গত চার দলীয় জোট সরকার অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্থ ছিল। তাদের দুর্নীতির কারণে বাজারে সব কিছুর দাম ছিল আগুন লাগা। পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। আমরা আম-জনতা দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। আমরা এমন একটা সরকার চাচ্ছিলাম যারা দ্রব্যমূল্যকে ক্রয় মতার মধ্যে নিয়ে আসবে।
এমন সময় আমাদের সামনে আশার বাণী নিয়ে স্বর্গের দেবীর মত হাজির হলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা। আমরা অনেক আশায় বুক বাঁধলাম। এবার আসছে দিন বদলের পালা। আমরা আমাদের আয় দিয়ে স্বচ্ছলভাবে চলতে পারবো। আমাদের শিশুদের মুখে তুলে দিতে পারবো পুষ্টিকর খাবার।
এমন আশা নিয়ে আমরা বর্তমান সরকারের পক্ষে রায় দিলাম এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত একটি ডিজিটাল সরকারের উদয় হলো।
এবার আমাদের আশা পুরণ হওয়ার পালা। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। গত প্রায় দু বছরের সরকারী জীবনে কাগজে কলমে অনেক বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও সত্যিকার অর্থে লোডসেডিং আগের চেয়ে পেয়েছি অনেক গুন বেশি। আর দ্রব্যমূল্য, সে আর বলতে।
আমাদের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গণ মঞ্চে উঠে অনেক বড় গলায় বক্তব্য দেন যে, দ্রব্যমূল্য এখন দুর্নীতিগ্রস্থ জোট সরকারের চেয়ে অনেক কম। আসলে তারা আদৌ দু তিন বছর আগের কথা মনে রাখতে পারেন কি না আমার সন্দেহ আছে। নাকি মিথ্যা বলার অভ্যাসটা খুব ভালভাবে রপ্ত করেছেন। ছোটখাট মন্ত্রী বাদ দিলাম, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন জোট সরকারের চেয়ে বর্তমানে দ্রব্যমূল্য অনেক কম তখন আমি আর কি বলবো।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডঃ শেখ হাছিনা, আপনি দয়া করে দ্রব্যমূল্য সেই জোট সরকারের সমান করে দেন।
জোট সরকারের সময় চাল, ডাল, মাংস, সবজি, তরকারী ইত্যাদির দাম যা ছিল আপনি যদি দয়া করে সেই দাম নির্ধারন করে দেন তাহলেই আমাদের চলবে। আপনার বর্তমান সময়ের এত বেশি কম দামে আমরা আর এসব কিনে খেতে পারছি না। অথবা আপনি ৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে যে দ্রব্যমূল্য ছিল সেই অবস্থায় দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ হলেও আমরা খেয়ে পরে বাঁচতে পারি।
আর যদি মনে করে থাকেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে তাহলে আপনি আমার বাড়িতে এক মাস থেকে যান, স্বচক্ষেই দেখতে পাবেন আমরা কি অবস্থায় দিনাতিপাত করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।