আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে যুদ্ধাপরাধের বিচারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এ বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে রাজনীতিকে না জড়াতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ সোমবার ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ চার নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ওই দুই দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা যাতে ন্যায়বিচার ও আইনি সুরক্ষা পান, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিচারপ্রক্রিয়া যাতে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়, সেটাও দেখতে হবে।
দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ‘বিচারপ্রক্রিয়াকে কোনোভাবেই রাজনীতির সঙ্গে জড়ানো উচিত হবে না। যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার বিষয়টি খুব জরুরি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেটা আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ’
এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, যুদ্ধাপরাধের বিচারে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করা হচ্ছে কি না, সেটা খুব জরুরি।
‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশ সরকার ও এ দেশের জনগণের যে প্রত্যয় রয়েছে, সেটা আমরা বুঝতে পারি।
’ মন্তব্য করেছেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই (যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে) যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে তাদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।