ivwe‡Z Aa©hyM ci ïiy n‡”Q Avš—:wefvM weZK© cÖwwZ‡hvwMZv \
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্যারিস রোড। দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায় গগনসিঁড়ি নামের সুউচ্চ গাছ দিয়ে রোডের দু‘পাশে সজ্জিত এই প্যারিস রোডটিকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিকরণের লে ক্যাম্পাসের কাজলা রোড থেকে শের ই বাংলা হল পর্যন্ত রাস্তার দুধারে এই গগনসিঁড়ি গাছ লাগানো হয়। এই গাছগুলোকে বলা হয় রেইন ট্রি। গাছের পাতা বৃষ্টির পত ঝড়ে পড়ে বলে গাছের নাম রাখা হয় রেইন ট্রি।
রেইন ট্রি গাছগুলো বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। তৎকালীন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আলী মোহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে সিলেট অঞ্চল থেকে গাছগুলো নিয়ে আসা হয়। রোডটি দেখতে সুন্দর, পরিচ্ছন্ন, ছিমছাম অনেকটা ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস শহরের মত। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থীরা এর নাম রাখেন প্যারিস রোড। কথিত আছে, একবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিার্থী ক্যাম্পাসের কিছু ছবি তুলে তার বন্ধুর নিকট পাঠায়।
বন্ধু দেখে বলে এটি কোন দেশের ছবি। সেই শিার্থী হেসে বলে এটি আমাদের ক্যাম্পাসের উঠানো ছবি। তার মধ্যে অন্যতম ছিল প্যারিস রোডের ছবিটিও।
ধারনা করা হয় দেশের আর কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানে এরকম সুউচ্চ গাছের বিন্যাস নেই। কাজলা গেট থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়া ঘেঁষে রোডটি শেরে-ই-বাংলা হল পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কয়টি অবকাঠামো আছে তার মধ্যে প্যারিস রোড সহজেই দর্শনার্থীদের মন কেড়ে নেয়। দেশের দুরদুরান্ত থেকে শিাসফরে আসা দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলেও বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া গেছে। তাদের অনেকেই মতপোষন করেছেন যে তারা শুধু প্যারিস রোড দেখার জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় এসেছেন।
তারা বলেন, রোডের দু‘পাশে এই গাছগুলো দ্বারা সজ্জিত এতো সুন্দর মনোরম পরিবেশ সত্যিই মনে রাখার মত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থীদের কাছেও রোডটির আবেগ মিশ্্িরত গুরুত্ব রয়েছে।
বিকাল হলইে শিার্থীরা তাদের প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরে বেড়ায় এখানটিতে। রাস্তার দু‘পাশে বন্ধুরা মিলে দীর্ঘণ আড্ডা দেবার বিষয়টিও ল্য করা যায়। আবার এই রাস্তার সাথেই মিশে আছে শিার্থীদের অনেক আনন্দ-বেদনার কাহিনী। কেননা ক্যাম্পাসে কোন আনন্দঘন মুহুর্ত আসলেই শির্থীরা এই রাস্তাটিকেই বেছে নেয়। তেমনি অনেক দুঃখের ঘটনার চুড়ান্ত ত্রে এটি।
ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিটি সংঘর্ষের কালের স্বাী বলা চলে রাস্তটিকে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় এরূপ নানা বাহারি গাছ রয়েছে। যেইগাছগুলো রাবির উজ্জলতাকে আরও দ্বিগুন করে । এছাড়া বিকেল ও রাতের বেলায় রাবির বিভিন্ন বিভাগের শিককেরা এই রোডটিকেই হাঁটাহাটির জন্য বেছে নেয়। শুধু শিকই নয়, শিার্থীরাও বিকেল হলেই তাদের প্রিয়জন বা বন্ধুদের নিয়ে এই রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।
আবার কেউ কেউ অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দেয় প্যারিস রোডের পার্শে গড়ে ওঠা সিমেন্টর বেঞ্চগুলোতে। কেউ বা আবার মনের সুখে গান করে। প্রতিটি শিার্থীরই ছোট বড় কোন স্মৃতি এই রোডটিকে ঘিরে রয়েছে।
সবমিলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিার্থীরই খুব পছন্দের একটি জায়গা এই প্যারিস রোড।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।