আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যায়ের প্রতিবিধান

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গনতন্ত্রের সূতিকাগার বলা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যেমন ন্যায়কে প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করে তেমনি দেশের উন্নয়ন ব্যহত হয় তেমন কাজকে প্রতিহত করতে বুকের রক্ত দিতেও দ্বিধা করে না কেননা জন্মভূমি জননী স্বর্গের গরিয়সী। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ, স্বৈরশাসক উৎখাত এসব সাধারন কিছু উদাহরন। এরকম অনেক উদাহরন আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে যখনই প্রয়োজন পড়েছে তখনই এখানকার ছাত্ররা ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

আমরা যদি গত অগনতান্ত্রিক তত্বাবধায়ক সময়ের কথা ধরি তাহলেও দেখব যে এখানকার ছাত্ররাই প্রথম প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলেন। তাদের উপরের নির্যাতনকে তারা হাসিমুখে বরণ করে নিয়েছেন শুধুমাত্র দেশমাতৃকার উন্নয়নের স্বার্থে। এবার আসি বর্তমান প্রসঙ্গে কিছুদিন আগেও দেখেছি আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কিভাবে সাভারের অসহায় মানুষদের সহায়তায় আপ্রাণসহযোগিতা করেছেন সাথে সাথে সেই সব নরপশুদের শাস্তির জন্য অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মিলিত হয়ে প্রতিবাদের ভাষায় কথা বলেছ। এই ত কিছুদিন আগেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কিভাবে স্বাধীনতাবিরোধীদের মৃত্যুর দাবিতে দিনরাত শাহবাগে প্রতিবাদের ভাষায় কথা বলেছেন। গতকালকে দেখলাম বিটিআরসি , ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের তাদের স্পীড ৭৫% কমিয়ে দিতে বলেছে।

এতে নাকি ভিওআইপি বন্ধ করা যাবে। স্পিড কমলে যে বহু ছেলেমেয়ে ওডেস্ক , ফ্রিল্যান্সার সহ নানা রকম আউটসোর্সিং এর কাজ করছে, ডাটা প্রসেস করছে সেগুলার বারোটা বাজবে। এদের কারোই কোন কোম্পানী বা কাগজপত্র নেই। ফলে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর যে সম্ভাবনা তৈরী হয়েছিল সেটার বারোটা বাজবে। এতে দেশের অর্থনীতি যে কতটা হুমকির মুখে পড়বে সেটা ত আর বলার প্রয়োজন হয় না।

বিটিআরসির এই ঘটনা টা দেখে আমার এক গল্প মনে পড়ল কার জানি ওয়ালে দেখেছিলাম এক গর্দভের পাতলা পায়খানা হওয়াতে সে একটা ছিপি এনে নিজের মুখে লাগিয়ে ডাউনলোড বন্ধ করে দিল. নো খাবার, নো পাতলা পায়খানা। একসময় গাধাটি পানি ও লবন শূন্য হয়ে মারা গেল. ভি ও আই পি বন্ধ করতে গিয়ে বি টি আর সি এর নেট এর গতি কমানো দেখে সেটাই মনে হচ্ছে। আর এখন যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন তারা নিশ্চয় সেটা বুঝতে পেরেছেন । পাশের দেশ ভারতের ইন্টারনেটের দিকে তাকালে ত আমার এই দেশের নেতাদের মূর্খতার উপর করুনা হয়। এই রকম ইস্যুতে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কিছু করা উচিত বলে আমার মনে হয়।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.