.... !!!
(এই ঘটনা আলেয়ার জীবন থেকে নেওয়া... আমি জানি বেশীর ভাগ মানুষই বিশ্বাস করতে পারবে না, অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনা সত্য... অনেক খানি অংশ লেখকের নিজের চোখে দেখা ঘটনা...লেখক মাঝে মাঝেই ভাবে, এই সব বাস্তব দেখার চেয়ে চোখ দুটি আরাম করে ঘুমিয়ে নিতে পারে...লেখকের হাত অবশ হয়ে আসছে, লেখক কিছুই ভাবতে পারছে না)
উপরের অংশটুকু সবার শেষে লেখা...
......................................................................................................
৪ বছর বয়েসে মা হারানো মেয়ে আলেয়া... আলেয়ার বাবা আলেয়ার জন্য দ্বিতীয় মা ঘরে আনতে ১ বছর ও দেরী করেন নি...হয়তো নিজের সুখের কথা ভেবে, না হয় মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে তাড়াতাড়ি আরেক টা বিয়ে করলেন...৫ বছর বয়েসেই সৎ মায়ের আদর অনাদরে বেড়ে উঠতে লাগলো আলেয়া... বাবার মোটামুটি সচ্ছল অবস্হার কারনে কখনো না খেয়ে শৈশব কাটেনি আলেয়ার...পড়ালেখা ও হয়ে উঠেনি বাড়ির কাজ করতে করতে... এইভাবেই চলে যায় আলেয়ার আরো একযুগ...
আলেয়ার বাবা আলেয়ার বিয়ে দিলেন... বিয়ের ৬ মাসের মাথায় স্বামীও চলে গেলেন আলেয়ার মায়ের কাছে...আলেয়ার কান্না পায় না... কান্নার জন্য যে চোখের কোনে জল দরকার, তাও ফুরিয়ে গেছে আলেয়ার... বাবার বাড়ি চলে আসে আলেয়া... সংসারের কাজ করে সময় কাটায় আলেয়া... এক এক করে ৫ জন সৎ ভাই বোন জন্ম নিয়েছে আলেয়ার...এরই মাঝে আলেয়ার সৎ মা ও অসুস্হ হয়ে যায়... বাবা আলেয়ার বিয়ে দিতে চাইলেন... আলেয়া সাফ জানিয়ে দিলেন বাবা আমি বিয়ে করবো না... মায়ের দেখা শুনা করবো, আমার ছোট ভাই বোন দের মানুষ করবো...
আলেয়ার বাবা সরকারী চাকুরী করেন... অনেক পীড়াপিড়ি করেও আলেয়া কে রাজী করাতে পারলেন না...তখন আলেয়ার বাবাও বিয়ে দেবার জন্য হাল ছেড়ে দিলেন...সৎ ভাইবোন দের আর সৎ মায়ের দেখা শুনা করে সময় পার করে আলেয়া...
আরো একযুগ পার করলো আলেয়া... হঠাৎ আলেয়ার বাবা চাকুরী হতে বিনা অপরাধে সাসপেন্ড হয়ে যায়...দুঃখের দিন শুরু হয় আলেয়ার... আলেয়া ভাবে, আমার আর দুঃখ কিসের? আমার দুঃখ একটাই মায়ের ঠিক মতো ঔষুধ কেনা হবে না, ছোট ভাই বোন দের ঠিক মতো স্কুলে যাওয়া হবে না ... আলেয়া বাবা গ্রামে চলে আসে... বাড়ি ছাড়া সব জমিই তো সবনাশা পদ্মার পেটে... ৩ মেয়ের স্কুলে যাওয়া বন্দ্ব হয়ে যায়... আলেয়া মানুষের বাড়িতে কাজ করে নিজে খায়, মাঝে মাঝে মা ও ছোট ভাইবোন জন্য খাবার নিয়ে যায়... আলেয়ার ছোট ভাই ৬ ক্লাসে পড়ে... পড়াশুনায়ও ভালো তাই ওর ছোট ভাইকে ওর মামারা নিয়ে গেছে পড়াশুনা করাবে বলে... এক বছরের মাথায় মামার বাড়িতে ও ভাত ফুরিয়ে এলো ছোট ছেলেটির...
দিন দিন সংসারের অবস্হা খারাপের চেয়ে খারাপ হতে চললো...আলেয়া ঢাকায় চলে আসে এক চাচার বাসায় কাজের মেয়ে হিসেবে...মাসে ২০০ টাকা পায়...২০০ টাকা ই পাঠিয়ে দেয় ছোট ভাইবোন দের জন্য.... আলেয়ার ছোট ভাইকে আলেয়ার কাছে নিয়ে আসে চাচার দোকানে কাজের ছেলে হিসেবে... (চলবে)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।