আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিসর্জনের ব্যাথা

পরাঞ্জয়ী...

২০০৪ এপ্রিল অনেকক্ষন ধরেই দীপন ভাবছে তার ডায়রীতে লেখা সেল নাম্বার টা কার, নাম লেখা রুমু! রুমু বলে কাউকে সে চেনে কী না তাও তো মনে পড়ছেনা। অফিস থেকে ফিরেই নাম্বারটায় চোখ পড়ে দীপনের। কিন্তু মনে করতে পারেনা কিছুতেই। একটি দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদক সে। বাসায় ফিরতে প্রতিদিনই প্রায় রাত ১২ টা বেজে যায়।

আজকে একটু জলদি এসেছিল বাসায়। ভেবেছিল তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়বে। তা আর হলনা। কোথাকার কোন অচেনা অজানা রুমুর চিন্তায় মাথাটা তার গোল্লাছুট খেলছে। তাও আবার হাতের লেখাটা তার নিজের।

:হ্যালো, রুমু বলছেন? :জ্বী! আপনি কে বলছেন? :আসলে আমার নাম দীপন। আমি দৈনিক........ পত্রিকার রীপোর্টার। আমার নোটবুক টাতে আপনার নাম এবং নাম্বার লেখা। কিন্তু আমি আপনাকে চিনতেও পারছিনা। আপনি কী বলবেন দয়া করে আমাকে আপনি চিনেন কী না? : না আমি চিনিনা।

কথা বলার ভালোই ফন্দী! আমি আপনাকে এক দিন সময় দিলাম। খুঁজে বের করবেন আমার নাম্বার কোথায় পেলেন। এটাই আপনার শাস্তি। :বিনা অপরাধে শাস্তি দিবেন? :হ্যা দিব! :ঠিক আছে দেন ফোন রেখে দিল দীপন। কানের ভেতর রুমুর কথা গুলো যেন নুপূর পায়ে নাচতে শুরু করলো।

আয়েশি ভঙ্গীতে শুয়ে মুচকি একটা হাসি দিল দীপন। ২৪ বছরের ছোট্ট জীবনে বসন্তের হাওয়া ঘোরাফেরা করছিল যেন। যেন সাড়া দিলেই উড়িয়ে নিয়ে যাবে। পেশাগত কারনে অনেক মেয়ের সাথে কথা বলটে হয় প্রতিদিন। কই এমন শাস্তি তো কেউ দেয় না! :দীপননননন? খেতে আয়।

বড় বোন ডাক দে্য দীপন বোনের বাসায় থাকে। দীপন রা ৬ ভাই বোন। তিন ভাই তিন বোন। বড় বোন সামিয়া। বোন দুলাভায়ের সাথে থাকে সে।

বোনের একমাত্র ছেলে আকাশ, সবে ৩ বছর বয়স। এই নিয়ে ছোট্ট সংসার ওদের। হাত মুখ ধুয়ে খেতে বসে সে। খেতে খেতে শুনতে পায় সেল ফোনে এস এম এস এর শব্দ। খাওয়া ফেলে উঠে যায়।

বুকের ভেতর ঢোল বাজছে যেন। এস এম এস টা সত্যিই রুমুর। "kal ami shotty phn dibo.jodi bolte na paren kotha theke number pelen tahole apnar shasty digun kora hobe---Rumu (চলবে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.