আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাস্তিকতা মানে স্মার্টনেস!!!!!



আমি সামুর একজন নতুন ব্লগার। সামুতে লিখছি ১ মাস যাবত। তবে লেখালেখির শখ ছোটবেলা থেকেই। আর সেই শখের অংকুরকে প্রস্ফুটিত করতেই সামুতে আমার আগমন। ভালোই লাগছিলো ব্লগিং, লেখাগুলোতে সবের পজিটিভ কমেন্টও মুগ্ধ করছিলো আমায়।

ভাবলাম যাই হোক লেখালেখির একটা বিশুদ্ধ মাধ্যম পাওয়া গেলো। কিন্তু গতকয়েকদিন ধরে সামুর কয়েকটি পোষ্ট পড়ে আমি ভীষণ মর্মাহত হলাম। ইসলাম নিয়ে কাদাঁছুড়াছুড়ির ব্যাপারটা আমার খুব খারাপ লাগলো। শুধু আমার না হয়তো আরো অনেকেরই খারাপ লাগছে, অথচ এই ব্যাপারে সামু কর্তৃপক্ষ নির্বিকার!! আমি খুব ধর্মপ্রান না, তবে ধর্মের রীতিনীতি মেনে চলার চেষ্টা করি। ১ মাস ধরে সামুতে প্রায় ১৭টি পোষ্ট করেছি,একটাতেও নেগেটিভ কমেন্ট পড়েনি,তারপরও সেফ হতে পারলামনা।

অথচ কিছু কিছু ব্লগাররা ইসলামকে নিয়ে নানা আকথা, কুকথা রটিয়ে রাতারাতি হিরো বনে যাচ্ছে। তাহলে আমি কি দোষ করলাম? আজকালকার ছেলেমেয়েরা নাস্তিকতাকে স্মার্টনেস মনে করে, যে যত আল্লাহকে অবিশ্বাস করে সে তত স্মার্ট। নাস্তিকতা হালের ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। আবার এসব নাস্তিকরাই ইসলামএর নাম ফুটিয়ে নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করতেও দ্বিধা বোধ করেনা। ইসলাম বিশ্বাসীদের ধর্ম, শান্তির ধর্ম।

এখানে অবিশ্বাসীদের কোন ঠাঁই নেই। আর আল্লাহর অস্তিত্ব?? সে তো সকল যুক্তি আর প্রমাণের উর্ধে। এ নিয়ে যুক্তি তর্কের কোন অবকাশই নেই। যারা তা করে তাদের মত দুর্ভাগ্যবান ব্যাক্তি আর কেউ নেই। ৯০% মুসলিমের দেশ বাংলাদেশ, আর ধর্মের ব্যাপারে এ দেশের মানুষ সর্বদাই সেন্টিমেন্টাল।

তাদের সেন্টিমেন্টকে টার্গেট করে নাস্তিকদের এই ধরনের আক্রমন তাদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানছে বৈ কি। ছন্নছাড়া নামধারী এক সহব্লগার মুহাম্মাদ (সাঃ) কে হিটলারের সাথে তুলনা করেছেন (নাউযুবিল্লাহ), তার ভাষ্যমতে একদিন পৃথীবির মানুষজন মুহাম্মাদ (সাঃ) কে হিটলারের মতই ঘৃণা করবে, তার দিকে থু থু ছিটাবে!! আমি বলছি- ভাই, তা আপনার মত মানুষেরাই করবে। আপনার মত কিছু মানুষেরাই মুসলমানের ছদ্মবেশ ধারন করে ইসলাম কে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। প্রায় ১৫০০ বছর পুর্বে কোরান নাযিল হয়েছে, মুহাম্মাদ (সাঃ) পৃথিবীতে এসেছিলেন। এই ১৫০০ বছরে যেহেতু বিশ্বাসীদের বিশ্বাসের ভিত নড়েনি, এখনো নড়বেনা ইনশাল্লাহ।

দিন দিন ইসলামের মন্ত্রে দীক্ষীতদের সংখ্যা কমছে না বরং বাড়ছে বৈ কি!! ইসলাম নিয়ে যে কোন যুক্তি তর্কের অবকাশ নেই তার প্রমাণ আল্লহ বহুবার দিয়েছেন। পবিত্র কোরান এর জ্বলন্ত প্রমান। আমি নাস্তিক বা বিধর্মীদের সাথে কোন তর্কে যেতে চাইনা। তর্ক করার মত এতো ইসলামিক বিদ্যা আমার নেই। তবে যতটুকু আছে তা আমি ভালো কাজে লাগাতে চাই।

তারপরও আমিতো মুসলিম। ইসলামের প্রতি বিধর্মীদের এরুপ কটাক্ষ দৃষ্টিতে আমার রক্ত চিরবিড়িয়ে উঠে। আমরা চাইলে সবাই মিলে এদের কালোথাবা থেকে ইসলাম কে রক্ষা করতে পারি, এদেরকে ধ্বংস করতে পারি। কিন্তু ঐযে বললাম না ইসলাম শান্তির ধর্ম, অশান্তি, হিংসা , নৈরাজ্যের কোন স্থান নেই এখানে। আসুন আমরা সবাই মিলে ধৈর্য ধরি।

এসব নাস্তিকদের হেদায়াতের জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি। তিনি পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু। (এই পোষ্টের পর সামু আবার আমাকেই ব্যান করে দেয় কিনা কি জানি?)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।