চাঁদের দিকে হাত বাড়ালে তার আলো কিছুটা লেগে যায় চিত্তে
আজ ভোর রাতে ঘুমের ঘোরে কয়েকবার বিড়বিড় করে সুমির নাম ধরে ডেকেছিল শান্ত। স্মৃতি যখন ঘুম ভাঙ্গাতে `শান্ত' `শান্ত' বলে ডাকছিল সে তখনও স্মৃতিকে সুমি ডেকে আর একটু ঘুমানোর আব্দার করছিল। স্মৃতি এবার সত্যি মনে কষ্ট পেয়ে একটা ধাক্কা দিয়ে ঘুম থেকে তুলে দেয়। বিরক্তির চেয়ে লজ্জায় বেশি কাতর হয় শান্ত।
না, মানে তুমি স্মৃতি....
এটা কি কর?
এভাবে কেউ ঘুম থেকে জাগায়?
স্মৃতি চোখদুটো ছলছল করে ওঠে।
ক'ফোটা ঊষ্ণ জল গাল বেয়ে বিছানায় পড়ে। শান্তর চোখের দিকে তাকিয়ে বলে -
তুমি কি সুমিকে তোমার পাশে ভেবেছিলে ?
না না, তা হবে কেন? সুমি কেন পাশে আসবে? আমি তো ঘুমাচ্ছিলাম অঘোরে। তুমি কিনা.....।
কতদুর? তোমরা কতদুর এগিয়েছ? আমি আর কোন আস্থা রাখতে পারছিনা তোমার উপর বলতে কান্নায় গলা বন্ধ হয়ে আসে স্মৃতির। বালিশে মাথা রেখে ফুপিয়ে কাদঁতে থাকে।
শান্ত হাত বাড়িয়ে ধরতে যায় তাকে । কিন্তু হাতটা স্পর্শ করার সাথে ছুঁড়ে ফেলে স্মৃতি। আর একবার সাহস হয় না তার কান্না থামানোর চেষ্ঠা করার। বিছানা ছেড়ে সে ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ায়। ভাবতে থাকে আজ এটা কি করে ফেলেছ সে ? এখন কি বলা উচিত, কিভাবে....
অনেক সাহস করে মিথ্যা কথা বানিয়ে বলার জন্য ঘরে ঢুকে বিছানায় যেতেই স্মৃতি বিছানা ছেড়ে বাইরে চলে যায়।
কিছুক্ষণ শুয়ে শুয়ে ভাবতে থাকে সে।
আজকাল শান্ত অনেক বেশী ভালবাসতে শুরু করেছে সুমিকে। স্মৃতির সাতে তার ১৩ বছরের সংসার। ভালবেসে পেতেছিল সংসার। সংসারের দাবী-দাওয়া , হিসেব- নিকাশের মাঝে ক্রমে ভালবাসা গিয়ে ঠেকেছে কিছু দায়-দায়িত্বে।
মনের মাঝে ভালবাসার চারগাছটিতে পানি ঢেলেছে সুমি। এক বছরের মতো সুমির সাথে পরিচয়। প্রথমে বন্ধুত্ব, পরে প্রেম। স্মৃতির মাঝে সে সুমিকেই যেন দেখে। সুমি ভেবে ছুঁইতে গিয়ে স্মৃতিকে দেখে হাত সরিয়ে নেয়।
স্মৃতি বুঝতে পারে হয়তো। কিন্তু .....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।