প্রতিপন্ন করলাম নিজেকে কাঙাল হিসেবে। খাঁটি কি,না
তাই সূর্যের কাছে চাইলাম আগুন~
নিজেকে পোড়াবো বলে।
বর্ষার কাছে শুধালাম~জল দাও মোরে
একা একা কাঁদবো।
চাঁদের কাছে চাইলাম স্নিগ্ধতার পরশ
একটু ঘুমাবো বলে,
কতদিন.........নির্ঘুম রাত!
বসন্তকে বললাম~ভালোবাসা দাও মোরে
হৃদয়কে রাঙাই;
কেউই কিছু দিলোনা আমায়.........কেউ না.........
শেষে কমলবনের কাছে গিয়ে চাইলাম আশ্রয়। ফিরিয়ে
দিলো আমায়, বলে কি,না~তুমি যে ফেরারী।
তবুও মরিচীকার পিছন ঘুরতে ঘুরতে কেটে যেত সময়।
কোন আলেয়ার সন্ধানে যে ফেরারী হয়েছিলাম তা
নিজেও হয়তোবা জানতামনা।
ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ দেখা তোমার সাথে,
কোন এক দিগন্তে
গোধূলী বেলায়।
আলেয়ার ঠিকানা তুমিই দিলে। কেউই কখনও
পায়না............কিন্তূ আমি যে পেলাম......!
তুমিই যে সেই আলেয়া.........
চাতক পাখির মতন যাকে
খুঁজছি পথে পথে।
তুমি স্পর্শে দিলে আগুন
চোখে দিলে জল
মনে দিলে স্নিগ্ধতার পরশ
হৃদয়কে রাঙালে ভালোবাসায়
আর তোমার ঐ বিশাল হৃদয়ের কমলবনে
আশ্রয় দিলে ক্ষুদ্র এই আমাকে।
মাঝে মাঝে ভেবেছি এ স্বপ্ন নয়তো?......হোক স্বপ্ন
তবুও যে আলেয়ার ঠিকানা আমি পেয়েছি।
জানি স্বপ্নের এই খেলাঘর
ভেঙ্গে যাবে একদিন, নিয়তির
কোন এক ঝড়ে তুমিও হয়তো চিনবেনা আমায়.........
বুকে তখন কে আমায় তুলে নিবে?
হয়তো কাঙালের বেশেই............
ফেব্রুয়ারী ২১, ১৯৯৯
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।