যুদ্ধাপরাধিদের বিচার নিয়ে সরকার যেভাবে মাতামাতি করছে তাতে মনে হয় ভাইরে এইদেশে কোন সমস্যাই নাই, সমস্যা যতটুকু আছে তা সব ঐ যুদ্ধাপরাধিদের। বলতে গেলে কি বিচারে আমারও কোন সমস্যা নাই, তবে সমস্যা হচ্ছে ১৪ টা ভোট কালেকশন করে দি্য়েছিলাম কয়েকটা নিতান্তই গরীব হাভাতের কাছ থেকে, শর্ত ছিলো দ্রব্যমূল্য এক্কেবারে নামি্য়ে হাতের তালুতে এনে দিবো। কয়েকদিন আগের কথা, অফিস থেকে তারাতারি ফিরছিলাম বাসার পথে, উদ্দেশ্য খেলা দেখবো, যাই হোক, পড়ে গেলাম সেই হাভাতিদের সামনে। বিনয়-ভদ্রতার খাতিরে শুধাইলাম ভালো আছেনতো? উত্তর না পেয়ে পাল্টা প্রশ্ন পেলাম, "আপনি ভালো আছেনতো?" স্বভাবসুলভ ভংগিতে বললাম, জ্বি আলহামদুলিল্লাহ। ঐ পাশ থেকে বললো, ভালো তো থাকবেনই, আপনাকেতো আর বাজারে যেতে হয়না।
আমি ঘুরে দাড়ালাম, অবয়বগুলো ঠিকমত খেয়াল করলাম। বিষন্ন শুকনো কয়েকটা মুখে বিনয়ের হাসি ( কৃত্রিম হাসি)। বললাম, ভাই কোন সমস্যা হয়েছে নাকি? এইবার সরাসরি উত্তর, " চাল ৩২ টাকা, বেগুন ৫৫ টাকা, করলা ৫২ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, মুরগি-মাছ-গরু-খাসির কথা বাদই দিলাম ডিম ২৮ টাকা হালি, ২০ টাকার নিচে কোন তরকারিও নাই"। আমার মনে পড়ে গেলো নির্বাচনী ওয়াদার কথা। তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম, আসলে সরকার এখন জামা্য়াতের যুদ্ধাপরাধিদের বিচার নিয়ে ব্যতি-ব্যাস্ততো তাই জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি।
হাভাতিরা বললো, বিচার কি তারাতারি শেষ হইবো, আমরা কি ততদিন বেচেঁ থাকবো? আমি বললাম খুব তারাতারি। তখন আরেকজন পিছন থেকে বললো," ভাইজান যুদ্ধাপরাধিদের সাথে জিনিসপত্রের দামের সম্পর্ক কি? তাছারা ওয়াদাতো দুইটা একসাথেই করেছিলেন, একটা পালন করছেন আরেকটা ভুলে থাকছেন এর মাজেজা কি? আমি নিরুত্তর। তারপর আবার প্রশ্ন, " জামা্য়াতের বিচার হলেই কি আমরা ১০ টাকা সের চাল খেতে পারবো? গ্যারান্টি কি?" আমি থ' হয়ে দাড়িয়ে আছি। সম্বিত ফিরে পেয়ে বললাম, খেলা শুরু হয়ে যাবে, পরে কথা বলবো বলে দ্রুত প্রস্থান করলাম। পরেরবার দেখা হলে কি জবাব দিব, কেউ দয়া করে বলবেন কি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।