রাজনীতি বুঝিনা। বাঁকা পথে চলিনা । গন্তব্য ওই তো কিছুদূর সামনেই গ্রেপ্তার হওয়া রানা প্লাজার দুই গার্মেন্ট মালিক রিমান্ডের শুরুতেই অকপটে জানিয়েছেন, রানার চাপেই তারা বাধ্য হয়ে গার্মেন্ট খুলেছিলেন। ওইদিন কারখানা খোলার বিষয়ে রানা বলেছিলেন, কোনভাবেই গার্মেন্ট বন্ধ রাখা যাবে না। হরতালের দিন গার্মেন্ট বন্ধ রাখলে নেগেটিভ ইমপেক্ট পড়বে।
তাই গার্মেন্ট খোলা রাখতে হবে। হরতালবিরোধী মিছিলে গার্মেন্ট শ্রমিকদের অংশ নিতে হবে। ইউএনও-এর সামনেই এসব কথা বলেছিলেন রানা।
ঢাকা জেলা পুলিশের একজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা জানান, রানা প্লাজায় ফাটল দেখা দেয়ার পর মঙ্গলবার সাভার থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গিয়ে ভবনের ফ্লোরগুলো খালি করে দেয়। ওসি আসাদুজ্জামান ভবন মালিককে নির্দেশ দেন- যথাযথ প্রকৌশলীকে দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া যেন ভবনের ভেতর কোন লোক প্রবেশ না করে।
তিনি এ নির্দেশ দিয়ে আসার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ফেলেন ভবন মালিক সোহেল রানা। পরে সোহেল রানা তার কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবকে ভবনে নিয়ে আসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে সোহলে রানা গার্মেন্ট মালিকদের বলেন, ওরা ইঞ্জিনিয়ার। ভালভাবে ভবন পরীক্ষা করেছে।
১০০ বছরেও ভবনের কিছু হবে না। হাওমাও করে কাঁদতে কাঁদতে গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানায়, শ্রমিকদের কাজের ওপর আমাদের সমৃদ্ধি নির্ভর করে। আমরা কি জেনেশুনে ডেকে এনে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারি? পুলিশ জানায়, হরতালের দিনে হরতালবিরোধী মিছিলের জন্য প্রতিদিন সকালে রানা প্লাজার নিচে অনেক লোক জড়ো হয়। মঙ্গলবারও হয়েছিল। রানা হরতালবিরোধীদের নিয়ে প্লাজার আন্ডারগ্রাউন্ডে মিটিং করছিলেন।
ওই সময় ভবন ধসের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ আরও জানায়, হরতাল ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্যরাও হরতালের দিন রানা প্লাজার নিচে থাকে। ঘটনার দিনও ব্যতিক্রম ঘটেনি। পিকেটিংয়ের খবর পেয়ে ঘটনার ৫ মিনিট আগে ওই পুলিশ সদস্যরা পাশের গলিতে ঢোকে। এ কারণে রক্ষা পায় পুলিশ সদস্যরা।
গ্রেপ্তারকৃত পৌর কর্মকর্তারা পুলিশকে জানায়, ভবনে ফাটল দেখা দেয়ার কথা মঙ্গলবারই শুনেছি। প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিইনি। বুঝতে পারিনি- এত বড় দুর্ঘটনা ঘটবে। এ কারণে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়নি। ভবন ধসে পড়ার পর ঘটনার ভয়াবহতার কথা শুনে ভয় পেয়েছিলাম।
ভেবেছিলাম, সেখানে গেলে জনরোষে পড়তে পারি। এ কারণে ঘটনার পর সেখানে যাইনি।
সূত্রঃ মানবজমিন
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।