেশে অরাজতক পরিবেশ সৃস্টি করে যুদ্ধাপরাধ বিচার কার্যক্রমকে স্থবির করা (৪) বা বিএনপি কর্তৃক সাধারন মানুষের ধর্মীয় অনুভুতি কাজে লাগিয়ে সরকার পতন আন্দোলনকে জোরদার করা (৫) আলীগের কোন রাজনৈতিক সুবিধা আদায় । বিচারের ভার এখন পাঠকের হাতে ?


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.