মনের জানালায় দাঁড়িয়ে ভাবনাগুলোর মিলিয়ে যাওয়া দেখি। গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘ হয়ে, ঐ দূর দিগন্ত পানে...
জলবায়ুর পরিবর্তন এবং বিবিসির ডকুমেন্টারী - প্রথম পর্ব
ঢাকার অবস্থান জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকীর একেবারে সম্মুখভাগে। নিজেরা গ্রীণ হাউজ গ্যাস নির্গমনের হারের দিকে সবচে নীচের দিকে থাকলেও ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ঝুঁকির পরিমাপে ঢাকা অনেক উপরেই। শিল্পোন্নত দেশগুলোর কার্বন নির্গমনের প্রভাব সইতে হচ্ছে বাংলাদেশকেই। নীচু এবং সমতল ভূমির কারণে উপর থেকে দেখলে মনে হয় জমির চাইতে ঢাকাতে পানির পরিমাণই বেশী।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিদিন হাজারে হাজারে নতুন মানুষ উপছে উপছে পড়ছে রাজধানী ঢাকাতে। বন্যার ফলে আবাদী জমিতে লবণাক্ততা, ঘূর্ণিঝড়ের প্রাদুর্ভাব, নদীর পানিশূণ্যতা, খড়া, নদী ভাঙন এসব কিছুর কারণে জীবন বাচাতে মানুষ ছুটছে রাজধানী ঢাকার অভিমুখে। এই উপছে পরা নতুন মানুষগুলোর জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে সৃষ্টি হচ্ছে অন্যান্য নানা সমস্যা।
দেশের দুর্যোগ কবলিত স্থানগুলোতে মানুষগুলোকে তাদের স্ব স্ব স্থানে থেকেই দুর্যোগকে মোকাবেলা করবার জন্য এবং তাদের জীবন যাপন চালিয়ে নেবার জন্য বেশ অনেকগুলো সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। তারা মানুষগুলোকে শিক্ষা দিচ্ছে আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে কিভাবে তাদের জীবন ধারণ কে মানিয়ে নেয়া যায়।
এই যেমন সচরাচর বর্ষায় পানি উঠে এমন জায়গায় বাড়ী থাকলে বাড়ীর ভিত্তি উচুঁ করে বানানো, বন্যার সময় যেহেতু অন্য কাজ পাওয়া মুশকিল তখন ঘরে বসে হাতের কাজ করা, বন্যা সহনীয় শষ্য উৎপাদন করা (যেমন ভাসমান ধান বা বাড়ির মাচার উপর সবজী ফলানো), সহজেই স্থানান্তর করা যায় এমন মাটির চুলো বানানো, গৃহপালিত পশুদের জন্য কিছু শষ্য পানি নিরোধক কিছুতে মজুদ করে রাখা যাতে বন্যার পানি নেমে গেলে সেই পশুগুলো খেতে পায়, মুরগী না রেখে হাঁস পালন করা (কারণ হাঁস পানিতে ভাসতে পারে) এইরকম আরো নানা রকম সমাধান।
ভিডিওগুলো দেখলে আপনি আরো ভালো ধারণা পাবেন আমি কি বুঝাতে চাইছি।
প্রথম
দ্বিতীয়
তৃতীয়
চতুর্থ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।