ইদানিং রাস্তা-ঘাটে, হাট-বাজারে, স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ে বোরকা বা হিজাব পরিহিতাদের সংখ্যা চোখে পড়ার মত। ১০-১৫ বছর আগে এ ধরণের ট্রেন্ড লক্ষ্য করা যায়নি (সূত্র)। তারও আগে (৭০ ও ৮০’র দশকে) শহর এলাকায় বোরকা বা হিজাব পরিধানকারী মহিলার সংখ্যা ছিল হাতে গোনার মত। সমাজের এই সামগ্রিক পট-পরিবর্তন প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবিদের জন্য হয়ে উঠেছে বড্ড মাথা ব্যথার কারণ। বিভিন্ন ভাবধারার বুদ্ধিজীবিরা যে যার দৃষ্টিকোণ থেকে এ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন।
সেক্যুলার ঘরানার বুদ্ধিজীবি/পলিটিশিয়ানরা অভ্যাসবশত এজন্য দায়ী করে জোট সরকারের নীতিকে। অন্যদিকে তথাকথিত অতিপ্রগতিশীল ও ধর্ম-বিদ্বেষী (মূলতঃ ইসলাম) মুক্তমনারা এ অবস্থাকে আফগানিস্থান বা পাকিস্থানের সাথে তুলনা করতে বিশেষ আকর্ষণবোধ করেন। ইন্টার্নেটে বাংলাদেশে ‘ইসলামিষ্ট’দের এই উত্থান নিয়ে রীতিমত হয় লংকাকান্ড ও অপপ্রচারণা।
সমাজে এ বিভীষিকাময় ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য প্রেসক্রিপশন হিসেবে বাতলানো হয় সেক্যুলার/প্রগতিশীল ভাবধারার জাগরণ। পরিসংখ্যান-প্রিয় পশ্চিমা সমাজের অনেকে যারা বিশ্ব-পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় তারা এসব তথ্য ও অপপ্রচারে ধরেই নিয়েছে বাংলাদেশ হয়তো ইতিমধ্যে আরেকটি আফগানিস্থান বা পাকিস্থানে পরিণত হয়েছে!
আমাদের সমাজের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগতির জন্য পাঠকদের সামনে একটি ছোট ঘটনা মনে করিয়ে দিতে চাই।
ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের গত ৩০ জানুয়ারির রাতের ঘটনা। প্রথম আলো পত্রিকা বিবরণ দেয় এভাবেঃ
“সেদিনের কথা মনে করতেই ডুকরে কেঁদে ওঠেন আরেক তরুণী। তিনি জানান, সেই উৎসবে অনেকে গেছেন স্বামীর সঙ্গে, কেউ সন্তানের সঙ্গে, কেউ বা সহপাঠীদের সঙ্গে। কয়েক হাজার উচ্ছৃঙ্খল তরুণের এ তাণ্ডব দেখে হতবাক সবাই। কলেজের পাশের এলাকা হামিদ উদ্দিন রোডের একটি মেসের ছাত্রী বলেন, ‘অশ্লীলতা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারছিলাম না।
’ মীরবাড়ি সড়কের এক দোকান কর্মচারী বলেন, ‘লাঠি দিয়ে আঘাত করেও অনেক ছেলেকে তাণ্ডব থেকে ফেরানো যাচ্ছিল না। ’ ভুক্তভোগী এক তরুণী বলেন, ‘মানসিকভাবে আমরা ভেঙে পড়েছি। না পারছি পরিবারকে জানাতে, না পারছি চিকিৎসা নিতে। ”
প্রথম আলোসহ বিরোধীদলের নেতা ও কট্টর সমর্থকরা আনন্দমোহন কলেজের এ ঘটনাকে পলিটিক্যাল রূপ দিয়ে দোষ চাপায় ছাত্রলীগের কর্মীদের উপর, তথা বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা! সমাজের দ্রুত অবনমিত অবক্ষয়ের করুণ চিত্র এভাবেই ঢাকা পড়ে পলিটিক্সের আবরণে, ভুক্তভোগীদের চরম আর্তনাদ হয়ে যায় ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর।
সমাজে বখাটে তরুনদের উৎপাতের (ঈভ টিজিং) মাত্রা এতই বেড়ে গিয়েছে যা কিনা শিরোনাম (Bangladesh ‘Eve teasing’ craze takes a terrible toll) হয় বিশ্ব মিডিয়াতে।
বছরের ১৩ই জুন-কে ঘোষণা করা হয় “Eve Teasing Protection Day” হিসেবে। বিবিসি'র সাক্ষাতে শিক্ষামন্ত্রী নুরল ইসলাম নাহিদ বলেন মেয়েরা রাস্তাঘাটে ও স্কুলে নিরাপত্তাহীন। তিনি বলেন এটা কোন অতিরঞ্জিত বিষয় নয়। ঈভ টিজিং-এর কারণে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে, পিছিয়ে দিতে হয়েছে পরীক্ষা। এ পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবক মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মেয়েদেরকে অল্প বয়সেই বিয়ে দিতে হচ্ছে। গত কয়েকমাসে ঈভ টিজিং-এ জলাঞ্জলি হয়েছে ১৪ জন তরুনীর প্রাণ। সমাজকর্মী সুলতানা কামালের মতে ঈভ টিজিং সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন এ অবস্থা চলতে থাকলে মেয়েরা সমাজে সন্মান নিয়ে বাস করতে পারবে না।
ঈভ টিজার বা বখাটে ছেলেরা যখন জীবিকার জন্য বিদেশে পাড়ি জমায়, যাওয়ার সময় তাদের ব্যধিকেও সঙ্গী বানায়।
সুযোগ পেলে এই রোগের প্রকাশ ঘটে বিদেশের মাটিতেও। প্রসংগত, সিঙ্গাপুরে গেট-টুগেদার পার্টিগুলোতে ভাবীরা এ বিষয়ে তাদের বিব্রতকর পরিস্থিতি নিয়ে আক্ষেপ করেন। আমার এক বন্ধু জাপান থেকে পোষ্ট-ডক্টোরাল ফেলোশীপ করার জন্য সিঙ্গাপুরে এসে অনেক বাংলাদেশি দেখে বেশ খুশী হন। কিছুদিন পর ভাবী অত্যন্ত দুঃখের সাথে তার বিব্রতকর অবস্থার কথা জানালেন। উনাকে দেখে আমাদের দেশী ওয়ার্কার ভাই ‘শীষ’ দেন ও প্রেমের গান শুরু করেন! বিদেশে এসেও আমাদের দেশের মেয়েদের রেহাই নেই! দেশী ওয়ার্কার ভাইদের এ সংক্রান্ত কার্মকান্ড কখনো কখনো সিংগাপুরের শীর্ষস্থানীয় পত্র-পত্রিকায় শিরোনাম হয় (যেমন দেখুন)।
ঈভ টিজিং-এর পরবর্তী ধাপ হচ্ছে এসিড নিক্ষেপ। আমাদের দেশে এসিড নিক্ষেপকারীর শাস্তি মৃত্যুদন্ড ধার্য করা হলেও প্রতিবছর প্রায় ২০০ নারীকে এসিডে মুখ বীভৎস্য করে দেওয়া হয় জীবন্ত মৃত্যু-যন্ত্রণা।
ঈভ টিজিং নামক সামাজিক ব্যাধি শুধু আমাদের দেশেই সীমাবদ্ধ নয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমুহে বিশেষ করে ভারতে এ রোগ মহামারি আকার ধারণ করেছে (বিস্তারিত জানতে দেখুন এখানে)। এজন্য ট্রাভেল গাইডবুকগুলো দক্ষিন-এশিয়াতে ভ্রমণকারী মেয়ে টুরিস্টদের এ বিষয়ে অতি গুরুত্বের সাথে পরামর্শ দিয়ে থাকে।
টিপস গুলোর মধ্যে থাকে- ঢিলেঢালা বা রক্ষণশীল পোষাক পরিধান, বিবাহিতের ভান করা, সম্ভব হলে গ্রুপে চলাফেরা করা ইত্যাদি।
বর্তমান সমাজে বোরকা/হিজাব পরিধান করা আগের দিনের (৭০ ও ৮০’র দশকে) মত বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মেয়েরা তাদের সন্মান রক্ষার করার তাগিদে বোরকা/হিজাব পরিধান করছেন। এটা তাদের অধিকার। আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি আমাদের এলাকায় অনেক মেয়ে বোরকা পড়ে স্কুলে যান, যা অনেক সময় দেখতে ছোট-খাটো মিছিলের মত দেখায়।
ঈভ টিজিং থেকে পরিত্রানের জন্য অন্য ধর্মাবলম্বীর মেয়েদের বোরকা পড়ে স্কুলে যাওয়ার নজীরও আছে। অনেক অভিভাবক সন্তানের সন্মান ও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করেই বোরকা/হিজাব পড়তে উৎসাহিত করছেন বা অনেক ক্ষেত্রে বাধ্য করছেন। বাবা-মা অনেক ত্যাগ স্বীকার করে সন্তানকে বড় করে থাকেন। তাদের সন্তানের কোনভাবে অমংগল হোক সে সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিতে পারেন না। পরিতাপের বিষয় এই যে, সমাজে বোরকা/হিজাব উত্থানকে প্রগতিশীলতার দাবিদাররা ইসলামী ভাবধারার জাগরণ হিসেবে দেখিয়ে সমাজিক অবক্ষয়ের বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার ইচ্ছাকৃত চেষ্টা করেন।
তাদের সাথে আবার যোগ দেয় ধর্মের প্রতি বিরূপ মনোভাবধারী কট্ট্ররপন্থী নারীবাদীরাও।
প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের সমাজে আসলেই কি ইসলামিক ভাবধারার উন্মেষ ঘটেছে? বর্তমানের পরিবর্তিত বিশ্ব-পরিস্থিতিতে অনেকের মধ্যে ইসলামের প্রতি সচেতনতা লক্ষ্য করা গেলেও তা সামগ্রিকভাবে ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে তেমন আচঁর লাগেনি, বরং উলটো ট্রেন্ড পরিলক্ষিত হয়। বর্তমানে বোরকা পরিহিতাদের অনেকেই ইসলামের অন্যতম মূলভিত্তি সালাত আদায়ে তেমন যত্নশীল নন। এমনকি রাস্তাঘাটের পরপুরুষ থেকে হিফাজত করার জন্য যে সর্বোচ্চ মাত্রার পর্দাকে (নিকাবসহ বোরকা) তারা অনুসরণ করছেন, বাসায় চাচাত/খালাতভাই/দেবর (যাদের সামনেও কিনা একইরকম পর্দার বিধান)-এর সামনে বোরকা-নিকাবহীনভাবে এবং নির্দ্বিধায় মাথা না ঢেকেই উঠাবসা করছেন। ১৫/২০ বছর আগে প্রগতিশীলতার মাপ-কাঠিতে সমাজ পিছিয়ে থাকলেও সামাজিক রক্ষণশীলতায় বা শালীনতায় তুলনামূলকভাবে উন্নত ছিল।
তখন যেমন বোরকা পরিহিতা কম ছিল, তেমনিভাবে ঈভ টিজিংও কম ছিল। সমাজ ক্রমান্বয়ে প্রগতিশীলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে, আর সাথে সাথে ঈভ টিজিং মহামারি আকার ধারণ করছে। অন্যদিকে আবার বোরকা/হিজাবও বাড়ছে! প্রসংগত, নব্বইয়ের শেষের দিকে ডিশ কালচার শুরু হলে সমাজবিজ্ঞানী ও সংস্কৃত জগতের লোকজন দেশের কৃষ্টি-কালচার গেল গেল বলে আশঙ্কা করছিলেন। এক যুগ যেতে না যেতেই কৃষ্টি-কালচার নিয়ে উদ্বিগ্ন সংস্কৃত কর্মীদের কেউ কেউ চ্যানেল টিভির পৃষ্ঠপোষকতা করছেন অথবা নিজেরাই চ্যানেল টিভির মালিক হয়েছেন! দশ বছর আগে পরিবারের সবাই মিলে (বাবা-মা, ভাই-বোন, জামাই-শ্বশুর) সাধারণ কোন বাংলা বা হিন্দি মুভি/গান দেখতেও বিব্রতবোধ করতে দেখা যেত। কিন্তু বর্তমান সমাজে পরিবারের সদস্যরা একসাথে বেডরুমের অন্তরংগ দৃশ্য উপভোগ করতেও তেমন কুন্ঠাবোধ করেন না।
যদিও মনে হচ্ছে ঠিক না, তবুও কেন আমরা জানি নির্বিকার হয়ে থাকি। গত চার-পাঁচ বছরে সমাজে পোশাক-আশাকের পরিবর্তন রীতিমত চোখে পড়ার মত। ঈভ টিজিং এর উপর বিবিসি’তে লিখা নিজের আর্টিকলে বলিউড তারকা প্রীতি জিনতা মনে করেন হিন্দী মুভি দিনে দিনে সেক্সুয়ালাইজড হয়ে যাচ্ছে, যেখানে মেয়েদেরকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। তিনি লিখেন এভাবেঃ
"Unlike the Hindi film heroine of yesteryear, who was largely the epitome of purity and had a certain dignity, there is today an emerging “genre” of B-grade skin flicks that showcase “sexy” heroines in slinky costumes. In one such film, the hero grabs his heroine on a smoky strobe-lit dance floor and orders her to stare at him till she goes weak in the knees and begins breathing heavily. All this in their first interaction!
Such distorted in-your-face sexuality on 24/7 television and mainstream cinema sends a clear green signal to the impressionable men in the audience, telling them that behaviour like this is justified."
আমাদের দেশের চ্যানেল টিভির অনুষ্ঠানাগুলোও প্রগতিশীলতার ছাপ রাখতে পিছিয়ে নেই। স্বনামধন্য ও রুচিশীল বলে পরিচিত প্রযোজকের পরিচালনায় সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা সিনেমায় সমাজের হাল-চাল তুলে ধরতে কিন্তু অশ্লীল ও কু-রুচিপূর্ণ পন্থাই বেছে নিয়েছেন (মুভি রিভিউ দেখুন)! ইয়ো প্রজন্মের কথা বাদই দিলাম।
যুক্তিসংগত কারণে সমাজিক এই অবক্ষয় (ঈভ টিজিং) থেকে নিরসনে আমরা প্রগতির শিখরে অবস্থান করা সমাজ ব্যবস্থাকে অনুসরণ করতে পারি, কেননা তাদের সমাজে ঈভ টিজিং তেমন সচরাচর চোখে পড়ে না, এসিড মারার ঘটনাও তেমন নেই। সমাজিক মহামারি নিরসনে প্রগতিশীল সমাজের প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করতে চাইলে তাদের সামাজের মুক্তচেতনার ভ্যালু (রীতিনীতি) সমুহও আমাদের রপ্ত করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের সমাজের মন-মানসিকতা সে পর্যায়ে পৌছেছে কিনা? আমাদের বাবা-মা কি মানসিকভাবে প্রস্তুত যে টিনেজ সন্তান বা তরুন-তরুনীরা বয়-ফ্রেন্ড বা গালফ্রেন্ড নিয়ে তাদের বেডরুমের পাশের ঘরেই রাত্রিযাপন করবে? প্রগতিশীল সমাজে এটা সহজভাবে গ্রহণ করা হয়। আমাদের বাবা-মা’রা কি টিনেজ সন্তানের গর্ভপাতরোধে সন্তানকে জন্মনিয়ন্ত্রনের পদ্ধতি ব্যবহারে অনুপ্রাণিত করবেন? সাম্প্রতিক রিপোর্টে পশ্চিমা সমাজে টিনেজ গর্ভধারণের হার কিছুটা কমাতে সমাজবিজ্ঞানীরা বেজায় খুশী, কেননা তরুনদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার আশাতীতভাবে বেড়েছে! ২০ বছর বয়সের শতকরা ৭৫% তরুন-তরুনী যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে (বিস্তারিত)। তাছাড়া, ইন্টার্নেট পর্ণোগ্রাফির সহজলভ্যতা বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রগতিশীল সমাজ সম্পর্কে ধারণা পেতে নীচের ভিডিওটি দেখতে পারেন। ১৩ বছর বয়সের বালকের বাবা হওয়ার কাহিনী। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য হচ্ছে যে আরো আটজন টিনেজার ঐ শিশুর পিতা হিসেবে দাবী করেছে!
আমাদের সমাজ প্রগতিশীলতার শৈশব পার করে সবেমাত্র কৈশোরে পদার্পণ করেছে। তরুন-সমাজ সামাজিকভাবে প্রগতিশীলতার ফলশ্রুতিতে বিভিন্নভাবে প্রতিনিয়ত তাড়নায় তাড়িত হয়, যা কিনা প্রশমিত করার প্রয়াস পায় ঈভ টিজিং নামক সামাজিক অবক্ষয়ের মাধ্যমে। অন্যদিকে পাশ্চাত্য সমাজের তরুনরা তাড়না প্রশমিত করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত প্রগতিশীল ভ্যালুর উপর ভিত্তি করে।
আমরাও ক্রমাগত সেই প্রগতিশীলতার দিকে এগিয়ে চলছি। প্রগতিশীল এলিটদের কাছে এই সবই কিনা ইসলামের দিকে ঝুঁকে পড়ার আলামত!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।