বুদ্ধদেব গুহের "মাধুকরি" উপন্যাসের পৃথু ঘোষ আমি
ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বন্যা আর খরায় প্রতি বছর প্রাণ হারাতে পারে ৪ লাখ শিশু৷ শিশু দাতব্য সংস্থা সেভ দ্যা চিলড্রেন জানাচ্ছে এমন তথ্য৷
সেভ দ্যা চিলড্রেন সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ, পানিবাহিত রোগ আর খাদ্যাভাবজনিত কারণে আগামী বছর প্রাণ হারাতে পারে আড়াই লাখ শিশু৷ ২০৩০ সাল নাগাদ এই শিশু মৃত্যুর হার বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৪ লাখে৷ সেভ দ্যা চিলড্রেন এর মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোকে উপযুক্ত সহায়তা দেয়া না হলে মৃতের এই সংখ্যা কমানো সম্ভব হবে না৷ উদাহরণ হিসেবে সংস্থাটি জানিয়েছে, উপযুক্ত পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরির মাধ্যমে বন্যার সময় ডায়েরিয়ার প্রকোপ কমাতে হবে, একইভাবে খরার সময় দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় খাদ্য সাহায্য করতে হবে৷
সেভ দ্যা চিলড্রেন জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর শিশুরা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে এবং একইসঙ্গে শিশু শ্রম বাড়বে৷ ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে শিশু পাচার এবং বাল্য বিবাহ বাড়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি৷
শিশু দাতব্য সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, আগামী প্রজন্মের প্রায় ৯০০ মিলিয়ন শিশু পানির স্বল্পতার মধ্যে বেড়ে উঠবে৷ আরো ১৬০ মিলিয়ন শিশু ম্যালেরিয়া ঝুঁকির মধ্যে বড় হবে৷ বলাবাহুল্য, বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ ম্যালেরিয়া৷
সেভ দ্যা চিলড্রেন এর মতে, আগামী ২০ বছরে সাইক্লোন, খরা এবং বন্যার নিয়মিত শিকার হবে প্রায় ১৭৫ মিলিয়ন শিশু৷
জলবায়ু পরিবর্তনের এই ভয়াবহতা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে ডিসেম্বরে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলনে হাজির হবে বাংলাদেশে কর্মরত সেভ দ্যা চিলড্রেন কর্মকর্তা আলোরা সেরডৌস৷ তিনি জানান, দক্ষিণ এশিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকার শিশুরা বন্যা এবং খরার ফলে নিরাময়যোগ্য রোগ ও খাদ্য অপুষ্টিতে ভুগছে৷
আলোরা বলেন, ২১ শতকে বিশ্বে শিশুদের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন৷ আর তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না হলে অকালে ঝরে যাবে অনেক শিশুর জীবন, এমনটাই মত তাঁর৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।