শনিবার খুলনার রূপসা উপজেলায় তার সঙ্গী মোটর সাইকেল চালককেও দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত খান জাহিদ হাসান (৫৩) আওয়ামী লীগের ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। তিনি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন।
খুলনায় জাহিদের বাসা রয়েছে। সেখান থেকে ফকিরহাটে ফেরার পথে সকাল পৌনে ১০টার দিকে খুলনা-বাগেরহাট সড়কে আমদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাকে হত্যা করা হয় বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন।
জাহিদ হাসান নিহত হওয়ার খবরে ফকিরহাট উপজেলা সদরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। হত্যাকাণ্ডের খবর শোনার পরপরই উপজেলা সদর ও ফকিরহাট বাজারের সব দোকান-পাট বন্ধ হয়ে গেছে।
ফকিরহাট থানার ওসি মাসুদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়েছি। তবে ঘটনাস্থল খুলনা জেলায় হওয়ায় সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ কিছু জানাতে পারেনি।
ওসি মাসুদ বলেন, “হত্যাকাণ্ডের কোনো প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি বলে আমরা জানতে পেরেছি, তবে বিস্তারিত কোনো খবর এখনো পাইনি। ”
লাশ দুটি রূপসায় রয়েছে। তা ফকিরহাটে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।
নিহত অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তিনি ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালাতেন।
ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জাহিদ খুলনার বাড়ি থেকে পূর্বপরিচিত ওই চালকের মোটর সাইকেলে করে ফকিরহাট আসতেন।
“জাহিদ আসার সময় আমদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসীরা তাদের গুলি চালিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়,” বলেন তিনি।
জাহিদ ফকিরহাট উপজেলা সদরের সাতশৈয়া গ্রামের খান ইলিয়াস হাসানের ছেলে। তিনি এনিয়ে তৃতীয়বার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।