اللهم هب لي الحجة البالغة والحكمة الموهوبة
بسم الله الرحمن الرحيم
نحمده ونصلي علي رسوله الكريم أما بعد
নাস্তিকতার যৌক্তিকতা।
একজন ধার্মিক একবার এক নাস্তিককে তিরষ্কারের স্বরে প্রশ্ন করে,
আচ্ছা। আপনি যে আল্লাহ কে বিশ্বাষ করো না এর কারণ কি?
নাস্তিকটি বলে,
জনাব, আল্লাহকে কি দেখা যায়?
আস্তিকজন বলেন,
আপনি কি বাতাসের আস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না? বাতাস তো দেখা যায় না।
দেখুন জনাব, বাতাসকে দেখা যায় না কিন্তু তা গায়ে লাগে। অনুভব করা যায়।
নাস্তিকের এই জবাবে ধার্মিক লোকটি মুচকি হেসে মাথা নাড়েন। তারপর বলেন,
উত্তম। আপনি কি মাধ্যাকর্ষণ শক্তিতে বিশ্বাস করেন? এটা কি দেখা যায় বা পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে অনুভব করা যায়?
নাস্তিকটিও এর উত্তর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। পাকা পণ্ডিতে ভঙ্গিতে বলে,
আমরা দুটি কারণে মাধ্যকর্ষণ শক্তিতে বিশ্বাস করি।
(১) এটা দেখা যায় না বা পঞ্চইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করা যায় না কিন্তু অন্য জিনিষের উপর চিন্তা গবেষণা করলে এর অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ যে দেখুন গাছের ফল মাটিতে পড়ে। চাদের টানে জোয়ার ভাটা হয়। বুঝতে পেরেছেন?
জি বুঝতে পেরেছি আপনার দ্বীতিয় কারনটি কি?
দ্বীতিয় কারনটি হলো যদিও এবিষয়ে আমরা সরাসরি গবেষণা করিনি কিন্তু বহু সংখক বিজ্ঞানী এর পিছনে বহু সময় ব্যয় করেছেন। তাদের গবেষণায় এটা প্রমানিত হয়েছে। তারা যা বলেছেন আমরা তা বিশ্বাস করেছি।
ধার্মিকটি খুশি হয়। নম্রভাবে বলেন,
আমরাও উক্ত দুটি কারনেই আল্লাহকে বিশ্বাস করি। আল্লাহকে দেখা যায় না। তাকে পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করা যায় না। কিন্তু এই পৃথিবী আর এই সুশৃঙ্খল সৃষ্টিরাজীর উপর চিন্তা গবেষণা করলে তার আস্তিত্ব প্রমাণিত হয়।
দ্বীতিয় কারণ হলো আমরা নিজেরা অনেক কিছু দেখিনি কিন্তু নবী রাসুলরা দেখেছেন তারা বলেছেন আমরা তাদের কথার উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছি। সুতরাং আপনি যে দুটি কারণে মাধ্যাকর্ষণ শক্তিতে বিশ্বাস করেন একই যুক্তিতে আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমানিত হয়।
নাস্তিকটি এবার ভিন্ন রাস্তা ধরে। আত্মরক্ষার স্বরে বলে,
তাহলে তো জনাব আমি আর আপনি সমান হয়ে গেলাম।
আস্তিকটি মাথা নেড়ে বলে,
সমান কিভাবে? আমি তো দুটোকেই বিশ্বাস করি।
মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকেও মানি আর আল্লাহকেও মানি কিন্তু আপনি তো একটিকে মানছেন অন্যটিকে অস্বীকার করছেন অথচ একই যুক্তিতে দুটিই প্রমানিত। আপনার এই দ্বীমুখিতা কি অযৌক্তিক নয়? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।