একটি কিডনি নিয়ে মানুষের বেঁচে থাকাটা অসম্ভব কিছু নয়। কিন্তু যদি বলা হয় একজন মানুষ চার-চারটি কিডনি নিয়ে বেঁচে আছেন, তাহলে হয়তো গালগল্প মনে হতে পারে। কিন্তু একদম সত্যি ঘটনা। যুক্তরাজ্যের ২০ বছর বয়সী জেসিকা কারফের শরীরে চারটি কিডনির অবস্থান নিশ্চিত করেছেন চিকিত্সক।
হাফিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই কেটে যাচ্ছিল জেসিকার দিন।
কিন্তু একদিন হঠাত্ করেই পেটের ডান দিকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন তিনি। চিকিত্সকেরা জানান, এই ব্যথা তেমন কিছু নয়। এটা মূত্রাশয়ের সংক্রমণ। ওষুধ খেলে সেরে যাবে। কিন্তু ব্যথা আর সারে না।
অবশেষে যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে স্ক্যান করানোর পর চিকিত্সক জানান, তাঁর ডান কিডনিতে পুঁজ জমেছে। এ ঘটনার ঠিক ১১ দিন পর আবার পরীক্ষা করে দেখা গেল, ডান দিকে ওই পুঁজ জমা কিডনির পাশে আরও একটি কিডনি আছে। তবে সংক্রমিত কিডনি শিগগিরই অপসারণ করতে হবে।
এরপর গত বছরের জুনে আক্রান্ত কিডনি অপসারণের জন্য জেসিকার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। এ সময় চিকিত্সক (সার্জন) তাঁর শরীরের ডান দিকে আরও একটি সচল কিডনি দেখতে পান।
পরে চিকিত্সকেরা ওই আক্রান্ত কিডনিটি অপসারণ করে ফেলেন। বর্তমানে শরীরে তিনটি সচল কিডনি নিয়ে দিব্যি চলাফেরা করছেন জেসিকা।
জেসিকা বলেন, ‘বিষয়টা যখন জানি, তখনকার অনুভূতি বলে বোঝাতে পারব না। অনেকেই এখন এটা জেনে গেছে। সবাই যখন বিষয়টা নিয়ে বলাবলি করে, তখন বেশ মজার মনে হয়।
’
তবে শরীরের এক পাশে তিনটি কিডনি থাকার ঘটনা বিরল বলে জানিয়েছেন জেসিকার চিকিত্সক রবিন বেবার।
জেসিকার মা অ্যালিসন বলেন, জেসিকা এখন বেশ ভালো আছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।