আমার সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই।
একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ 'জলবায়ুর পরিবর্তন ও দারিদ্র শুনানি:
পৃথিবীর বায়ুমন্ডল উত্তপ্ত হচ্ছে এবং পরিবর্তিত হচ্ছে জলবায়ু। জলবায়ুর পরিবর্তনে প্রভাবিত হচ্ছে পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষ। আগাম বন্যা, বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখি ঝড়, জলাবদ্ধতা, উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা, জলোচ্ছ্বাস ও পানিবাহিত রোগসহ রোগজীবানুর সংক্রমণ ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখন বাংলাদেশের নিত্যসঙ্গী। এ কারণে বাংলাদেশকে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
হাওড় এলাকায় কৃষির উপর ব্যাপক নেতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বদলে গেছে মানুষের জীবনধারা। বদলে গেছে জীববৈচিত্র্য। প্রতি বছরই আগাম বন্যা, বন্যা, খরা, শিলাবৃস্টি, ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখি ঝড়, জলাবদ্ধতা, উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা, জলোচ্ছ্বাস ও পানিবাহিত রোগসহ রোগজীবানুর সংক্রমণ মানুষের জীবনে দু:খের অমানিশা হিসেবে আবির্ভূত হয়। যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের কাতারে রয়েছে অতি দরিদ্র কৃষক, খেতমজুর, জেলে ও অন্যান্য খেটে খাওযা মানুষ।
গ্রামীণ জীবনধারা স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান- হাওর ক্যাম্পেইন গ্রুপ-এর সহযোগিতায় আইডিয়া ও এমসিডা হাওর এলকায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যতিক্রমী কর্মসূচী জলবায়ু- দারিদ্র শুনানির আয়োজন করে। এই গণশুনানিতে স্থানীয় গ্রামীণ শ্রমজীবি জনগণ তাদের দু:খ-দুর্দশার বর্ণনা করেন।
গ্রামীণ জীবনধারার স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান- হাওর গ্রুপের সহায়তায় আইডিয়া ও এমসিডা’র যৌথ উদ্যোগে গত ৮ই অক্টোবর বিকাল ৪টায় শ্রীমঙ্গলের মির্জাপুর ইউপি কার্যালয়ের সম্মুখে ’জলবায়ু- দারিদ্র্য শুনানির আয়োজন করে। গণ-শুনানি পরিচালনার জন্য ৫ সদস্যের একটি বিচারক মন্ডলী গঠন করা হয়। বিচারক মন্ডলীর দায়িত্ব পালন করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো: ফিরোজ মিয়া, বিশিষ্ট কলামিষ্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান, শিক্ষক রাকেশ চৌধুরী, উন্নয়নকর্মী আব্দুল মোহিত নিলু মিয়া, ইউপি সদস্য আ: নূর, কৃষানি আলেয়া আক্তার রুবী।
সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন এমসিডা’র প্রধান নির্বাহী তহিরুল ইসলাম মিলন। বিচারক মন্ডলীর রায় ঘোষণা করেন বিশিষ্ট কলামিষ্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্য থেকে ৫ জন তাদের ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা করেন ও বিচারকমন্ডলীর নিকট অভিযোগ উত্থাপন করেন যে, আগাম বন্যা, খরা, শিলাবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি সমস্যা পূর্বের তূলনায় অনেক বেড়েছে। যার ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তার জানতে চেয়েছেন কেন এ রকম হলো? এর জন্য দায়ী কারা? এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদের কী করতে হবে? এ থেকে কীভাবে উত্তরণ পাওয়া যাবে?
যাত্রাপাশার কৃষক গুণেন্দ্র সেন বলেন, খরার কারণে ধানের উৎপাদন এবার অর্ধেকে নেমে এসেছে।
এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা দায় হবে।
কৃষক আ: আউয়াল বলেন, বোরো মৌসুমে পুরো ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
লামাপাড়ার জসিম উদ্দিন বলেন, ৫০ বছর আগে হাওরে অনেক প্রজাতির মাছ পাওয়া যেতো। এখন আর তা পাওয়া যায় না। মৎস্যজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
মধ্যপাড়ার কৃষক রজতকান্তি চৌধুরী বলেন, আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
সহশ্রীর গোপেশ শর্মা বলেন, অকালে ঘূর্ণিঝড়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ছোটবেলায় এ রকম দুর্যোগ আগে কখনো দেখি নাই।
বিচারকমন্ডলী সবার অভিযোগ শোনার পর নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনার পর রায় ঘোষণা করেন। বিচারকমন্ডলীর পক্ষে রায় ঘোষণা করেন বিশিষ্ট কলামিষ্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান।
রায়ে বলা হয়, জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য দায়ী ধনী দেশগুলো এবং তাদের দেশের বহুজাতিক কোম্পানি। এর ক্ষতিপূরণ এদের কাছ থেকে আদায় করতে হবে। পাশাপাশি আমাদেরকে জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার জন্য সবধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।