জেডআসাদ'স
ওবামা প্রশাসন সম্প্রতি এক মার্কিন মিসরীয় নারীকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেছে। Dalia Mogahed নামের এই নারী হোয়াইট হাউজের প্রথম হিজাব পরিহীতা মুসলিম নারী!!
ভাবতেই অবাক লাগে যে ওবামা প্রাশাসন কে ইসলামের শত্রু মনে করা হয় তারা একজন হিজাবধারী কে হোয়াইট হাউজে কিভাবে এলাউ করল। হয়ত বা ওবামা প্রশাসন যুদ্ধ করার মনোবল এবং সক্ষমতা দুই’ ই হারিয়ে ফেলেছে। তাই তারা চাচ্ছে মুসলিম বিশ্বের বিশ্বাস অর্জন করতে।
যেখানে ওবামা প্রশাসন একজন মুসলমানের বিশ্বাস কে সম্মান দিতেছে, একই সময় বাংলাদেশের মত সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম দেশে কিছু প্রগতিশীল নামধারী মানুষ প্রকাশ্যে হিজাবের বিরুধীতা করছে!!!
কিছুদিন আগে নামী এক পাবলিক ভার্সিটির শিক্ষিকা হিজাব পরিহীতা ছাত্রী কে ব্যাকডেটেড, সন্ত্রাসী বলে ক্লাস থেকে বের করে দিয়েছেন!! ইনি আমাদের প্রগতিশীলদের ধারক।
আমাদের প্রগতিশীলরা মনে করেন, নারীরা মাথার কাপড় ফেলে, দুই লাইন রবীন্দ্র সঙ্গীত আওড়ালেই প্রগতিশীল হওয়া যায়। ভাল তো। তাহলে ডালিয়া মোজাহেদ কি প্রগতিশীল নন? অবশ্যই প্রগতিশীল। এই প্রগতিশীল নারী সব কিছুর আগে ইসলামের অনুশাসনকে নিজের আইডেনটিটি মনে করেন। আর আমাদের সো কল্ড প্রগতিশীলরা শুধু মাত্র পশ্চিমা রীতি নীতির ধারক মাত্র।
অথচ ধর্মীয় আইডেনটিটি মুখ্য হওয়া উচিত ছিল। ইসলাম নারী কে বেঁধে রাখেনি, শিক্ষার অধিকার দিয়েছে, গবেষনার অধিকার দিয়েছে, দিয়েছে রুটিরুজি করার অধিকার। অবশ্যই তা ইসলামিক আইডেন্টিটি বজায় রেখে।
মজার কথা হল, মার্কিন সাংবাদিকরা যখন Dalia Mogahed এর কাছে জানতে চেয়েছিল যে, আপনার বেশ-ভূষা ও পোশাক-পরিচ্ছদের মধ্যে আপনার উচ্চ শিক্ষা ও জ্ঞানেরগভীরতা প্রকাশ পাচ্ছেনা। তার জবাব টা ছিল চমৎকার ।
“আদিম যুগে মানুষ ছিল প্রায় নগ্ন । শিক্ষা ও জ্ঞান চর্চার উন্নতির সাথে সাথে পোশাক পরিধান করে সভ্যতার উচ্চ শিখরে আরোহণ করতে থাকে । আমি যে পোশাক পরিধান করেছি, তা শিক্ষা ও চিন্তাশীলতায় উন্নতি ও সভ্যতার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ । নগ্নতা যদি উন্নত শিক্ষা ও সভ্যতার চিহ্ন হতো, তাহলে বনের পশুরাই হতো পৃথিবীর সবচেয়ে সুসভ্য ও সুশিক্ষিত। “
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।