মিথ্যা সবার কাছেই ঘৃনার হোক
আমার শিরোনামটা পড়ে হয়ত অনেকেই আমাকে আক্কেলহীন ভাবছেন। ভাবাটাই স্বাভাবিক। কারণ বিএনপি প্রায় একমাস আগেই বিভিন্ন সুস্পষ্ট ইস্যুর প্রতিবাধে এ হরতালের ডাক দেয়।
আবার এ হরতালের কর্মসূচীর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী বলেন, বিএনপি র এ হরতালের কর্মসূচী অনৈতিক, ইস্যুবিহীন। আর এ হরতালের মোকাবেলা অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে করার কথাও বলেন।
আর এ রাজনৈতিক মোকাবেলা কতটা সংঘাতপূর্ন হবে, এটা অনেকেই বুঝতে পারছেন।
সাম্প্রতিক আমাদের দেশীয় রাজনীতির উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাচন। এ নির্বাচনে সরকার সমর্থিত মহিউদ্দিন প্রায় লক্ষ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান বিএনপি-জামাত সমর্থিত মঞ্জুর নিকট। নতুন মেয়র মঞ্জু প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানান। বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও পরাজিত প্রার্থী মহিউদ্দিন নতুন মেয়র মঞ্জুকে অভিনন্দন জানান।
মহিউদ্দিনের চশমাহিলের বাসায় গিয়ে মঞ্জু সামনের দিনগুলোতে মিহউদ্দিনের সহযোগীতা চাইলে মহিউদ্দিন সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
আমরা এসব ঘটনায় আশান্বিত। আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলাতে শুরু করেছে। হয়ত এ বদলের হাত ধরেই সরকারের মন্ত্রীরা হরতালকে সঙঘাতপূর্ণ রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার সিদ্ধান্ত হতে ফিরে আসবেন। মন্ত্রীরা এ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলেও আমার মনে হয় এ সিদ্ধান্ত বিএনপি র পছন্দ নয়।
আজ একটা দৈনিকে তেমনটিই পড়লাম।
বিএনপি র মুখপাত্র মির্জা ফ ই আলমগীর এর উদ্বৃতি দিয়ে পত্রিকাটি চাপে, 'হরতালে বাঁধা দেয়া হলে পরিনাম ভয়াবয় হবে। '
মনে হয় বিএনপি অদুর ভবিষ্যতে আরো হরতালের কর্মসুচী দেয়ার ইস্যু সৃষ্টি করতে চাইছে।
জানি না, আ.লী বিএনপি কে সে সুযোগ দিবে কি-না ? অবশ্য আ.লী যদি মনে করে হরতালকে কেন্দ্র করেও বিরোধী দলকে শায়েস্তা করা সম্ভব। তাহলে তো বলার কিছুই নেই।
আর আমার দেশের রাজনীতিতে এটাই বাস্তবতা। হরতাল কে ব্যবহার করা হয় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য, মোটেও দেশের জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নয়। এসব একান্তই আমার মতামত। জানি না এ সম্পর্কে আপনাদের মতামত কেমন ? জানার প্রতিক্ষায় থাকলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।