আজ সকালে গার্মেন্ট ফ্যাক্টরীর একদল ভাড়াটিয়া মাস্তান ঢাকার তেজগাও, মহাখালী, গুলশান এলাকায় তান্ডব চালায়। গাড়ি, দোকান সহ প্রচুর ক্ষতি করে তারা। প্রায় ৩ ঘন্টা রাস্তা বন্ধ থাকে। সৃষ্টি হয় অভাবনীয় যানজট। অনেকে এই ভয়াল দৃশ্য টিভিতে দেখে থাকবেন।
গার্মেন্ট এর বেতন প্রায় ৮০% বাড়ানো হয়েছে। এটা সাধারণ শ্রমিকরা মেনে নিয়েছে। যতদূর জানি খুব বেশী অসন্তোষ নেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে। শত শত ফ্যাক্টরীর মধ্যে কয়েকটাতে বেতন ভাতার সমস্যা থাকতেই পারে।
সংবাদপত্রের কথাই বলি।
দেশের কয়টা সংবাদপত্রে বেতন ঠিকভাবে দেয়? গার্মেন্ট এর অশিক্ষত, অল্প শিক্ষিত শ্রমিকরা এই শিল্পের সুবাদে এখন মোটামুটি খেয়ে বেঁচে আছে, এটাই বড় কথা। তা না হলে এদের অনেকেই বাসাবাড়িতে কাজ করতো, বেকার জীবন যাপন করতো, অন্যের বোঝা হতো।
গার্মেন্ট শিল্পের সাধারণ শ্রমিকরা এই আন্দোলনের সাথে নেই। একটি স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত এতে সন্দেহ নেই। বাংলাদেশ এই শিল্পে আরও সমৃদ্ধি লাভ করুক এটা তাদের প্রত্যাশিত হয়।
আমরা টেলিভিশনে দেখেছি কারা এই তান্ডবের অগ্রভাগে আছে। এদের দু'একজনকে ভালভাবে জিজ্ঞেস করলেই প্রর্কৃত দোষীদের খবর বেরিয়ে যাবে। কারা এদের ফান্ডিং করছে জানা যাবে। এরা কি আসলেই কোন গার্মেন্ট ফ্যাক্টরীর সক্রিয় কর্মী?
এর জন্য প্রয়োজন ভিএফটি অর্থাত ভিডিও ফুটেজ ট্রিটমেন্ট।
দেশের পুলিশ যদি ন্যূনতম যোগ্যতাসম্পন্ন হয় তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যেই ভিটিএফ এর মাধ্যমে এদের সনাক্ত করে একটা উচিত চিকিতসা দিতে পারে, যেন তারা বাপের নাম পর্যন্ত ভুলে যায়।
আনুমানিক ১০/১২ জনকে এই উচিত শিক্ষা দিলে ভবিষ্যতে এরকম ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড বন্ধ হতে বাধ্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।