দেশে এখন বেশ কয়েকটি দিবস পালিত হচ্ছে। এসব দিবস আমাদের যতখানি সচেতন করেছে তার চেয়ে বেশি নৈতিক অবক্ষয় ঘটিয়েছে। আমাদের নিজের একটি দিন বাংলা নবর্বষ। এদিনটি ও যেন কু-নজরে পড়েছে। বৈশ্বিক ঢঙে (ঋধংযরড়হ) পরিনত হয়েছে।
একটু বিস্তারিত করে বলি। অনেকের খারাপ লাগতে পারে-যারা প্রগতিশীল আর কি। তবে আবার আমাকে যুদ্ধাপরাধী বানিয়ে দিয়েন না। এটা শুধু আমার দেখা কিছু চিত্র।
আমারা ভালোবাসা দিবস কি জানতাম না।
শফিক রেহমান আমাদের এ পথে টেনে এনেছেন। ভালোবাসার সংজ্ঞার ব্যপ্তি অনেক। কিন্তু আমরা একে সংপ্তি আকারে ভাবি। যে কারণে আমাদের যত সমস্যা। ভালোবাসা দিবসে এ দেশের কতজন তার পিতা-মাতা, আত্মীয় স্বজনকে ভালোবাসার শুভেচ্ছা জানায়।
বরং তারা প্রেমিক-প্রেমিকাকে শুভেচ্ছা জানাতে ব্যস্ত। তবে এর ভঙ্গিমাটাও ভিন্ন। নির্জণ পার্কে আপত্তিকর অবস্থায়। আরো বলতে গেলে ভালোবাসা জানাতে কুমারিত্ব বিসর্জন দিতে হয়। সেটা ছেলের বেলায়ও হতে পারে।
এটা কোন ধরনের শুভেচ্ছা বিনিময়।
এবার বলি নারী দিবসের কথা। নারী দিবসের মুল তাৎপর্য নারীদের অধিকার আদায়ের দিবস। পুরুষদের সচেতন করার বিষয়। কিন্তু এ বছর নারী দিবস একটু ভিন্ন আঙ্গিকে আমার সামনে উপস্থিত হয়েছে।
বান্ধবীকে শুভেচ্ছা জানাতে ফুল হাতে অজস্র ছেলেকে দেখা গেছে বিভিন্ন স্থানে। এতে কোন সমস্যা নেই। একজন আরেকজনকে শুভেচ্ছা জানাতেই পারে। কিন্তু দিবসটির মধ্যে ভালোবাসা দিবসের সাথে কোন পার্থক্য মনে হয়নি। এদিনটিতেও অনেক কুমারি তার কুমারিত্ব বিসর্জন দিয়েছে স্বেচ্ছায় বা অনুরোধে।
এপ্রিল ফুল দিবসেও অনেকে হারিয়েছে তাদের কুমারিত্ব। তবে এটা শুধু অনুরোধে, মন রক্ষা করতে।
এবার এর আঁচ পড়েছে বৈশাখে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পহেলা বৈশাখ একটু বাড়তি আয়োজনের মধ্যে উদযাপিত হয়েছে। ভালোই লাগছে এ আয়োজন দেখে।
সকল ধর্মের মানুষ এ উৎসবকে কেন্দ্র করে একত্রিত হয়েছে। এ সুযোগে উৎসববাদীরাও একাকার হয়েছে। এখানেও কুমারিত্ব বিসর্জন হয়েছে স্বেচ্ছায় বা অনুরোধে।
প্রতিবছর যত ছেলে-মেয়ে কৈশরে বা যৌবনে পা রাখছে তাদের একটি বড় অংশই ক্রেজের কারণে তাদের কুমারিত্ব বিসর্জন দিচ্ছে। যখন বুঝতে পারছে তখন সে নিজেকে মাফ করতে পারে না।
তখন একটা বিষন্নতা বা ঘৃণার জন্ম হয়, যা তাকে সারাজীবন তারা করে বেরায়। তবে সবার বেলায় এটা প্রযেজ্য নয়।
এমন দিবস প্রীতি থেকে একটু সর্তক থাকা জরুরি নয় কি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।