আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন দিয়ে অস্তিত্ব যাচাই করুন: রফিকুল

সরকারি দলের নেতাদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, ‘আপনারা বলছেন, বিএনপি অস্তিত্বহীন দল। প্রকৃতপক্ষে কারা অস্তিত্বহীন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেখুন। দেখবেন, আপনারা ২০টি আসনও পাবেন না। নিজেদের অস্তিত্বই থাকবে না। ’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক সংকট: নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় রফিকুল ইসলাম মিয়া এসব কথা বলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন জিয়া পরিষদের সহসভাপতি আবদুল কুদ্দুস।
রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, বর্তমান সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাই ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা নিজেদের অধীনেই নির্বাচন করতে চায়।
রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।

নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে, জাতীয় প্রেসক্লাবসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তারা। সরকার ইতিমধ্যে দুটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে। একটি পত্রিকার ছাপাখানা বন্ধ করে দিয়ে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ করেছে। অথচ সরকারি দলের সভা-সমাবেশে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এভাবেই এই সরকার নামে ‘বাকশাল’ কায়েম না করে কার্যত একদলীয় সরকারব্যবস্থা কায়েম করছে।

মূলত, এ কারণে সারা দেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম মিয়া আরও বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ বুঝে গেছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। ’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘আপনি জবাব দেবেন কি, পৃথিবীর কোথায় একটি পার্লামেন্ট থাকা অবস্থায় আরেকটি পার্লামেন্টের নির্বাচন হয়েছে? দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ এখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। সাধারণ মানুষের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করলে আপনি ভুল করবেন।

’ এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের রাজপথে নামতে হবে। আওয়ামী লীগ যেমন হরতাল-অবরোধ দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি এনেছিল, তারও বেশি হরতাল-অবরোধ দিয়ে এই সরকারকে বিদায় জানিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। ’ বিএনপিকে বাদ দিয়ে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না বলেও সরকারকে হুঁশিয়ার করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা।
গোলটেবিল আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন সৈয়দা আশফিয়া আশরাফি পাপিয়া, আবেদ রাজা, শফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, নজরুল ইসলাম প্রমুখ। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.