আমি আঁধারে তামাসায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।
কৃষ্ণচূড়া একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ যার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিখ রেজিয়া (Delonix regia)। এই গাছ চমৎকার পত্র-পল্লব এবং আগুনলাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের জন্য প্রসিদ্ধ। এটি ফাবাসিয়ি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ যা গুলমোহর নামেও পরিচিত।
কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল, কমলা, হলুদ ফুল এবং উজ্জল সবুজ পাতা একে অন্যরকম দৃষ্টিনন্দন করে তোলে।
কৃষ্ণচূড়া মাদাগাস্কারের শুষ্ক পত্রঝরা বৃক্ষের জঙ্গলে পাওয়া যায়। যদিও জঙ্গলে এটি বিলুপ্ত প্রায়, বিভিন্ন বিশ্বের অঞ্চলে এটি জন্মানো সম্ভব হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধক গুণ ছাড়াও, এই গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতে বিশেষভাবে উপযুক্ত। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় কম (সর্বোচ্চ ১২ মিটার) হলেও শাকা-পল্লবে এটি বেশি অঞ্চল ব্যাপি ছড়ায়। শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও, নাতিষীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ।
স্থানীয় নামঃ অপরাজিতা
ভেষজ নাম /বৈজ্ঞানিক নামঃ Clitoria ternatia Linn, এটি Popilionaceae এর পরিবার ভূক্ত
ব্যবহার্য অংশঃ ফুল, পাপড়ি, মূল ও গাছের লতা
রোপণের সময়ঃ বর্ষাকাল
উত্তোলণের সময়ঃ বছরের যে কোন সময় সংগ্রহ করা যায়।
চাষাবাদের ধরণঃ গাছের ডাল বর্ষা কালে স্যাঁত স্যাঁতে মাটিতে রোপন করতে হয়, ছোট ছোট ধূসর ও কালো বর্ণের বিচি রোদে শুকিয়ে নরম মাটিতে রোপন করতে হয়।
আবাদী / অনাবাদী / বনজঃ আবাদী ও অনাবাদী বনজ সব ধরণের হয়ে থাকে। তবে সাধারণতঃ বসত বাড়ির শোভা বর্ধনে বাড়ির আঙ্গিনায় এ গাছ রোপন করা হয়।
উদ্ভিদের ধরণঃ এটি একটি লতা জাতীয় গাছ।
অনেক লম্বা হয়ে থাকে। এর ফুল দুই রঙ্গের-সাদা এবং নীল হয়ে থাকে। কোনো অবলম্বন পেলে এটি বেড়ে উঠে।
ঔষধি গুণাগুণঃ অপরাজিতার ফুল, পাপড়ি, মূল ও গাছের লতায় নানান ঔষধি গুনাগুণ রয়েছে। মুর্ছা, হিস্টিরিয়া, বয়:সন্ধি কালীন উন্মাদ রোগ, গলগন্ড রোগ, ফুলা রোগ, আধকপালে ব্যথা শুষ্ক কাশি, স্বরভঙ্গ, ঘন ঘন প্রস্রাব, ইত্যাদি রোগে ঔষধি গুনাগুণ রয়েছে।
স্থানীয় নামঃ জবা
ভেষজ নাম /বৈজ্ঞানিক নামঃ Hibiscus rosa-Sinensis Linn (হিবিসকাস রোজা-সিনেনসিস লিন)
ব্যবহার্য অংশঃ ফুল, পাপড়ি ও গাছের ছাল
রোপণের সময়ঃ বর্ষাকাল
উত্তোলণের সময়ঃ বছরের যে কোন সময় সংগ্রহ করা যায়।
চাষাবাদের ধরণঃ গাছের ডাল বর্ষা কালে স্যাঁত স্যাঁতে মাটিতে রোপন করতে হয়।
আবাদী/ অনাবাদী/ বনজঃ আবাদী ও অনাবাদী বনজ সব ধরনের হয়ে থাক। তবে বসত বাড়ির শোভা বর্ধনে গাছ রোপন করা হয়।
উদ্ভিদের ধরণঃ এটি একটি ঝোপ জাতীয় গাছ।
সাধারণত: সাত আট ফুট উচ্চতায় হয়ে থাকে। এর ফুল নানা রঙ্গের হয়ে থাকে । জবা ফুল ঠোঙ্গা আকৃতি, পঞ্চমুখি ও থোকা আকারের হয়ে থাকে।
ঔষধি গুণাগুণঃ জবা ফুলে নানা ঔষধি গুনাগুণ রয়েছে। বমনের প্রয়োজনে, অনিয়মিত মাসিকের স্রাব, মাসিক ঋতুর অতিস্রাবে, চোখ উঠা, মাথায় টাক পোকা, হাতের তালুতে চামড়া উঠা ইত্যাদি রোগে ঔষধি গুনাগুণ রয়েছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।