মানুষের সমাজে এক মুহূর্ত বাঁচতে চাই
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার ঠিক পরই উপযুক্ত গুরুত্ব সহকারে যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু এবং বিচার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে অপরাধীদের তাদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি দেয়া দরকার ছিল। প্রথম দিকে কিছুসংখ্যক ব্যক্তিকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে গ্রেফতার ও আটক রাখার পর তাদের সবাইকেই ছেড়ে দেয়া হয়। শুধু ছেড়ে দেয়াই নয়, তাদের প্রতি শেখ মুজিব আহ্বান জানান দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগের জন্য।
১৯৫ জন পাকিস্তানি সামরিক অফিসারকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওইভাবে গ্রেফতারকৃত অপরাধীদের বাংলাদেশের কারাগারে আটক রাখাই এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বাক্ষর হিসেবে প্রয়োজন ছিল।
কিন্তু নিজেদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের দাবি জলাঞ্জলি দিয়ে তত্কালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাদের ভারতীয় সামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে ছেড়ে দিয়েছিল। সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলাদেশের জনগণের জন্য যতই প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ হোক, পাকিস্তানের সঙ্গে দরকষাকষির জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল তাদের নিজেদের কব্জায় রাখা। ভারতেরই জয় হয়েছিল। তারা বাংলাদেশ থেকে ওই যুদ্ধাপরাধীদের নিজেদের দেশে নিয়ে গিয়েছিল।
সেই যুদ্ধাপরাধীরা ভারতে আটক থাকার সময় শেখ মুজিব ও তার মন্ত্রী কামাল হোসেন কয়েকদিন পরপরই এই বলে আওয়াজ দিতেন যে, যুদ্ধবন্দিদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে।
তত্কালীন সংবাদপত্রে ওই বক্তব্য নিয়মিতভাবেই প্রকাশিত হতো। এভাবে কিছুদিন চলার পর দেখা গেল ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে পাকিস্তানে ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিল। বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের ওই সিদ্ধান্তকে সালাম জানালেন। পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীরা কোনো বিচারের মুখোমুখি না হয়েই দেশে ফেরত গেল।
বাংলাদেশের মাটিতে যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সামরিক অফিসারদের বিচার হবে—এই আওয়াজের পর তাদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে তাদের যুক্তি হলো, যদি সেই যুদ্ধাপরাধীদের ফেরত না দেয়া হতো এবং বাংলাদেশে তাদের বিচার ও শাস্তি হতো তাহলে পাকিস্তানে আটক সামরিক ও বেসামরিক হাজার হাজার লোককে পাকিস্তানিরা হত্যা করত! কাজেই ‘মহানুভব’ শেখ মুজিব পাকিস্তানে আটক বাংলাদেশীদের জীবন রক্ষার জন্যই পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছিলেন!! প্রথমত. তা-ই যদি হয়, তাহলে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার আইনমন্ত্রী মাসের পর মাস কেন এই বিচারের কথা দেশের জনগণকে শোনালেন? কেন তিনি এ কাজ করলেন? এ কথা বলতে থাকার সময় কি বাংলাদেশীরা পাকিস্তানে আটক ছিলেন না? বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলে পাকিস্তানে আটক হাজার হাজার বাংলাদেশীকে হত্যা করা হবে—এই জ্ঞানের উদয় কি তখন তাদের মস্তিষ্কে হয়নি? সেটা যদি না হয়, তাহলে কী কারণে তাদের মাথায় পরে এ জ্ঞানের উদয় হলো এবং পাকিস্তানে আটক স্বদেশবাসীদের জীবন রক্ষার জন্য তাদের হৃদয় ব্যাকুল হলো? এ ধরনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন যদি অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ কারণে না হয়ে থাকে তাহলে শেখ মুজিবুর রহমানকে একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিতান্তই নাবালক এবং অপরিপকস্ফ বলতে হবে।
কারণ পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে শাস্তি দিলে পাকিস্তানে আটক বাংলাদেশীদের পাকিস্তানিরা হত্যা করবে, এই বোধ তার মাথায় আসতে অনেক দেরি হয়েছিল। বস্তুতপক্ষে এই বোধ তার মাথায় এসেছিল ভারত সরকার পাকিস্তানি সামরিক অফিসারদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর। এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বাংলাদেশের কোনো ভূমিকা ছিল না, ভারতের এ সিদ্ধান্ত রদ করার কোনো ক্ষমতা বাংলাদেশের ছিল না। কাজেই এ ব্যাপারে বাংলাদেশের অনেক হম্বিতম্বির পর গোঁফ নামিয়ে ফেলার কারণ ভারতের সিদ্ধান্তের কাছে শেখ মুজিবের আত্মসমর্পণ। এর সঙ্গে তার ‘মহানুভবতার’ কোনো সম্পর্ক ছিল না।
পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে শেখ মুজিবের মহানুভবতার কথা একটা ধাপ্পাবাজি এবং জনগণের সঙ্গে প্রতারণার ব্যাপার ছাড়া অন্য কিছুই ছিল না।
দ্বিতীয়ত. ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকার ও তাদের সামরিক বাহিনী বাংলাদেশে যে ব্যাপক গণহত্যা করেছিল, যেভাবে লাখ লাখ লোক হত্যা করেছিল, তার জন্য পাকিস্তান আন্তর্জাতিকভাবে ধিকৃত ও প্রায় একঘরে হয়েছিল। পরাজয়ের পর তাদের দেশেও যে প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তাতে যুদ্ধ শেষে সেখানকার লোক সামরিক বাহিনীর কর্তা ইয়াহিয়া খানের গলায় মাল্যদান করেনি। তাকে তাড়িয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল। সে অবস্থায় বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে পাকিস্তানি সামরিক অফিসারদের বিচার হলে পাকিস্তান সরকার সেখানে আটক বাংলাদেশীদের হত্যা করবে, এ চিন্তা মহা মূর্খ ছাড়া আর কে করতে পারে? অথবা ঘৃণ্য মতলববাজ ছাড়া আর কে বলতে পারে?
তৃতীয়ত. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ব্যাপার।
কাজেই বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে—এই অজুহাতে পাকিস্তানে আটক বেসামরিক ও সামরিক বাংলাদেশীদের পাকিস্তান সরকার হত্যা করবে, এটা তত্কালীন বিশ্ব পরিস্থিতিতে অচিন্ত্যনীয় ছিল। পাকিস্তান সরকার সেরকম কোনো সঙ্কটের কথা কোথাও কোনোভাবে ব্যক্ত করেনি। সেটা তাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির ব্যাপার হতো। যুদ্ধাপরাধী সামরিক অফিসারদের বিচার বাংলাদেশে হচ্ছে, এ কারণে তাদের সরকার আটক বাংলাদেশীদের হত্যা করতে পারে—এ চিন্তা তখন কারও মাথায় ছিল না। পরেও সেটা কারও মাথায় আসেনি, একমাত্র উর্বর মস্তিষ্কসম্পন্ন মতলববাজ আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব ছাড়া।
তারা তাদের মস্তিষ্ক প্রসূত এই মিথ্যা তাদের প্রচার মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার পর তাদের দলীয় লোকেরা এটাকেই যুদ্ধাপরাধীদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর যুক্তি হিসেবে জাবর কাটার মতো করে বলে চলে। এর দ্বারা শুধু যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের দেউলিয়াপনা এবং মতলববাজিই প্রমাণিত হয় তা-ই নয়, চিন্তা ক্ষেত্রে তাদের দলীয় লোকজনের অতি নিম্ন রাজনৈতিক চেতনার পরিচয়ও এর মধ্যেই পাওয়া যায়।
শেখ মুজিবের ‘মহানুভবতার’ শেষ ছিল না। জুলফিকার আলী ভুট্টো ছিলেন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার সব থেকে ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধী। যাদের যুদ্ধাপরাধের কারণে লাখ লাখ বাংলাদেশী নিহত হয়েছিলেন, তাদের মাফ করে দিয়ে বন্ধুভাবে আলিঙ্গন করা ‘মহানুভবতা’ ছাড়া আর কী? কাজেই ওই মহানুভবতার বশবর্তী হয়েই ১৯৭৪ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলনে শেখ মুজিব ভুট্টোকে ‘আমার প্রিয় পুরনো বন্ধু’ বলে সম্বোধন করে তার গালে চুমু খেয়েছিলেন! তিনি ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ারের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, অতীত আঁকড়ে থাকা ঠিক নয়।
অতীতকে ভুলে গিয়ে সামনের দিকে তাকানো দরকার!! এসব আমার কোনো বানানো কথা নয়। তখনকার সংবাদপত্রেই এসবের বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল।
লাহোর ইসলামী সম্মেলনের পর শেখ মুজিব ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান। সম্মানিত রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে তাকে তিনি রাজকীয় সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। এ সবই ছিল শেখ মুজিবের ‘মহানুভবতার’ পরিচায়ক!! কিন্তু আমরা কি জিজ্ঞেস করতে পারি, ৩০ লাখ বাংলাদেশী হত্যার জন্য যে ক্রিমিনাল দায়ী ছিল তার প্রতি ওই ‘মহানুভবতা’ প্রকাশের অধিকার আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবকে কে দিয়েছিল? ওই মহানুভবতা কি জনগণের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা ছিল না? প্রকৃতপক্ষে ওই বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমেই শেখ মুজিবের নেতৃত্বাধীন সরকার ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি ধামাচাপা দেয়।
অথবা বলা চলে তার যবনিকা পতন ঘটায়।
এই যবনিকা উত্তোলন করে নতুনভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনার ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়নি। হওয়ার কথাও ছিল না। কারণ যে মতিউর রহমান নিজামীকে তারা এখন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে জেলে পুরেছেন, তারই সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে তিনি সরকার গঠন করে জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিলেন।
যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনেক আগেই সম্পন্ন হওয়া দরকার ছিল সেটা না করে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারকে ধামাচাপা দিয়ে যারা দেশের জনগণের সঙ্গে বেঈমানি করে এসেছে, তারা হঠাত্ এমন কোন কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে বিরাট তোলপাড় শুরু করেছে, এটা সাধারণভাবে অনেকের কাছে রহস্যজনক মনে হতে পারে।
কিন্তু এর মধ্যে কোনো রহস্য নেই এবং রহস্য যে নেই, এটা বোঝার জন্যই সবার প্রয়োজন যুদ্ধাপরাধের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পূর্বকীর্তির সঙ্গে পরিচিত হওয়া। এই পরিচয়ই উপরে সংক্ষিপ্তভাবে দেয়া হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীর বিচার এমন জিনিস যা ধামাচাপা দিয়ে চিরদিনের জন্য নিকেশ করা যায় না। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ীই সেটা হয় না। ওই কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, নুরেমবার্গ বিচারেরও অনেক দিন পর পর্যন্ত, যুদ্ধাপরাধীদের অনেককে গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করে তাদের বিচার করা হয়েছে।
কাজেই আগে আওয়ামী লীগ সরকারসহ অন্য সব সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করলেও এ বিচারের গ্রাহ্যতা ও প্রয়োজন অবশ্যই আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এমন দল নয়, তাদের রাজনৈতিক চরিত্র এমন নয় যাতে কোনো ন্যায় বিবেচনার দ্বারা চালিত বা তাড়িত হয়ে তারা এ কাজ করতে পারে। এরা এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে হঠাত্ করে যে মাত্রাতিরিক্ত দাপাদাপি ও মাতামাতি শুরু করেছে, যেভাবে ‘দেশপ্রেমিক’ হিসেবে কাড়ানাকাড়া বাজাচ্ছে, তার কারণ বোঝা দরকার। আসলে এদের আঠারো মাসের নানা অপকর্মের ও জনবিরোধী কার্যকলাপের ফলে এদের পায়ের তলা থেকে মাটি খুব দ্রুত সরে যাচ্ছে। অন্যভাবে বলা চলে, এরা এখন সাঁতার না জানা লোকের মতো অগাধ পানিতে পড়ে খাবি খাচ্ছে এবং খড়কুটো ধরে বাঁচার চেষ্টা করছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো একটি বিষয়কে এরা এখন খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরেই নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করছে। শুধু তা-ই নয়, এ ব্যাপারে তাদের এখন এমন দিশেহারা এবং উন্মাদের মতো অবস্থা যে, তারা নিজেরা ছাড়া অন্য সবাইকেই তারা যুদ্ধাপরাধীদের সমগোত্রীয় বলে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকানোর চেষ্টা করনেওয়ালা হিসেবে অপবাদ দিয়ে নিজেদের এই হঠাত্ উন্মাদনাকে জনগণের কাছে গ্রাহ্য করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে দেশে ও বিদেশে অবস্থিত তাদের চাকরবাকর বুদ্ধিজীবীরা সংবাদপত্রে কলাম লিখে এবং সভা-সমিতি করে আওয়ামী লীগের পক্ষে বাতাস গরম করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের পায়ের তলা থেকে মাটি দ্রুত সরে যাচ্ছে। এরা এখন অগাধ পানিতে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তারা যেভাবে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর চেষ্টা করছে, এটা তাদের রক্ষা করার ক্ষেত্রে কানাকড়ি অবদানও রাখবে না।
(সুত্র, আমার দেশ, ২২/০৭/২০১০)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।