২৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রথমবারের মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপিল বিভাগে বহাল রয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিট আবেদনকারীদের করা দুটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) গতকাল রোববার খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
তবে ২৭তম বিসিএসের দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা তিনটি লিভ টু আপিল কয়েকটি পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের ওই রায়ে প্রথমবার মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশের পর সরকারপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা প্রথম আলোকে বলেন, ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকছে। কারণ এ রায়ের বিরুদ্ধে রিটকারীদের লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। দ্বিতীয়বারে নেওয়া মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ এবং প্রথমবারের মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ দিতে হাইকোর্টর আরেকটি বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে সরকার তিনটি লিভ টু আপিল করে। এ আবেদন তিনটি পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কে নিয়োগ পাবেন, কে পাবেন না তা আদালতের পর্যবেক্ষণ পেলে বোঝা যাবে।
রিট আবেদনকারী পক্ষের কৌঁসুলি সালাউদ্দিন দোলেন প্রথম আলোকে বলেন, পৃথক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চ ২৭তম বিসিএসের বিষয়ে রায় দেন। একটি বেঞ্চ রায়ে প্রথমবার মৌখিক পরীক্ষা বাতিল বৈধ বলে রায় দেন। আরেকটি বেঞ্চ দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করেন। প্রথম রায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগবঞ্চিত ২৫ জন আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল করেন। দ্বিতীয় রায়ের বিরুদ্ধে সরকার তিনটি লিভ টু আপিল করে।
এ ক্ষেত্রে ২০৫ জন হাইকোর্টে রিট করেছিলেন।
আদালতে পরীক্ষার্থীদের পক্ষে রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আবদুর রব চৌধুরী, এম জহির, আনিসুল হক ও আবদুল মতিন খসরু এবং সরকারপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আকরাম হোসেন চৌধুরী মামলা পরিচালনা করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।