ফেসবুকে আমারে "বিডি আইডল" নামে সার্চ দিয়া পাওয়া যাবে
দীপুর আব্বু একজন সরকারী চাকরিজীবি। তাই চাকরির জন্য তার নানা জায়গায় যেতে হয়। তাই বাবার সাথে সাথে দীপুরও নানান জায়গায় ঘুরতে হয়। সেই সুবাদেই একটা নতুন স্কুলে গিয়ে ভর্তি হয় দীপু। সে নতুন স্কুলে প্রথম দিন ক্লাস করতে গিয়ে দেখে সেখানে আরেকটি ছেলের নাম দীপু।
তাই নতুন দীপুকে চেনার সুবিধার জন্য তার নাম হয়ে যায় দীপু নাম্বার টু।
নতুন দীপু খুব দুষ্ট আর বুদ্ধিমান ছেলে। তাই নতুন স্কুলে গিয়ে তার বেশ কিছু বন্ধুও হয়ে গেল। তারা সবাই মিলে একসাথে থাকতো আর দুষ্টুমি করতো। শুধুমাত্র একটা ব্যাপারেই তারা খুব ভয় পেত।
সেটা হলো, তাদেরই ক্লাসে বুলি নামে একটা ছেলে ছিলো, যে কিনা সবার সাথেই অকারণে মারামারি করতো আর সবাইকে খুব বিরক্ত করতো। আবার কেউ যদি সেটার প্রতিবাদ করতে যেত, তাহলে তার অবস্থা হতো আরও খারাপ। স্যারেরা পর্যন্ত বুলিকে বুঝে চলতো। স্বাভাবিকভাবেই নতুন ছেলে হিসেবে দীপুর উপরও সে আক্রমণ করলো। দীপুও খুব সোজা ছেলে নয়, সে এর উপযুক্ত জবাব দিলো।
বাস্ তাদের দু’জনের মধ্যে বেশ লেগে গেল এবং একটা সময়ে, এমন পর্যায় আসলো যখন দীপু আর বুলি কেউ কাউকে সহ্য করতে পারতো না।
এভাবে কিছুদিন কেটে গেল। ওদের দু’জনের ভেতর ঘটে গেল অনেকগুলো ঘটনা। দীপুকে দেখে সে বুঝলো সে এতদিন ভুল কাজ করে এসেছে। তাই সে ভাল হয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিলো এবং ভাল হয়ে গেল।
এর পর থেকে দীপু আর বুলি হয়ে গেল একদম জানের বন্ধু। এরই মধ্যে নানাভাবে ঘুরতে ঘুরতে তারা একটি ডাকাত দলের সন্ধান পেল। এদের কাজকর্ম দেখে দীপু আর বুলি সিদ্ধান্ত নিলো, তারা এর একটা বিহিত করবে। বেশ সংঘবদ্ধ এ দলটির বিরুদ্ধে তারা দু’জন মিলেই এগিয়ে গেল।
কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তারা কি পেরেছিলো সেই দলটাকে ধরিয়ে দিতে?
ছবি: দীপু নাম্বার টু
পরিচালক: মোরশেদুল ইসলাম
ধরণ: শিশুতোষ অ্যাডভেঞ্চার
প্রকাশ: ১৯৯৬
প্রযোজনা: ইমপ্রেস টেলিফিল্ম
উপরের লেখার প্রায় পুরোটাই বিডিনিউজের কিডস সাপ্লিমেন্ট থেকে নেয়া।
ডাউনলোড লিংকঃ স্টেজভ্যু
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।