প্রাণবন্ত আলোচনা ভালো লাগে তবে কেউ যুক্তিহীন গলাবাজি করতে চাইলে কোন ব্যাখ্যা ছাড়াই ব্লক করা হবে
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে কাজে যাওয়ার আগে চায়ের কাপে একটা চুমুক কিংবা বিকাল বেলায় পাড়ার বন্ধুদের সাথে আড্ডায় চা সিগারেটের অপরিহার্যতাকে অস্বীকার করতে পারবে এরকম বেরসিক বাঙালী এদেশে খুব কমই আছে। চা এর প্রসঙ্গ আসলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে সিলেটের ছবির মতো সুন্দর সবুজ চা বাগানগুলির কথা। সিনেমা এবং প্যাকেজ নাটকগুলার কারণে চা বাগানের ম্যানেজারদের সুন্দর বাংলো বাড়ির কথাও হয়তো মনে আসতে পারে কারো কারো কিন্তু এই চায়ের উৎপাদনে যে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের অবদান আছে তা কখনও আমাদের মধ্যবিত্ত মননে জায়গা পায় না, আত্মকেন্দ্রিক শহুরে বাবুদের কাছে সব সময় আজানা থেকে যায় এসব চা শ্রমিকদের দুঃখের এবং বঞ্চনার কথা।
এখন হতে প্রায় চার হাজার বছর আগে চাইনিজরা তাদের দেশে চা চাষ আরম্ভ করলেও এই ভারতীয় উপমহাদেশে চা চাষের প্রচলন হয় ১৮৩৯ সালে ইংরেজদের মাধ্যমে। বর্তমানে সিলেট বিভাগ চা উৎপাদনের মূল কেন্দ্র হলেও আমাদের এই তল্লাটে প্রথম পরীক্ষামূলক চা চাষের শুরু হয় চট্টগ্রামে ১৮৪০ সালে তবে বাণিজ্যিক ভাবে চা উৎপাদন করা আরম্ভ হয় সিলেট জেলায় ১৮৫৪ সাল হতে।
এই সব চা বাগানে কাজ করার জন্য ইংরেজ উপনিবেশিকরা বিহার, মাদ্রাজ, উড়িষ্যা, অন্ধ্র প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত হতে লোকজনকে বলতে গেলে এক প্রকার জোর করে তুলে নিয়ে আসে সিলেট অঞ্চলে। এদের মধ্যে অর্ধেকই অমানুষীক পরিশ্রমে এবং রোগে ভুগে মারা যায় সিলেট আসার কিছু দিনের মধ্যে ।
যদিও এই চা শ্রমিকেরা ভারতের নানা প্রান্ত হতে এসেছিল তাদের ভাষা কৃষ্টি এক ছিল না কিন্তু পরবর্তীতে ‘কুলি’উপাধি লাভ করে চা কোম্পানীর মালিকদের কাছ হতে। যা তাদের পরবর্তী চার প্রজন্ম পার হলেও এখনও এই কুলির তকমা ধারণ করে আছে। তাদের পূর্ব পুরুষদের কৃষ্টি কালচার হতে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে আজ তারা সকলের কাছে কুলি নামেই খালি নামেই পরিচিত।
এই কুলি নামে পরিচিত চা শ্রমিকদের রক্ত ঘামের মেহনতের মধ্য দিয়ে চা শিল্প সিলেট অঞ্চলে গড়ে উঠছে, চা বাগানের ম্যানেজারদের আলিসান বাংলোগুলি নির্মাণেও এই কুলিদের অবদান সবচেয়ে বেশী যদিও এ বাংলোগুলিতে থাকার কথা স্বপ্নেও তারা ভাবে না! ইংরেজরা যখন তাদের এখানে নিয়ে এসেছিল তখন তাদের কাছে ওয়াদা করেছিল যে চার বছর পরে তাদেরকে নিজ নিজ বাসভূমে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিবে। কিন্তু সে ওয়াদাই স্রেফ কাগজেই রয়ে গেছে বাস্তবতার মুখ দেখেনি কখনও। ১৯৪৭ সালের ইংরেজদের ভারত ত্যাগ কিংবা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের হয় ফলে চা বাগানগুলির মালিকানারও বহুবার হাত বদল হয়েছে কিন্তু চা বাগানের শ্রমিকদের ভাগ্যের এতে খুব একটা হেরফের হয়নি কখনও।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১৬৩ টি চা বাগান আছে(সম্প্রতি পঞ্চগড় জেলায় ৭ টি নতুন চা বাগান গড়ার কাজ শুরু হয়েছে)। মজার ব্যাপার হচ্ছে ১৬৩ টি চা বাগানের মোট আয়তন হবে ১১৫,০০০ হেক্টরের মতো কিন্তু এই বিশাল জমির মাত্র ৪৫ % চা চাষের জন্য ব্যবহার করা হয়।
এ বিশাল চা বাগানগুলির ব্যবস্থাপনায় এখনও ইংরেজ শাসকদের উপনিবেশীক সংস্কৃতির ছাপ বিদ্যম্যান Francis Rolt, British journalist, এ বলেন ...."The tea gardens are managed like an extreme hierarchy: the managers live like gods, distant, unapproachable, and incomprehensible. Some even begin to believe that they are gods, that they can do exactly what they like." সাহিত্যিক Dan Jones ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশে চা বাগানে বেড়াতে এসে চা শ্রমিকদের অবস্থা দেখে মন্তব্য করেন.... "Managers have anything up to a dozen labourers as their personal, domestic servants. They are made to tie the managers shoe laces to remind them that they are under managerial control and that they are bound to do whatever they are asked."বলা যায় বাংলাদেশের চা বাগানগুলিতে এখনও দাস প্রথায় চালু আছে অন্যরূপে ।
একজন চা শ্রমিকের কাজ আরম্ভ হয় সকাল ৮ বেজে শেষ হয় বিকাল ৫ টায়(মোট ৮ ঘণ্টা দুপুরের খাবার সময় বাদ দিয়ে) একজন চা শ্রমিক কিন্তু এ ৮ ঘণ্টা কাজ মোটেই চেয়ার টেবিলে বসে করছে না তাকে রোদ বর্ষা উপেক্ষা করে তার কর্ম জীবনের ৩০ হত ৩৫ বছর দাঁড়িয়ে কাজ করত হয় অথচ তার দৈনিক মজুরি হচ্ছে মাত্র ৩৫ টাকা( যা ১ ডলারেরও কম) অথচ আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি হচ্ছে যেখানে ৬৭ রূপি। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন এবং মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা বোর্ড এর মধ্যে ২০০৫ বছরে একটা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় সে অনুযায়ী প্রতি দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও তা মালিক পক্ষ বাস্তবায়নে কখনই সেভাবে আগ্রহি নয়।
The Tea Plantations Labour Ordinance, 1962 এবং The Tea Plantation Labour Rules, 1977 আইনে শ্রমিকদের নানা সুযোগ সুবিধার পাওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে দেখা যায় আবাসন থেকে আরম্ভ করে উন্নত মানের রেশন সুবিধা কোনটাই এই হতভাগ্যরা লাভ করে না, আবাসন সংকট এই চা শ্রমিকদের অন্যতম সমস্যা ছোট পরিসরে পরিবার পরিজন নিয়ে গোয়ালের গরুর মতো থাকতে হয় তাদের । ২০০৬ সালে বাংলাদেশে নতুন শ্রম আইন সরকার প্রচলন করে এ আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সর্ব নিম্ন মজুরি ধরা হয় ১,৬০০ টাকা( ২২ আমেরিকান ডলার) চা শ্রমিকেরা নতুন শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের মজুরি বাড়ানোর জন্য আন্দোলন আরম্ভ করলে ২০০৮ সালের জুলাইয়ে শ্রম কল্যাণ মন্ত্রালয়ের আমলারা ফতোয়া দেন নতুন আইন চা বাগানের শ্রমিকেরদের ক্ষেত্রে খাটবে না !
এভাবেই চা বাগানের শ্রমিকেরা প্রতিনিয়ত অর্থনীতিক এবং সামাজিক ভাবে আমাদের শোষণ এবং অবহেলার স্বীকার হচ্ছে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে কিন্তু এই দাসত্বের শিকল ছিঁড়ার কোন পথ তারা দেখতে পাচ্ছে না ।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে কাজে যাওয়ার আগে চায়ের কাপে একটা চুমুক কিংবা বিকাল বেলায় পাড়ার বন্ধুদের সাথে আড্ডায় চা সিগারেটের অপরিহার্যতাকে অস্বীকার করতে পারবে এরকম বেরসিক বাঙালী এদেশে খুব কমই আছে। চা এর প্রসঙ্গ আসলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে সিলেটের ছবির মতো সুন্দর সবুজ চা বাগানগুলির কথা। সিনেমা এবং প্যাকেজ নাটকগুলার কারণে চা বাগানের ম্যানেজারদের সুন্দর বাংলো বাড়ির কথাও হয়তো মনে আসতে পারে কারো কারো কিন্তু এই চায়ের উৎপাদনে যে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের অবদান আছে তা কখনও আমাদের মধ্যবিত্ত মননে জায়গা পায় না, আত্মকেন্দ্রিক শহুরে বাবুদের কাছে সব সময় আজানা থেকে যায় এসব চা শ্রমিকদের দুঃখের এবং বঞ্চনার কথা।
এখন হতে প্রায় চার হাজার বছর আগে চাইনিজরা তাদের দেশে চা চাষ আরম্ভ করলেও এই ভারতীয় উপমহাদেশে চা চাষের প্রচলন হয় ১৮৩৯ সালে ইংরেজদের মাধ্যমে। বর্তমানে সিলেট বিভাগ চা উৎপাদনের মূল কেন্দ্র হলেও আমাদের এই তল্লাটে প্রথম পরীক্ষামূলক চা চাষের শুরু হয় চট্টগ্রামে ১৮৪০ সালে তবে বাণিজ্যিক ভাবে চা উৎপাদন করা আরম্ভ হয় সিলেট জেলায় ১৮৫৪ সাল হতে।
এই সব চা বাগানে কাজ করার জন্য ইংরেজ উপনিবেশিকরা বিহার, মাদ্রাজ, উড়িষ্যা, অন্ধ্র প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত হতে লোকজনকে বলতে গেলে এক প্রকার জোর করে তুলে নিয়ে আসে সিলেট অঞ্চলে। এদের মধ্যে অর্ধেকই অমানুষীক পরিশ্রমে এবং রোগে ভুগে মারা যায় সিলেট আসার কিছু দিনের মধ্যে ।
যদিও এই চা শ্রমিকেরা ভারতের নানা প্রান্ত হতে এসেছিল তাদের ভাষা কৃষ্টি এক ছিল না কিন্তু পরবর্তীতে ‘কুলি’উপাধি লাভ করে চা কোম্পানীর মালিকদের কাছ হতে। যা তাদের পরবর্তী চার প্রজন্ম পার হলেও এখনও এই কুলির তকমা ধারণ করে আছে। তাদের পূর্ব পুরুষদের কৃষ্টি কালচার হতে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে আজ তারা সকলের কাছে কুলি নামেই খালি নামেই পরিচিত।
এই কুলি নামে পরিচিত চা শ্রমিকদের রক্ত ঘামের মেহনতের মধ্য দিয়ে চা শিল্প সিলেট অঞ্চলে গড়ে উঠছে, চা বাগানের ম্যানেজারদের আলিসান বাংলোগুলি নির্মাণেও এই কুলিদের অবদান সবচেয়ে বেশী যদিও এ বাংলোগুলিতে থাকার কথা স্বপ্নেও তারা ভাবে না! ইংরেজরা যখন তাদের এখানে নিয়ে এসেছিল তখন তাদের কাছে ওয়াদা করেছিল যে চার বছর পরে তাদেরকে নিজ নিজ বাসভূমে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিবে। কিন্তু সে ওয়াদাই স্রেফ কাগজেই রয়ে গেছে বাস্তবতার মুখ দেখেনি কখনও। ১৯৪৭ সালের ইংরেজদের ভারত ত্যাগ কিংবা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের হয় ফলে চা বাগানগুলির মালিকানারও বহুবার হাত বদল হয়েছে কিন্তু চা বাগানের শ্রমিকদের ভাগ্যের এতে খুব একটা হেরফের হয়নি কখনও।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১৬৩ টি চা বাগান আছে(সম্প্রতি পঞ্চগড় জেলায় ৭ টি নতুন চা বাগান গড়ার কাজ শুরু হয়েছে)। মজার ব্যাপার হচ্ছে ১৬৩ টি চা বাগানের মোট আয়তন হবে ১১৫,০০০ হেক্টরের মতো কিন্তু এই বিশাল জমির মাত্র ৪৫ % চা চাষের জন্য ব্যবহার করা হয়।
এ বিশাল চা বাগানগুলির ব্যবস্থাপনায় এখনও ইংরেজ শাসকদের উপনিবেশীক সংস্কৃতির ছাপ বিদ্যম্যান Francis Rolt, British journalist, এ বলেন ...."The tea gardens are managed like an extreme hierarchy: the managers live like gods, distant, unapproachable, and incomprehensible. Some even begin to believe that they are gods, that they can do exactly what they like." সাহিত্যিক Dan Jones ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশে চা বাগানে বেড়াতে এসে চা শ্রমিকদের অবস্থা দেখে মন্তব্য করেন.... "Managers have anything up to a dozen labourers as their personal, domestic servants. They are made to tie the managers shoe laces to remind them that they are under managerial control and that they are bound to do whatever they are asked."বলা যায় বাংলাদেশের চা বাগানগুলিতে এখনও দাস প্রথায় চালু আছে অন্যরূপে ।
একজন চা শ্রমিকের কাজ আরম্ভ হয় সকাল ৮ বেজে শেষ হয় বিকাল ৫ টায়(মোট ৮ ঘণ্টা দুপুরের খাবার সময় বাদ দিয়ে) একজন চা শ্রমিক কিন্তু এ ৮ ঘণ্টা কাজ মোটেই চেয়ার টেবিলে বসে করছে না তাকে রোদ বর্ষা উপেক্ষা করে তার কর্ম জীবনের ৩০ হত ৩৫ বছর দাঁড়িয়ে কাজ করত হয় অথচ তার দৈনিক মজুরি হচ্ছে মাত্র ৩৫ টাকা( যা ১ ডলারেরও কম) অথচ আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি হচ্ছে যেখানে ৬৭ রূপি। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন এবং মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা বোর্ড এর মধ্যে ২০০৫ বছরে একটা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় সে অনুযায়ী প্রতি দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও তা মালিক পক্ষ বাস্তবায়নে কখনই সেভাবে আগ্রহি নয়।
The Tea Plantations Labour Ordinance, 1962 এবং The Tea Plantation Labour Rules, 1977 আইনে শ্রমিকদের নানা সুযোগ সুবিধার পাওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে দেখা যায় আবাসন থেকে আরম্ভ করে উন্নত মানের রেশন সুবিধা কোনটাই এই হতভাগ্যরা লাভ করে না, আবাসন সংকট এই চা শ্রমিকদের অন্যতম সমস্যা ছোট পরিসরে পরিবার পরিজন নিয়ে গোয়ালের গরুর মতো থাকতে হয় তাদের । ২০০৬ সালে বাংলাদেশে নতুন শ্রম আইন সরকার প্রচলন করে এ আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সর্ব নিম্ন মজুরি ধরা হয় ১,৬০০ টাকা( ২২ আমেরিকান ডলার) চা শ্রমিকেরা নতুন শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের মজুরি বাড়ানোর জন্য আন্দোলন আরম্ভ করলে ২০০৮ সালের জুলাইয়ে শ্রম কল্যাণ মন্ত্রালয়ের আমলারা ফতোয়া দেন নতুন আইন চা বাগানের শ্রমিকেরদের ক্ষেত্রে খাটবে না !
এভাবেই চা বাগানের শ্রমিকেরা প্রতিনিয়ত অর্থনীতিক এবং সামাজিক ভাবে আমাদের শোষণ এবং অবহেলার স্বীকার হচ্ছে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে কিন্তু এই দাসত্বের শিকল ছিঁড়ার কোন পথ তারা দেখতে পাচ্ছে না ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।