আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের বিক্ষুব্ধ পোশাক শ্রমিকদের প্রসঙ্গ জার্মান পত্রিকায়



ত্রিকা মনে করে, সর্বনিম্ন যে মজুরি পান কর্মীরা, তা সসম্মানে জীবন চালানোর জন্য যথেষ্ট নয়৷ পত্রিকা লিখছে: পোশাক শিল্পের কর্মীদের অধিকাংশই হলেন নারী এবং তাদের অবস্থাটা আগের চেয়ে ভিন্ন৷ দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশের কারখানায় তৈরি পোশাক কেনে যেসব কোম্পানি, তাদের কেউ কেউ কর্মীদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে৷ লেভি স্ট্রাউস অথবা ফরাসি সুপারমার্কেট চেইন কারফুর-এর মত সংস্থা বছরের গোড়াতেই সর্বনিম্ন মজুরি বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে৷ ২০০৬ সাল থেকে এই মজুরির অঙ্ক মাসে ১৬৬২ টাকা ৫০ পয়সা৷ যাকিনা মোটামুটি ১৯ ইউরোর সমান৷ তা দিয়ে চল্লিশ লাখের মত পোশাককর্মীর পরিবারদের পক্ষে মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানোই আর সম্ভব হচ্ছে না৷ কেননা বিগত বছরগুলোতে খাবার আর বিদ্যুতের দাম লক্ষ্যণীয়ভাবে বেড়েছে৷ এই সত্যটি সম্পর্কে সরকার নিজেও আর দ্বিমত পোষণ করে না৷ জুলাই মাস শেষ হবার আগে নতুন করে সর্বনিম্ন মজুরি বেঁধে দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে সরকার৷ কর্মীদের প্রতিবাদের প্রসঙ্গ তুলে ‘‘নয়েস ডয়েচলান্ড'' আরও লিখছে: সর্বনিম্ন ৫০০০ টাকা মজুরির দাবি নিয়ে সক্রিয় হয় শ্রমিক ইউনিয়নগুলো৷ এই মজুরি তিনগুন বাড়ানোর দাবি বাস্তবসম্মত নয় বলেই মনে হয়৷ তবে এ নিয়ে কোন মতভেদ নেই যে তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মীরা বহু দশক ধরেই কম মজুরি পাচ্ছেন৷ রীতিমত চাপের মুখে থেকেছেন তাঁরা৷ বিগত দিনগুলিতে সরকার পোশাক নির্মাণ সংস্থাগুলোকে আরও বেশি নমনীয় হবার ডাক দেয়ার পর বেসরকারি সংস্থাগুলো আশা করছে, একটা সমঝোতা হয়ত হয়ে যাবে৷ সর্বনিম্ন মজুরি ৩৫০০ টাকায় বেঁধে দেয়া হতে পারে৷ ... শ্রমিক ইউনিয়ন, মানবাধিকার ও কাজের অধিকারের পক্ষে সক্রিয় সংগঠনের একটি আন্তর্জাতিক জোট উত্তর গোলার্ধের বাণিজ্যিক ও ব্র্যান্ড নামধারী কোম্পানিগুলোকে কর্মীদের জীবনধারণের নিশ্চয়তা দেবে এমন মজুরি বেঁধে দেয়ার জন্য তৈরি পোশাক সরবরাহকারীদের ওপর চাপ প্রয়োগেরআহ্বান জানিয়েছে। সূত্র :ডয়েচভেল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.