আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘পদ্মা দুর্নীতিতে’ পরিবারের সম্পৃক্ততা নাকচ শেখ হাসিনার

কানাডার সরকারি টেলিভিশন সিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা উড়িয়ে দেন।
টেরেন্স ম্যাকেনার নেয়া ওই সাক্ষাৎকার সম্বলিত ১৫ মিনিটের অনুষ্ঠানটি গত ১৬ মে সম্প্রচার হয়।
‘দ্য ন্যাশনাল’ অনুষ্ঠানে ‘এসএনসি অ্যান্ড এ ব্রিজ ফর বাংলাদেশ’ প্রতিবেদনে এসএনসি লাভালিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ওপর আলোকপাত করা হয়।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর কানাডার এই কোম্পানিটি বিশ্ব ব্যাংকে এখন কালো তালিকাভুক্ত। কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ ও প্রকৌশলী মো. ইসমাইল বিচারের মুখোমুখি।


দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে টানাপোড়েনের পর প্রায় ৩০০ কোটি ডলারে দেশের বহু প্রতীক্ষিত এই সেতুর নির্মাণ আটকে যায়।
প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য এসএনসি লাভালিন বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের একটি ষড়যন্ত্র করেছিলো বলে মূল অভিযোগ।
কথিত এই ঘুষ লেনদেনে প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা ও পরিবারের সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে টেরেন্স ম্যাকেনা প্রশ্ন করলে শেখ হাসিনা বলেন, “এটা পুরোপুরি মিথ্যা। তারা এটা প্রমাণ করতে পারেনি। ”
’৭৫ এ বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের হারানো শেখ হাসিনা এক বছর আগে সংসদে বলেছিলেন, তিনি ও তার সন্ত্রান এবং বোন রেহানা ও তার স পদ্মা দুর্নীতিতে’ পরিবারের সম্পৃক্ততা নাকচ হাসিনার সন্তানদের নিয়েই তার পরিবার।

এর বাইরে তার পরিবারের আর কোনো সদস্য নেই।
বিরোধী দল অভিযোগ করে আসছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে ‘দুর্নীতিতে’ প্রধানমন্ত্রীর পরিবার ও দলীয় ‘লোকজন’ জড়িত।
বিশ্ব ব্যাংকের অভিযোগের মূল কেন্দ্র ছিলো তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, যাকে পরে পদত্যাগ করতে হয়েছিলো।
টেরেন্স ম্যাকেনা আওয়ামী লীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেনকে দলের মূল তহবিল সংগ্রহকারী হিসেবে উল্লেখ করলে তা-ও নাকচ করেন দলের প্রধান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “আমার দলে তার এমন কোনো দায়িত্ব ছিলো না।

কেউ যদি তা বলে, তা পুরোপুরি ভুল। ”
শেখ হাসিনা সিবিসিকে বলেন, তার সরকার অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুতই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়। অভিযোগ তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে দায়িত্ব দেয়।
“আমি কানাডা এবং বিশ্ব ব্যাংকের কাছে তথ্য প্রমাণ চেয়েছি। দুর্নীতি তদন্তে দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করেছে।

কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ হয়নি,” বলেন তিনি।
তিনি একইসঙ্গে মনে করিয়ে দেন, “কোনো দুর্নীতি (প্রকল্পে) হয়নি। বিশ্ব ব্যাংক বলেছে, দুর্নীতির একটি ষড়যন্ত্র হয়েছিলো। ”
সিবিসি দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হকের সঙ্গেও কথা বলেছে। তিনি বলেন, ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রের একটি প্রমাণ পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে দুদক মামলাও করেছে।


দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সারের সঙ্গেও কথা বলেছে সিবিসি। তিনি কথিত দুর্নীতির সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা নাকচ করেছেন।
টানাপোড়েনের পর বিশ্ব ব্যাংককে বাদ দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে নির্মাণকাজ এখনো শুরু হয়নি।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.