আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সৌদী-বাংলাদেশ সম্পর্কে কোন প্রভাব ফেলবে না- সৌদী রাষ্টদুত

ধর্ম কারার প্রাচীরে বজ্র হানো...

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুতে সৃষ্ট বিতর্কে এবার মুখ খুলেছে সৌদি আরব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ করায় বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক অবনতির যে কোন ধরনের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকায় সৌদি দূতাবাস। সৌদি দূতাবাস স্পষ্ট করে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সব সময় গভীর, সুদৃঢ় ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। আর শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের মধ্যে সৌদি সরকারের যে সুদৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, সে ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। " এ বিচার হলে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হওয়ারও কোনো আশঙ্কা নেই।

বরং আগামীতে রিয়াদ ঢাকার সঙ্গে পারস্পরিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করতে চায়। " বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল্লাহ বিন নাসের আল বুসাইরী এ কথা বলেন। (সৌদীদের মুল বক্তব্যঃ ডরায়েন না, হারামজাদা গুলারে তাড়াতাড়ি শুলে ছড়ানো বন্দোবস্ত করেন। অনেকদিন জ্বালাইছে। এইবার যদি কিছু অয়।

তাতে আমরা ভি খুশি অইমু। ) টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে সৌদি রাষ্ট্রদূত কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর সঙ্গে সৌদি আরবকে জড়ানো ঠিক হচ্ছে না। '৭১ সালের ঘটনার বিচারের সঙ্গে সৌদি আরবের কোনো সম্পর্ক নেই। ' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'সব রাজনৈতিক দলেরই সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।

কিন্তু যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। ' 'এ বিচার হলে বাংলাদেশ সৌদি আরবে জনশক্তি রপ্তানির বাজার হারাবে'এই প্রচারণাকেও তিনি ভিত্তিহীন আখ্যায়িত করেন। সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে সৌদি আরবকে সম্পৃক্ত না করতে দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও প্রচার মাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদনকে তিনি বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, 'বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পরও দূতাবাস থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে এবং একই বিষয় আমরা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রালয়কেও জানিয়েছি।

' (বক্তব্যের তরজমা ঃ যে কুনু শাস্তি হোক, যে মাপেরই হোক সমস্যা নাইক্যা!হারমীগুলারে টাইট দিতে আমরা আপনেগো সাথে আছি)) সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমান সরকারের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং আগামী দিনগুলোতে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌদি আরব সব সময় পাশে থাকবে। মুসলিম অধ্যুষিত উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যে ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক রয়েছে কোনো কিছুই এতে ছেদ ঘটাতে পারবে না। সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশের শ্রমিকদের সম্পর্কে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা খুব পরিশ্রমী ও নিষ্ঠাবান। সৌদি আরবে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ হয়নি।

গত চার মাসে সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে ছয় হাজার শ্রমিক নিয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোন বিষয়ে সৌদি আরবকে সম্পৃক্ত না করতে দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও প্রচার মাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে সৌদী দুতাবাস । এর আগে কোন কোন রাজনৈতিক দল ও তাদের সমর্থক প্রচার মাধ্যমের পৰ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে উদ্যোগের কারণে সৌদির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অবনতির পাশাপাশি সৌদি থেকে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ফেরত পাঠানোর আশঙ্কার কথা জানানো হয়। জামায়াত সমর্থিত রাজনৈতিক দল ও প্রচারমাধ্যমের অপপ্রচারের প্রেক্ষিতে সৌদি দূতাবাস এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে কোন কোন প্রচারমাধ্যম ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সম্প্রতি সৌদির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অবনতির আশঙ্কার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কারণে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অবনতি হতে পারে বলে কয়েকটি প্রচারমাধ্যমে এ ধরনের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে আমরা বলতে চাই, অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সর্বদা গভীর ও সুদৃঢ় সম্পর্ক বিদ্যমান। সৌদি আরবের সঙ্গে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের মধ্যে যে সুদৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, সে ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। আমরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে সৌদি আরবকে সম্পৃক্ত না করতে প্রচারমাধ্যম ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ জানাই। তাই কোন সংবাদপত্র সতর্ক হয়ে সঠিক সংবাদ পরিবেশন করবেন বলে আমরা আশা করি।

(তরজমাঃ হারামীগুলা মনে করছে ইসলামরে সের ধরে বেইচ্যা সৌদীরে হেরা কিইন্যা নিছে। কত্ত্ববড় ছাগল দেহেন। স্বপ্নে বাতাস কাইয়া ঢোল হয়া গেছে!) বিজ্ঞপ্তিতে, গত ৭ এপ্রিল দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকায় প্রকাশিত সৌদি আরবে দুই বছরে একটি আকামাও ''ট্রান্সফার ও ভিসা হয়নি" শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে বলা হয়, সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ভুয়া। গত ছয় মাসে বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য প্রায় ৬ হাজার ভিসা দেয়া হয়েছে।

জামায়াত সমর্থিত এই পত্রিকার সংবাদে বলা হয়, গত দুই বছর সৌদি আরব সরকার বাংলাদেশ থেকে একজন কর্মীও আমদানি করেনি। এ সময়ের মধ্যে ভিসা দেয়া তো দূরের কথা; একটি আকামাও ট্রান্সফার করেনি তারা। তবে ভারত, পাকিস্তান বা অন্যান্য দেশের শ্রমিকদের তারা ভিসা দিচ্ছে। শুধু বাংলাদেশীদের নামে ভিসা ও আকামা ট্রান্সফার বন্ধ। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কারণে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অবনতি হতে পারে বলে কয়েকটি প্রচারমাধ্যমে এ ধরনের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে আমরা বলতে চাই, অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সর্বদা গভীর ও সুদৃঢ় সম্পর্ক বিদ্যমান। ' ( তরজমাঃ তাহাদের প্রয়োজন যে শেষ হয়া গেছে বেকুবেরা সেইটা বুঝবার চায় নাইক্যা! অতএব টিস্যু হিসাবে শেষবারের মতো ময়লা(বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী ছিল সৌদী আরব সেই বদনাম) মুছার কাজে তাদের ব্যবহার করা হবে। ) এর আগে জামায়াতের নেতা মীর কাশেম আলী জামায়াতের নেতাদের বাঁচাতে সৌদি সরকারের কাছে তদবির করতে গেছেন বলে একটি সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করলে সে সময়ও সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছিল। কৃতজ্ঞতাঃ সুজন বস

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.